বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণকে মেমোরি অব দ্য ওয়াল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিষ্টার-এ অন্তর্ভূক্ত করায় লন্ডনে হাইকমিশনের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও আনন্দ র‌্যালী

ব্রিটবাংলা ডেস্ক: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের যেমন পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করেছেন অন্যদিকে জাতি হিসেবে বিশ্ব দরবারে প্রতিষ্টা করে গেছেন।

বঙ্গবন্ধুর জন্যে আমরা বাঙ্গালীরা গর্বিত, বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশ একই সূত্রে গাঁথা। ইউনেস্কো কর্তৃক বিশ্ব ঐতিহ্যের দলিল হিসেবে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণকে ‘‘মেমোরি অব দ্য ওয়াল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিষ্টার’’-এ অন্তর্ভূক্ত করে আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃতি প্রদান করায় লন্ডস্থ বাংলাদেশ মিশন আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা এঅভিমত ব্যক্ত করেন।

বক্তারা বলেন ৭ই মার্চের ভাষণই স্বাধীনতার প্রকৃত ঘোষণা। তিনি বলেছিলেন ‘‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতা সংগ্রাম এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম’’। ‘‘আমি যদি হুকুম দিবার না-ও পারি তোমাদের যার যা কিছু আছে তা নিয়ে রুখে দাড়ার শত্রুর মোকাবলা কর’’ আর তাই ঘটেছিল। মার্চের ৮ তারিখ থেকে গ্রামে গঞ্জে শুরু হয় ট্রেনিং মানুষ যুদ্ধের জন্যে প্রস্তুতি নিতে শুরু করে।

২৫ মার্চ তিনি পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর হাতে বন্দি হওয়ার পূর্বমূহুর্থে তৎকালীণ ইপিআর-এর ওয়ার্লেস মারফত আবার স্বাধীনতার ঘোষনা দেন পরবর্তিতে অনেকেই তার পক্ষে এই ঘোষনাপত্র পাঠ করেন। এটিই হচ্ছে আসল সত্য । সোমবার ১১ ডিসেম্বর দুপুরে সাউথ-ওয়েষ্ট লন্ডনের ২৮ কুইন্স গেটের বাংলাদেশ মিশনের সেমিনার হলে লন্ডনে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার নাজমুল কাওনানের সভাপতিত্বে ও ফাষ্ট সেক্রেটরী স্বদীপ্ত আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভার শুরুতে মাননীয় রাষ্ট্রপতির বাণী পাঠ করে লন্ডনে নিযুক্ত সহকারী হাইকমিশনার খন্দকার এম তালহা ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন কাউন্সেলর এম রেজা আবেদীন। এর পর প্রজেক্টারের মাধ্যমে বাজানো হয় বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ। আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের প্রথম ডাকটিকেটের রুপকার বিমান মল্লিক, যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের সহসভাপতি সৈয়দ মোজাম্মেল আলী, সাবেক প্রেস মিনিষ্টার সাংবাদিক ও মুক্তিযোদ্ধা আবু মুসা হাসান, সাংবাদিক মতিয়ার চৌধুরী, যুক্তরাজ্য যুবমহিলা লীগের সেক্রেটারী সাজিয়া স্নিগ্ধা,যুক্তরাজ্য যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক জামাল খান, সাবেক ছাত্র নেতা শায়েক আহমদ, সাবেক কাউন্সিলার সেলিম চৌধুরী প্রমুখ। সভাপতির বক্তব্যে হাইকমিশনার নাজমুল কাওনাইন বলেন ইউনেস্কো কর্তৃক জাতির জনকের ৭ই মার্চের ভাষণকে ইউনেস্কো কর্তৃক স্বীকৃতি প্রদান আমাদের কুটনৈতিক প্রচেষ্টার ফসল। তিনি বলেন ইউনেস্কো হ্যরিটেজ কমিটিতে ১৪জন সদস্য থাকেন এব্যাপারে প্রত্যেক সদস্যকে একমত পোষন করতে হয়, এই কমিটির কেউ দ্বিমত পোষন করলে তা সম্ভব হতোনা।

এর পর বের করা হয় আনন্দ র‌্যালী, র‌্যালিটি হাইকমিশন ভবন থেকে বের হয়ে কুইন্সগেট এলাকার বিভিন্ন রাস্তা প্রদক্ষিন করে আবার হাইকমিশন ভবনে এসে শেষ হয়।

Advertisement