বাংলাদেশ ক্যাটার্রাস এসোসিয়েশন বিসিএ এর এওয়ার্ড অনুষ্ঠান ২৫ নভেম্বর রবিবার পার্ক প্লাজায়

ব্রিটবাংলা ডেস্কঃব্রিটেনের বাংলাদেশী কারী ইন্ড্রাষ্টির বৃহত্তম সংগঠন বাংলাদেশ ক্যাটার্রাস এসোসিয়েশন( বিসিএ) বর্ণাঢ্য আয়োজনে তাদের ১৩তম বিসিএ এওয়ার্ড প্রদান করতে যাচ্ছে।

আগামী ২৫ নভেম্বর রবিবার লন্ডনের , ওয়েসমিনিষ্টার ব্রিজ এর অভিজাত পার্ক প্লাজা হোটেলে অনুষ্ঠিত হবে বিসিএ’র এওয়ার্ড অনুষ্ঠান।

এ উপলক্ষে বিসিএ ৯ অক্টোবর মঙ্গলবার ওয়েসমিনিষ্টার পোর্টক্যুলিস হাউসের উইলসন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। সংবাদ সম্মেলনের হোস্ট ছিলেন অল পার্টি পার্লামেন্টেরিয়ান গ্রুপের ক্যাটারিং বিভাগের চেয়ারম্যান পল স্কলি এমপি।
বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে বিসিএ’র ধারাবাহিক এওয়ার্ড অনুষ্ঠানের ভূয়সী প্রসংসা করে কারী ইন্ড্রাষ্টির বর্তমান চরম স্টাফ সংকটসহ বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে তাদের সর্বাত্নক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করে বক্তব্য রাখেন টম ব্রেকস এমপি, রাইট অনারেবল স্টিফেন টিমস এমপি, ড. রুপা হক এমপি,সিমা মালর্থা এমপি, জিম ফিজাপ্যাট্রিক এমপি, ব্যারনেস পোলা মঞ্জিলা উদ্দিন ও সাবেক এমপি ডেভিড ম্যাকিনটোস।

বিসিএ এর প্রেস ও প্রকাশনা সচিব ফরহাদ হোসনে টিপু‘র সঞ্চালনায় ১৩তম বিসিএ এওয়ার্ড অনুষ্টানের বিস্তারিত তুলে ধরেন সংগঠনের সেক্রেটারী জেনারেল ওলি খান ।


এছাড়াও বিসিএ ’র পক্ষ থেকে অনুষ্ঠান সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য উপস্থাপন করে সংগঠনের সিনিয়র সভাপতি জামাল উদ্দিন মকদ্দস, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম এ মুনিম , পুরস্কার ও ডিনার কমিটির প্রধান মুজাহিদ আলী চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক ও রেষ্টুরেন্ট অব দ্যা ইয়ার কমিটির প্রধান মিটু চৌধুরী ও শেফ অব দ্যা ইয়ার কমিটির প্রধান আতিক রহমান।

সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাজ্যস্থ বাংলাদেশ হাই কমিশনের কমার্শিয়াল কাউন্সিলের এম এস জাকিরা হক, বিসিএ এওয়ার্ড অনুষ্ঠানের স্পন্সর সহ সংগঠনের ব্রিটেনস্থ বিভিন্ন রিজিওনের কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য ও প্রেসনোটে জানানো হয়- বরাবরের মতো বিসিএর ১৩তম অনুষ্ঠানেও থাকছে নতুনত্ব। একটি এওয়ার্ডকে ছাপিয়ে আরেকটি এওয়ার্ডে সাফল্য ধরে রাখার প্রয়াস। এবারও জমকালো ও দৃষ্টিনন্দন আবহের অনুষ্ঠানে প্রদান করা হবে কারী ইন্ড্রাষ্ট্রিতে অনন্য অবদান রেখে যাওয়া কারী শেফ, ক্যাটারাস ও রেস্টুরেন্টকে । যারা কারী ইন্ড্রাষ্টিতে শুধুমাত্র খাবারের সৃজনশীলতা ও মৌলিকতায় বাংলাদেশী তথা ইন্ডিয়ান খাবারের পরিচিতি তুলে ধরে কমিউনিটি এবং ব্যক্তি জীবনে খ্যাতি অর্জন করেছেন।

এবারের এওয়ার্ড অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করবেন এবছরের প্যারিসোপ তারকা ও টিভি ব্যক্তিত্ব তাসমিন লুসিয়া খান। লুসিয়া খান নিজের কর্ম সৃজন দিয়ে ইতিমধ্যে স্যোসাল মিডিয়ায়ও অত্যন্ত জনপ্রিয় পারসোনালিটি হিসাবে জায়গা করে নিয়েছেন। তার সাথে থাকবেন জনপ্রিয় ব্রিটিশ অভিনেতা আ্যালেকসিস ক্যনরান।

কারী ইন্ড্রাষ্টির রন্ধনশিল্পের নানা সৃজনশীল দিক এবং এই শিল্পের ব্যাপ্তি কীভাবে ছড়িয়ে গেছে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে আলোকিত ভাবে, তা-ই উপস্থাপনায় তুলে ধরবেন এই দুই তারকা উপস্থাপক।

তিনটি ক্যাটাগরীতে এবার বিসিএ কারী এওয়ার্ড প্রদান করা হবে। বিসিএ শেফ অফ দ্যা ইয়ার, বিসিএ রেষ্টুরেন্ট অফ দ্যা ইয়ার, বিসিএ অনার অফ দ্যা ইয়ার।
এবছর তিনটি পদক প্রদান প্রক্রিয়ায় তিনটি বিভাগকে আরও আকর্ষণীয়ভাবে তুলে ধরতে কাজ করছে বিসিএ টিম।

বিসিএ এর হেড শেফ আতিকুর রহমান সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রতিযোগিদের নিয়ে ‘শেফ অফ দ্যা ইয়ার’ প্রতিযোগিতার কাজটি করছেন। আগামী ১৬ অক্টোবর মঙ্গলবার হ্যার্মাস স্মিথ ও ইলিং কলেজে ৩০জনের অধিক শেফ এতে অংশগ্রহন করবেন।
বিসিএ প্যানেল এর বিচারকদের দ্বারা ১০জন শেফ নির্বাচন করা হবে। বিসিএ এর এওয়ার্ড অনুষ্ঠানে নির্বাচিতদের নাম ঘোষনা ও সম্মানীত করা হবে।

একইভাবে, বিসিএ ‘রেষ্টুরেন্ট অফ দ্যা ইয়ার’ নিয়ে মিটু চৌধুরী এবং তার দল ব্রিটেনের বিভিন্ন অঞ্চলের সর্বোচ্চ মানের ৩০টি রেষ্টুরেন্টকে শর্টলিষ্ট করেছেন। এর চুড়ান্ত নির্বাচন প্রক্রিয়া অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৩০শে অক্টোবর,মঙ্গলবার ক্যানারী ওয়ার্ফ, কানাডা স্কয়ার। ঐদিন ১০জন বিজয়ী নির্বাচিত হবেন। এবং একই প্রক্রিয়ায় বিসিএ এর এওয়ার্ড অনুষ্ঠানে নির্বাচিতদের নাম ঘোষণা ও সম্মানীত করা হবে।

বিসিএ এর এওয়ার্ড অনুষ্ঠানের জন্য গত বছর একটি বিশেষ বাণীতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে এমপি বলেন, ‘বাংলাদেশী কারী শিল্প ব্রিটেনের খ্যাদ্যাভাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বিশেষ করে ব্রিটেনের অর্থনীতিতে প্রতি বছর প্রায় ৪ বিলিয়ন পাউন্ড জোগান দিচ্ছে। বাংলাদেশী কারী ইন্ড্রাষ্টি ব্রিটেনে সামাজিক ও সাংস্কৃতিকভাবেও প্রতিনিধিত্বমূলক ভূমিকায় কাজ করছে।যা আলোকিত বার্তা বহন করে।’

কারী ইন্ড্রাষ্টি বর্তমানে দক্ষ সেফ ও অদক্ষ বাংলাদেশী রেষ্টুরেন্টকর্মীসহ নানাবিদ সংকটময় সময় পার করছে। এই সময়ে ১৩তম বিসিএ এওয়ার্ড প্রদান কারী শিল্পের এই কঠিন সময়ে অনুপ্ররেণাদায়ী হবে বলে সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছেন। অনুষ্ঠানে এই শিল্পের ইতিবাচক দিক এবং ব্যাবসায়ীদের নতুন চিন্তাধারার সমন্ধয়ে কারী ইন্ড্রাষ্টির জন্য সময় উপযোগি উদ্ভাবনী বিষয়, তত্ব ও ফলপ্রসু দিকগুলো উপস্থাপন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

বাংলাদেশী কারী ইন্ড্রাষ্টির অর্থনৈতিক দিকটি ছাড়াও ব্রিটেনের মূলধারায় বাংলাদেশী ঐতিহ্যিক খাবার ও রন্ধনশিল্প যে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক মেলবন্ধনেও আলোকিত কর্মছাপ রাখছে, তাও সৃজনশীলভাবে উপস্থাপন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে ।
এছাড়াও সারা দেশজুড়ে প্রায় ১০ লক্ষাধিক বাংলাদেশী ‘কারীলার্ভাস’ এর কাছে কারী শিল্পের ইতিবাচক দিক তুলে ধরতে এই এওয়ার্ড অনুষ্ঠান ভূমিকা রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে।

দীর্ঘ ১৩ বছর থেকে বিসিএ এওয়ার্ড ব্রিটেনে কারী ইন্ড্রাষ্টির জন্য একটি মাইল ফলক হিসাবেই বিবেচিত হচ্ছে। আগামী ২৫ নভেম্বর এওয়ার্ড অনুষ্ঠানে ব্রিটেনের উল্লেখযোগ্য বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব, সেলিব্রেটি,রাজনীতিবিদ এবং কারী শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট অত্যন্ত প্রভাবশালী ব্যক্তিদের অতিথি হিসাবে রাখা হয়েছে। তাঁরা এওয়ার্ড অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের পুরস্কার প্রদান করবেন।

বিসিএ সভাপতি এম এম কামাল ইয়াকুব বলেন, ‘ ব্রিটিশ কারী শিল্পে বাংলাদেশী ক্যাটারার্সদের অসাধারণ এবং ধারাবাহিক সাফল্যে আমরা আনন্দিত।
ব্রিটেনে কারী শিল্পে বাংলাদেশী, আমাদের পূর্বপুরুষদের দ্বারা এই সাফল্যের বীজটি বপন করা হয়েছিল। এরই ধারাবাহিকতায় আমাদের অর্জনগুলোতে আমরা গর্বিত। বিসিএ এওয়ার্ড আমাদের অগ্রজদের কারী শিল্পে তাদের অসীম ত্যাগ এবং প্রেরণার প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা ও আনুগত্য প্রকাশ করে এই ইন্ড্রাষ্টিকে সামনে এগিয়ে নেবার উপায়শক্তি হিসাবেই দেখছে।’

বিসিএ সেক্রেটারি জেনারেল ওলি খান বলেন, ‘কারী ইন্ড্রাষ্টি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে বিসিএ’র ধারাবাহিক সাফল্যের পেছনে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে এর অনেক গুরুত্ব¡পূর্ণ সদস্য,স্পন্সর এবং সংগঠনের সকল সদস্যসহ কমিউনিটির সর্বস্তরের ব্যক্তিবর্গের সাহায্য সহযোগিতায়ই আমাদের এই অর্জন। আমরা শ্রদ্ধায়, স্মরণে রেখে এওয়ার্ড অনুষ্ঠানটি সফল করতে নিরলস কাজ করে যাবার প্রত্যয় ব্যক্ত করছি।’

সম্প্রতি হোম অফিসের মাইগ্রেশন অ্যাডভাইজারি কমিটি এর সুপারিশগুলো কারী ইন্ড্রাষ্টিতে আশার আলো দেখাচ্ছে।

আশা করা যাচ্ছে, নিকট ভবিষ্যতে বাংলাদেশ থেকে কমদক্ষ কর্মীদের নিয়োগের সুযোগটি উন্মুক্ত হবে।

ম্যাক এছাড়াও সুপারশি করেছে যে টায়ার ২ এ হাইস্কিল স্টাফ নিয়োগের বিকল্প ব্যাবস্থাটিও বলবদ রাখার।
আমরা কারী ইন্ড্রাষ্টির ক্রমাগত বিপর্যয় ও সম্ভাবনার দিকগুলো তুলে ধরে আইনগুলো শিথিল করার বিষয়ে সরকারের সংশ্লিষ্টদের সাথে লবিং অব্যাহত রেখেছি।’

প্রধান কোষাধ্যক্ষ সাইদুর রহমান বিপুল বলেন, ‘আমাদের সকল কাজের প্রেরণা শক্তি বিসিএ পরিবারের সদস্যবৃন্দ। সকলের কঠোর পরিশ্রম ও মেধায় কারী এওয়ার্ডকে ব্রিটেনে আলোকিত পর্যায়ে নিয়ে আসা সম্ভব হয়েছে। কারী ইন্ড্রাষ্টির এই সাফল্যে বিসিএ পরিবার গর্ববোধ করছে।’

পুরস্কার ও ডিনার কমিটির প্রধান মুজাহিদ আলী চৌধুরী বলেন- ‘পুরস্কার এবং ডিনার কমিটির জন্য এটি একটি কর্মচাঞ্চল্যর্পূণ বছর। এওয়ার্ড প্রাপ্ত এবং সৃজনশীল চিন্তার শেফ তাঁদের উদ্ভাবিত মৌলিক রেসিপি নিয়ে প্রতিযোগিতায় প্রবেশ করতে দীর্ঘ প্রতিযোগিতাপূর্ণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মূলপর্বে যেতে হয়েছে।

রেস্টুরেন্ট ব্যাবসায়ীরাও তাঁদের সুপ্রতিষ্ঠিত ব্যবসা প্রতিষ্টান এবং তাঁদের নজরকাড়া পেশাদারীত্ব প্রদর্শণ প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে তাদের সৃজনশীল চিন্তা ও কাজের সর্বোচ্চ চেষ্টার প্রতিফলনের চেষ্টা স্পষ্টত লক্ষ্য করা গেছে।

২৫ নভেম্বর রবিবার পাঁচ তারকা পার্ক প্লাজা হোটেলে বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার অসংখ্য সেলিব্রেটির উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হবে জমকালো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানমালা। ব্রিটেনের কারী ইন্ড্রাষ্টির সাথে জড়িত কর্মকর্তা, স্টাফ এবং ভিন্ন ভাষা ও সংস্কৃতির ‘বাংলাদেশী কারী লার্ভাস’দের সপ্রাণ উপস্থিতি থাকবে।
অনুষ্ঠানে পরিবেশিত হবে পাঁচ তারকা খাবার। খাবার তালিকায় থাকবে বিভিন্ন মসলা ও রন্ধন শৈলীর ক্রিয়েটিভ চর্চার সমন্ধয়ে তৈরী আকর্ষণীয় খাবারের ডিস সমূহ। এইসব কাজে নিরলস ভাবে কাজ করছেন বিসিএ এর একদল স্বেচ্ছাসেবক দল।’

১৩ তম বাংলাদেশ ক্যাটার্রাস এসোসিয়েশন( বিসিএ) এর এওয়ার্ড এর স্পন্স,সহযোগী প্রতিষ্টানদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছে।
বিসিএ এওয়ার্ডটি এবার স্পন্সর করছে- কোবরা বিয়ার, কিংফিশার বিয়ার, শেফ অনলাইন, কানসারাস, স্কয়ার মাইল ইন্স্যুরন্সে, সানমার্ক, রাধুনী, ব্লু বক্স ডিল, শাপলা সিটি লিমিটেড, গান্ধী ওরিয়েন্টাল ফুড,এ্যারোমা আইসক্রিম, মাধুস এবং বিসিএ এর চ্যারেটি পার্টনার ব্রিটিশ এশিয়ান ট্রাস্ট।

প্রসঙ্গত ১৯৬০ সালে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ ক্যাটারার্স এসোসিয়েশন (বিসিএ) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ব্রিটেনে কারী ইন্ড্রাষ্টির বিভিন্ন সমস্যা চিহ্নিতকরণ, উত্তোরণ এবং এই শিল্পের বহুমুখী অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সম্ভাবনার ইতিবাচক দিকগুলো নিয়ে ধারাবাহিক ভাবে কাজ করছে।
বিসিএ ১২,০০০ ব্রিটিশি বাংলাদেশী রেষ্টুরেন্ট ও টেকওয়ের প্রতিনিধিত্বশীল সংগঠন। ব্রিটেনে বাংলাদেশী খাবার ও বাংলাদেশের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিগুলো কারী ইন্ড্রাষ্টির মাধ্যমে ব্রিটেনের মূলধারায় সফল ভাবে তুলে ধরার কাজটি করে আসছে।

Advertisement