বিশ্বে ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু ও আক্রান্ত কমেছে

প্রাণঘাতী করোনায় একদিনের ব্যবধানে নতুন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে ৩ লাখ ৩৩ হাজারেরও বেশি, সেই সঙ্গে এ রোগে মৃত্যু কমেছে প্রায় ২ হাজার। বিশ্বজুড়ে মহামারি শুরুর পর থেকে এ রোগে প্রতিদিন আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার্স জানিয়েছে এ তথ্য।ওয়ার্ল্ডোমিটার্সের হিসেব অনুযায়ী, শনিবার বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লাখ ৮১ হাজার ৮৪১ জন এবং এ রোগে মারা গেছেন ৩ হাজার ৯০৭ জন।আগের দিন শুক্রবার বিশ্বে করোনায় নতুন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ৮ লাখ ১৫ হাজার ৫৬৪ জন এবং এই রোগে মারা গিয়েছিলেন ৫ হাজার ৮৬০ জন।হিসেব করে দেখা যাচ্ছে, ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে করোনায় নতুন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে ৩ লাখ ৩৩ হাজার ৭২৩ জন এবং মৃতের সংখ্যা কমেছে ১ হাজার ৯৫৩ জন।

ওয়ার্ল্ডোমিটার্স বলছে, শনিবার সর্বোচ্চ দৈনিক সংক্রমণ হয়েছে ফ্রান্সে, আর এ রোগে এই দিন সর্বোচ্চসংখ্যক মৃত্যু দেখেছে রাশিয়া।শনিবার ফ্রান্সে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৪ হাজার ৬১১ জন এবং এ রোগে মারা গেছেন ৮৪ জন। একই দিন রাশিয়ায় করোনায় মারা গেছেন ৯৮১ জন এবং এ রোগে নতুন আক্রান্ত হয়েছেন ২৪ হাজার ৯৪৬ জন।ফ্রান্স ও রাশিয়া ব্যতীত বিশ্বের অন্যান্য যেসব দেশে শনিবার করোনায় আক্রান্ত-মৃত্যুর উচ্চহার দেখা গেছে, সে দেশগুলো হলো- ইতালি (নতুন আক্রান্ত ৫৪ হাজার ৭৬২, মৃত্যু ১৪৪), যুক্তরাষ্ট্র (নতুন আক্রান্ত ৪০ হাজার ৪৫৮, মৃত্যু ১০৮), তুরস্ক (নতুন আক্রান্ত ২০ হাজার ৪৭০, ‍মৃত্যু ১৪৫) এবং জার্মানি (নতুন আক্রান্ত ১৭ হাজার ২৪৮, মৃত্যু ১১৭)।এছাড়া, এইদিন বিশ্বজুড়ে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩ লাখ ৫৫ হাজার ৮০৩ জন। এই সংখ্যা অবশ্য আগের দিন শুক্রবারের চেয়ে কম। শুক্রবার বিশ্বে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন ৪ লাখ ৪৬ হাজার ৩৮৪ জন।

বিশ্বে বর্তমানে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ২ কোটি ৪৩ লাখ ৮৮ হাজার ৬৬২ জন। এই রোগীদের মধ্যে করোনার মৃদু উপসর্গ বহন করছেন ২ কোটি ৪৩ লাখ ৬১ জন এবং গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় আছেন ৮৮ হাজার ৬০১ জন।২০২০ সালে মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ২৭ কোটি ৯৮ লাখ ১২ হাজার ৬৫৯ জন এবং এ রোগে মৃত্যু হয়েছে মোট ৫৪ লাখ ১৩ হাজার ৯০ জনের। এছাড়া করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে উঠেছেন মোট ২৫ কোটি ১০ হাজার ৯৭৩ জন।২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে বিশ্বের প্রথম করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। করোনায় প্রথম মৃত্যুর ঘটনাটিও ঘটেছিল চীনে।তারপর অত্যন্ত দ্রুতগতিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসটি। পরিস্থিতি সামাল দিতে ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।কিন্তু তাতেও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় অবশেষে ওই বছরের ১১ মার্চ করোনাকে মহামারি হিসেবে ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।

Advertisement