বিশ্বে করোনায় প্রাণহানি ৪৮ লাখ ছাড়ালো

করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যু বেড়েই চলেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে এ ভাইরাস কেড়ে নিয়েছে সাত হাজার ৩৩৪ জনের প্রাণ। এ নিয়ে সারাবিশ্বে ভাইরাসে মৃত্যু ৪৮ লাখ ছাড়ালো। একই সময়ে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন চার লাখ ৭০ হাজার ৯৫৮ জন। আর সেরে উঠেছেন চার লাখ ৪৬ হাজার ৯৩৬ জন।শনিবার (২ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৮টায় আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যানভিত্তিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, বিশ্বে এখন পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৪৮ লাখ পাঁচ হাজার ৯২ জনের। আর মোট আক্রান্ত হয়েছেন ২৩ কোটি ৫০ লাখ ৩৯ হাজার ৫৮৭ জন। এর মধ্যে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ২১ কোটি ১৭ লাখ ৯০ হাজার ৫৬৩ জন।

এখন পর্যন্ত করোনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন চার কোটি ৪৪ লাখ ৪৩ হাজার ৪০৫ জন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছে এক লাখ ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ। দেশটিতে ভাইরাসে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন সাত লাখ ১৮ হাজার ৯৮৪ জন। আর সেরে উঠেছেন তিন কোটি ৩৮ লাখ ১৬ হাজার ৪৯৪ জন।তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত। দেশটিতে এখন পর্যন্ত সংক্রমিত হয়েছেন তিন কোটি ৩৭ লাখ ৮৯ হাজার ৩৯৮ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন চার লাখ ৪৮ হাজার ৬০৫ জন। আর সুস্থ হয়েছেন তিন কোটি ৩০ লাখ ৬০ হাজার ৯৮০ জন।তালিকার তৃতীয় অবস্থানে থাকা ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে সংক্রমিতের সংখ্যা দুই কোটি ১৪ লাখ ৪৫ হাজার ৬৫১ জন। এর মধ্যে পাঁচ লাখ ৯৭ হাজার ২৯২ জন মারা গেছেন। আর সেরে উঠেছেন দুই কোটি চার লাখ ৩২ হাজার ৬৪৩ জন।

তালিকায় এরপরের স্থানগুলোতে রয়েছে যথাক্রমে যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, তুরস্ক, ফ্রান্স, ইরান, আর্জেন্টিনা, স্পেন, কলম্বিয়া ও ইতালি।তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান এখন ২৯ নম্বরে। দেশে এখন পর্যন্ত করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ১৫ লাখ ৫৬ হাজার ৭৫৮ জন। তাদের মধ্যে মারা গেছেন ২৭ হাজার ৫৩১ জন। আর ১৫ লাখ ১৬ হাজার ৯০১ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন।২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এ ভাইরাসে দেশটিতে প্রথম মৃত্যু হয় ২০২০ সালের ৯ জানুয়ারি। এরপর ওই বছরের ১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে।সংক্রমণ চীন থেকে ছড়িয়ে পড়ার পর সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয় ইউরোপের কিছু দেশ ও যুক্তরাষ্ট্র। তবে দেশগুলোতে চলতি বছরের শুরুর দিকে করোনা নিয়ন্ত্রণে আসা শুরু হয়। এর বিপরীতে পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকে ভারতসহ এশিয়ার কিছু দেশে। তবে ভারত থেকে ছড়িয়ে পড়া ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের করোনা পরিস্থিতি ফের খারাপ হয়।এরই মধ্যে অব্যাহতভাবে টিকাদান চালিয়ে যাচ্ছে বিশ্বের প্রায় সবগুলো দেশ। কোনো কোনো দেশ টিকার বুস্টার ডোজ ও শিশুদেরও টিকাদান শুরু করেছে।

Advertisement