বাংলাদেশ হাই কমিশন যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে মহান শহীদ দিবস পালন

আনসার আহমেদ উল্লাহ:দিনের শুরুতে হাই কমিশনার মোঃ নাজমুল কাওনাইন হাই কমিশন ভবনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করেন।

বেলা ১১:০০ ঘটিকায় সেন্ট্রাল লন্ডনের ঐতিহ্যবাহী বেডেন পাওয়েল হাউজে মহান শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরে হাই কমিশন কর্তৃক এক আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী, মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও ইউনেস্কো মহাপরিচালকের বাণী পাঠ করা হয়। আলোচনা সভায় মূখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট কলামিস্ট, সাংবাদিক, ও অমর একুশে ফেব্রুয়ারীর “আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো একুশে ফেব্রুয়ারী” গানের রচয়িতা আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী।

ভাষা আন্দোলনের শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে তিনি তাঁর বক্তব্য শুরু করেন। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, ভাষা আমাদেরকে একটি দেশ দিয়েছে।

আজ সারা বিশ্বে বাংলা ভাষার ব্যবহার হচ্ছে। তিনি ভাষা আন্দোলনকালীন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে কারা অন্তরীণ সময়ের স্মৃতিচারণ করেন।

অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্য সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফরেন এন্ড কমনওয়েলথ অফিসের দক্ষিণ এশিয়া বিভাগের উপ-প্রধান, ইউকে ন্যাশনাল কমিশন ফর ইউনেসস্কোর প্রতিনিধি মিজ্ আন্দ্রেয়া ব্লিক ও সাবেক এমপি স্যার এলান মিল। সভায় আমন্ত্রিত বাংলাদেশ কমিউনিটির শীর্ষ নেতৃবৃন্দের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান শরীফ, ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ গণি, যুক্তরাজ্য মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খালেদা মোশতাক কোরাইশী,  মুক্তিযোদ্ধা লোকমান হোসেন, লন্ডনস্থ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার কমিটির সদস্য আনছারুল হক এবং বাংলাদেশের প্রথম ডাকটিকেটের নকশা প্রণেতা বিমান মল্লিক।

অনুষ্ঠানে মহান শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মূলধারার সাথে সঙ্গতি রেখে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় এবং দিবসটির উপর নির্মিত একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।

উক্ত অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্য প্রবাসী গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, বাংলা প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ এবং হাই কমিশনের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।

Advertisement