বরিস জনসন-প্রিন্স চার্লসের সঙ্গে শেখ হাসিনার বৈঠক

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উভয় প্রধানমন্ত্রী দ্বিপক্ষীয় ও পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন।স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) বিকেলে গ্লাসগোর কপ-২৬ সম্মেলনের ইউকে মিটিং রুমে এ দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্রিটিশ সিংহাসনের উত্তরাধিকারী প্রিন্স চার্লসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। উভয়ের আলোচনায় দ্বিপক্ষীয় ও পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয় স্থান পায়। এছাড়াও তিনি মার্কিন ব্যবসায়ী ও সমাজসেবী বিল গেটস ও মেলিন্ডা গেটসের সঙ্গে কপ-২৬-এর সাইডলাইনে জলবায়ু পরিবর্তন ও উন্নয়ন ইস্যুতে আলোচনা করেন।প্রধানমন্ত্রীর দিনের কর্মব্যস্ততার বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেন, দুই বৈশ্বিক ব্যক্তিত্বের সঙ্গে আলাপকালে তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ, উদ্যোগ ও চাহিদা তুলে ধরেন। চার্লসের সঙ্গে এইচএসবিসিসহ চারটি প্রধান ব্যাংকের প্রতিনিধি ছিলেন যখন প্রিন্স অব ওয়েলস, যিনি রানির পক্ষে সরকারি দায়িত্বপালন করেন,জলবায়ু সমস্যাগুলোতে বেসরকারি খাতের জড়িত থাকার বিষয়ে কথা বলেছেন তিনি।

মোমেন বলেন,তারা চায় জলবায়ু সমস্যায় বেসরকারি খাত জড়িত থাকুক।’ বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাত বিশেষ করে সমুদ্র উপকূলীয় বায়ু শক্তি এবং উপকূলীয় বেল্ট ও নদীতীরে বাঁধ ও রাস্তা নির্মাণে বিনিয়োগের জন্য কিছু প্রস্তাব দিয়েছেন।শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার ১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিদেশি বিনিয়োগ সম্বলিত কয়লাভিত্তিক ১০টি বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিল করার সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা পরিবেশের স্বার্থে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে মনোনিবেশ করতে বাংলাদেশের আগ্রহকে প্রতিফলিত করে।চার্লসের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দল বলেছে, তারা বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে চায় বলে তারা বাংলাদেশ সফরের প্রস্তাবগুলো পরীক্ষা করবে।মোমেন বলেন, ব্রিটিশ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা মন্তব্য করেছেন যে, শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়ন ও জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতার দিক থেকে অত্যন্ত চমৎকার কাজ করছে।

Advertisement