বিশ্বে করোনায় কেড়ে নিলো ৪৮ লাখ ৭২ হাজার প্রাণ

চলমান মহামারি করোনা ভাইরাসের ভয়াল থাবায় বিশ্বজুড়ে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সঙ্গে আগের দিনের তুলনায় বাড়ল প্রাণঘাতী ভাইরাসে নতুন সংক্রমিত রোগীর সংখ্যাও। গেল ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে কোভিড শনাক্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন সাড়ে চার হাজারের বেশি মানুষ। নির্ধারিত এই সময়ের মধ্যে নতুন করে রোগটিতে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ফের তিন লাখের গণ্ডি ছাড়িয়ে গেছে।সর্বশেষ এক দিনে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। অপর দিকে দৈনিক মৃত্যুতে এখনো শীর্ষে রয়েছে রাশিয়া। আর এরপরই তালিকায় রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র-ইরান-ব্রাজিলের নাম। এতে বিশ্বব্যাপী কোভিড সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে ২৩ কোটি ৯০ লাখের ঘর ছাড়িয়েছে। অন্য দিকে প্রাণহানির সংখ্যাও এরই মধ্যে ৪৮ লাখ ৭২ হাজারে পৌঁছেছে।মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় সকাল পৌনে ১০টা পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে মৃত্যু, আক্রান্ত ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডো মিটারস থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, শেষ ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে কোভিড সংক্রমিত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন চার হাজার ৫৪৫ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা মাত্র আটজন বেড়েছে। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা ৪৮ লাখ ৭২ হাজার ৩৩১ জনে পৌঁছে গেছে।

নির্ধারিত এই সময়ের মধ্যে প্রাণঘাতী ভাইরাসটিতে নতুন করে তিন লাখ নয় হাজার ৬১ জন আক্রান্ত হয়েছেন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা প্রায় ১০ হাজার বেড়েছে। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত রোগটিতে শনাক্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে ২৩ কোটি ৯০ লাখ এক হাজার ৬৭৭ জনে দাঁড়িয়েছে।এ দিকে শেষ এক দিনে বিশ্বে করোনার ভয়াল থাবায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমিত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। নির্ধারিত এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে ভাইরাসটিতে শনাক্ত হয়েছেন ৪৬ হাজার ৫৮৭ জন। আর মারা গেছেন ৩৫০ জন। করোনা ভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশটিতে এ পর্যন্ত চার কোটি ৫৩ লাখ পাঁচ হাজার ৬৯০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া মৃত্যু হয়েছে সাত লাখ ৩৪ হাজার ৫৩৫ জনের।

অপর দিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় এখনো শীর্ষে রয়েছে রাশিয়া। গেল ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে প্রাণ হারিয়েছেন ৯৫৭ জন। আর নতুন করে ভাইরাসটিতে সংক্রমিত হয়েছেন ২৯ হাজার ৪০৯ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এ পর্যন্ত মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৭৮ লাখ চার হাজার ৭৭৪ জনে পৌঁছেছে। আর মৃত্যু হয়েছে দুই লাখ ১৭ হাজার ৩৭২ জনের।করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল। শেষ এক দিনে দেশটিতে করোনার থাবায় আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ২১৯ জন। আর নতুন করে ভাইরাসটিতে সংক্রমিত হয়েছেন ছয় হাজার ৯১৮ জন। অপর দিকে মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দুই কোটি ১৫ লাখ ৮২ হাজার ৭৩৮ জনে পৌঁছেছে। এছাড়া মৃত্যু হয়েছে দুই লাখ এক হাজার ২৬৬ জনের।

এ দিকে করোনার থাবায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার ঘনবসতিপূর্ণ দেশ ভারত। যদিও প্রাণঘাতী ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারানোদের তালিকায় দেশটির অবস্থান তৃতীয়। নির্ধারিত এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে করোনার থাবায় সংক্রমিত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন ১৭৭ জন। আর নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ হাজার ১৮৬ জন। দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে তিন কোটি ৩৯ লাখ ৮৪ হাজার ৪৭৯ জনে দাঁড়িয়েছে। আর মারা গেছেন চার লাখ ৫০ হাজার ৯৯১ জন।শেষ এক দিনে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানে করোনা ভাইরাসের থাবায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন ২৭৬ জন। আর নতুন করে রোগটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ হাজার ৫০৪ জন। অন্য দিকে নির্ধারিত এই সময়ের মধ্যে উত্তর আমেরিকার দেশ মেক্সিকোতে প্রাণ হারিয়েছেন ১২৮ জন। মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে দুই লাখ ৮২ হাজার ৮৬ জনের।উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে এশিয়ার পরাশক্তি চীনের উহান শহরে প্রথম করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত বছরের ১১ মার্চ প্রাণঘাতী ভাইরাসটিকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি সংস্থাটি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে।

Advertisement