ফান্ডিং সংকটে লন্ডন ফায়ার ব্রিগেড : নতুন যন্ত্রপাতি কেনার উদ্যোগ

ব্রিটবাংলা রিপোর্ট : গ্রেনফেল টাওয়ার অগ্নিকান্ডের ঘটনায় লন্ডন ফায়ার ব্রিগেডের যে দৈন্যতার চিত্র প্রকাশ হয়েছিল তা কাটিয়ে উঠতে নতুন যন্ত্রপাতি কেনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গ্রেনফেল অগ্নিকান্ডের ঘটনার পর লন্ডন ফায়ার ব্রিগেড বলে আসছিল, গ্রেনফেল টাওয়ারের মতো বড় দুর্ঘটনা পুনরায় ঘটলে তা মোকাবেলার জন্যে আরো বেশি ফান্ডিং এবং নতুন যন্ত্রপাতির প্রয়োজন। এবার প্রায় ৬ মিলিয়ন পাউন্ডের নতুন যন্ত্রপাতি কেনার তালিকা তৈরী করেছে লন্ডন ফায়ার ব্রিগেড। লন্ডন ফায়ার ব্রিগেডের রিজার্ভ সেইভিং থেকে আপতত এই অর্থ ব্যয় করা হবে। পরবর্র্তীতে এই অর্থ সরকারের কাছ থেকে ফেরত পাওয়া যাবে বলে আশা করছে লন্ডন ফায়ার ব্রিগেড।


গত জুন মাসে ২৪ তলার গ্রেনফেল টাওয়ারে অগ্নিকান্ডের সময় লন্ডন ফায়ার ব্রিগেডের পাইপ পৌঁছে এর অর্ধেক তলায়। যে যন্ত্র দিয়ে ১২ তলার উপরে পানি ছুঁড়ে মারা হয় সেই যন্ত্রটি লন্ডন ফায়ার ব্রিগেডের নিজের নয়। এটি তাৎক্ষনিকভাবে সারি থেকে হায়ার করা হয়েছিল। অন্যদিকে ফায়ার ফাইটাররা বর্তমানে শ্বাস নেবার যে যন্ত্র ব্যবহার করেন, তার স্থায়ীত্ব থাকে মাত্র ৩০ মিনিট। আর অগ্নিকান্ডের পর যে ড্রোনটি ব্যবহার করতে দেখা গেছে সেটিও লন্ডন ফায়ার ব্রিগেডের নিজের নয়। তাও দ্বার করা হয় কেন্ট থেকে। লন্ডন ফায়ার ব্রিগেডের এই দৈন্যতা কাটাতে এবার বিশাল লম্বা এবং ব্যয়বহুল তালিকা তৈরী করা হয়েছে। এর মধ্যে আছে ৩টি এরিয়াল অ্যাপ্লায়েন্স। অর্থাৎ আগুনে পানি ছুঁড়ে মারার লম্বা পাইপ। যার মূল্য ধরা হয়েছে ২ দশমিক ৪ মিলিয়ন পাউন্ড। সাথে আছে ১২শ শ্বাস নেওয়ার যন্ত্রপাতি। মূল্য ধরা হয়েছে ২ দশমিক ৮ মিলিয়ন পাউন্ড। এগুলোর স্থায়ীত্ব প্রায় ৪৫ মিনিট। এছাড়া রয়েছে ২টি ড্রোন, মাস্কস, শার্ট এবং তাবু। নতুন এসব যন্ত্রপাতি কিনতে সর্বমোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৬ দশমিক ২মিলিয়ন পাউন্ড। লন্ডন ফায়ার ব্রিগেডের জন্যে এ ধরনের নতুন যন্ত্রপাতি আরো আগেই কেনা উচিত ছিল বলে জানালেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এসব নতুন যন্ত্রপাতির মূল্য কে পরিশোধ করবে? কারণ সরকার তাৎক্ষনিকভাবে অর্থ দেবে না। তবে লন্ডন মেয়র সাদিক খান বলেছেন, লন্ডন ফায়ার ব্রিগেডকে আধুনিকায়নে তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাবেন। যদিও লন্ডন ফায়ার ব্রিগেডের রিজার্ভ ফান্ড থেকে নতুন যন্ত্রপাতি কেনার এই অর্থ ব্যয় করা হবে। কিন্তু তারপরেও দুশ্চিন্তার বিষয় অন্য জায়গায়। কারণ সরকারের বাজেট কাটের অংশ হিসেবে লন্ডন ফায়ার ব্রিগেডকে প্রতি বছর প্রায় ৬ মিলিয়ন পাউন্ড অতিরিক্ত কাট করতে হচ্ছে। সে হিসেবে আগামী ৩ বছরে বিশাল ঘাটতি দেখা দেবে লন্ডন ফায়ার ব্রিজে। এদিকে নতুন যন্ত্রপাতি কেনার অর্থ নিয়ে তাৎক্ষনিকভাবে হোম অফিস সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেনি। কথা না বললেও ফান্ডিংয়ের ক্ষেত্রে সরকার বা হোম অফিস সমস্যা করবে না বলে আশা করছে লন্ডন ফায়ার ব্রিগেড।

Advertisement