বাংলাদেশের শান্তিরক্ষা বাহিনীর কার্যক্রম দেশের জন্য গর্বের

বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষা বাহিনীর কার্যক্রম দেশের জন্য গর্বের বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।তিনি বলেন, মানবিক গুণের কারণে বাংলাদেশ থেকে শান্তিরক্ষী নেওয়ার চাহিদা বেশি।শনিবার (২৯ মে) আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।তিনি বলেন, সারাবিশ্বে কোভিড-১৯ ভীষণভাবে মানুষকে কষ্ট দিচ্ছে। এ সময় ধৈর্য্য ও ধীরস্থিরভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে। আল্লাহর ওপর ভরসা রাখতে হবে।প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের যারা শান্তিরক্ষায় যাচ্ছে, তাদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা করছি। সব ধরেনের সুযোগ সুবিধা ও নিরাপত্তার ব্যবস্থাও করছি। চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য যা যা প্রয়োজন সঙ্গে সঙ্গ তাই দেওয়ার ব্যবস্থা করছি। সফরে বিশ্বের যখন যেখানে গেছি, সেখানে সেই দেশের প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীরা আমাদের শান্তিরক্ষীদের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। গর্বে আমার বুকটা ভরে গেছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা সর্বোচ্চ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ। এটা গর্বের বিষয়, আপনারা বিশ্বশান্তি রক্ষায় কাজ করছেন। যেখানেই যাচ্ছেন, বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করছেন। পরকে আপন করে নেওয়ার মতো কাজটি করছেন। জানি আপনাদের কষ্ট হয়, বৈরী পরিবেশে দায়িত্ব পালন করছেন। এটা একটা চ্যালেঞ্জও। সবচেয়ে সংঘাতপূর্ণ-জটিল জায়গায় আমাদের শান্তিরক্ষীরা সফলভাবে কাজ করছে। এ জন্য আপনাদের ধন্যবাদ জানাই। আপনাদের নিয়ে আমি গর্ববোধ করি।শান্তিরক্ষী বাহিনী কর্মরত নারীদের প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নারী পাইলটদের নিয়ে খুব গর্ববোধ করি। এখন সব জায়গায় মেয়েদের একটা ভালো সুযোগে আছে।প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের মানুষের অর্থনীতির উন্নয়ন, দারিদ্র্য দূরীকরণ, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ বংশধরদের জন্য শিক্ষা-দীক্ষা, স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও কর্মসংস্থান তৈরি করাই আমাদের কাজ। আমরা সেটা করছি।অনুষ্ঠানে আরও অংশ নেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন, প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকী, পররাষ্ট্র সচিব, সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদসহ বিভিন্ন বাহিনী প্রধান ও বিভিন্ন দেশে কর্মরত শান্তিরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা। অনুষ্ঠানে জাতিসংঘের বাংলাদেশ কো-অর্ডিনেটরও বক্তব্য রাখেন।

Advertisement