বৃটেনে অভিবাসী আসা ঠেকাতে নতুন আইন, বিতর্ক

ছোট নৌকায় করে বৃটেনে আসা অভিবাসীদের ঠেকাতে নতুন আইন ঘোষণা করেছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রাভারম্যান। মঙ্গলবার তিনি পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সে আইনটির বিস্তারিত তুলে ধরেন। তবে এ আইন নিয়ে এরইমধ্যে শুরু হয়েছে বিতর্ক। মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোর আশঙ্কা, এই আইনের কারণে হাজার হাজার প্রকৃত শরণার্থী অপরাধী বলে পরিগণিত হবে। বিরোধীদল লেবার পার্টিও এই নতুন বিলকে একটি প্রতারণা হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।বিবিসির খবরে জানানো হয়েছে, গত বছর বৃটেনে ছোট নৌকায় করে আশ্রয় নেয়া অভিবাসীর সংখ্যা রেকর্ড ৪৫ হাজার ছাড়িয়েছে। গত দু’বছরে এ সংখ্যা পাঁচগুণ বেড়েছে। তাদের মধ্যে ইরাক, ইরান, আফগানিস্তান, সিরিয়া, আলবেনিয়া, ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ইরিত্রিয়া, সোমালিয়া, ও সুদানসহ নানা দেশ থেকে আসা লোক রয়েছে। বৃটেন ও ফ্রান্সের মধ্যে থাকা ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে তারা আশ্রয়ের আশায় বৃটেনের উপকূলে পৌঁছান। নতুন আইন অনুযায়ী, এই অভিবাসীদেরকে আটক করা হবে এবং তার পর দ্রুত তাদের নিজদেশে ফেরত পাঠানো হবে।

পার্লামেন্টে ব্রাভারম্যান বলেন, এ নতুন আইনে নৌকায় করে বৃটেনে আসা অভিবাসীদের আশ্রয় চাওয়া নিষিদ্ধ করা হবে। তাদেরকে হয় নিজ নিজ দেশে অথবা রোয়াণ্ডায় পাঠানো হবে।সেখান থেকে তারা বৈধভাবে আশ্রয়ের আবেদন করতে পারবেন। যদিও অভিবাসীদের নেয়ার জন্য রোয়ান্ডার সাথে বৃটেন যে চুক্তি করেছিল তা এখনও আদালতে আটকে আছে। বৃটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দাবি, আটক এবং বহিষ্কারের খবর পৃথিবী না জানা পর্যন্ত এভাবে লোক আসা বন্ধ হবে না। বৃটেন এখন আর অভিবাসীদের চাপ সামলাতে পাড়ছে না।কিন্তু মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো বলেছে, এই আইনের কারণে হাজার হাজার প্রকৃত শরণার্থী অপরাধী বলে পরিগণিত হবে এমন ঝুঁকি রয়েছে। ব্রাভারম্যান নিজেও বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন। এদিকে বিরোধীদল লেবার পার্টি এই নতুন বিলকে একটি প্রতারণা হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। তাদের অভিযোগ, ক্ষমতাসীন কনসারভেটিভ দল অভিবাসীদের সমস্যাটি যথাযথভাবে মোকাবিলা করতে পারছে না।

Advertisement