ব্রিটেনে আগামী ৬ মে’র নির্বাচন : তৃণমূল ভোটারের মুখোমুখি বড় দলের নেতারা

করোনা মহামারীর কারণে ব্রিটেনে গত এক বছরের বেশি সময় ধরে নির্বাচন হয়নি। করোনার কারণে বাতিল করা হয় গত বছর মে’র নির্বাচন। সেই নির্বাচন হচ্ছে আগামী ৬ মে। এদিন স্কটিশ এবং ওয়েলস পার্লামেন্ট, লন্ডন মেয়রসহ ইংল্যান্ডের শতাধিক কাউন্সিলের কাউন্সিল নির্বাচন হবে। তবে এবার স্কটিশ পার্লামেন্ট নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলকে যেমন নতুন পরীক্ষা দিতে হবে, তেমনি স্কটিশ লেবার এবং কনজারভেটিভ পার্টির নতুন নেতাও পরীক্ষিত হবেন। অন্যদিকে তৃণমূল ভোটারদের কাছে পরীক্ষিত হবেন ব্রিটিশ বড় তিন রাজনৈতিক দলের তিন নেতাকে।
স্কটিশ পার্লামেন্টের ১২৯টি সিটের মধ্যে ২০১৬ সালের নির্বাচনে ৬৩ সিট পেয়েছিল স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি। এবারের নির্বাচনে নতুন বিষয় হল এসএনপিকে মোকাবেলা করতে হবে সাবেক ফার্স্ট মিনিষ্টার অ্যালেক্স সামন্ডের নবগঠিত পার্টি আলবা পার্টিকে। আলবা এরিমধ্যে কিছু এসএনপির এমপিকে ভাগিয়ে নিয়ে গেছে। অন্যদিকে নতুন নেতার নেতৃত্বে এবার নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে স্কটিশ লেবার এবং কনজারভেটিভ পার্টি।

এদিকে ৬০ সিটের ওয়েলস এসেম্বলীতে ২০১৬ সালের নির্বাচনে ২৯ সিট নিয়ে ক্ষমতায় রয়েছে লেবার পার্টি। কনজারভেটিভ এবং প্লাইড কামরু বিরোধী দলের অবস্থান নিয়ে লড়াই করছে। অন্যদিকে ইউকিপের ৭ এমপির মধ্যে ৬ জনই এরিমধ্যে পার্টি ছেড়ে চলে গেছে। স্কটল্যান্ড এবং ওয়েলসে এবারই প্রথম ১৬ বছর বয়সী ভোটাররা ভোট দিবেন।

এদিকে ইংল্যান্ডে সবচাইতে বড় ইস্যু হচ্ছে লন্ডন মেয়র নির্বাচন। একই সঙ্গে ২৫ জন লন্ডন এসেম্বলী মেম্বারও নির্বাচিত হবেন আগামী ৬ মে। লন্ডনে ৬ মিলিয়নের বেশি ভোটার রয়েছেন। এছাড়াও ইংল্যান্ডে আরো ৭টি সিটিতে মেয়র এবং ৫টি সিটিটে মেট্ট মেয়র নির্বাচন হবে। একই সঙ্গে ১শ ৪৩টি কাউন্সিলে হবে কাউন্সিল নির্বাচন। এ কারণে নির্বাচনে ভোটারদের কাছে স্থানীয় ইস্যুগুলোই প্রাধান্য পাবে বলে আশা করা হলেও তাতে মূলত জাতীয় চিত্রই ফুটে উঠবে। প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের করোনা মেকাবেলার প্রভাব পড়তে পারে এই স্থাণীয় নির্বাচনে। অন্যদিকে লেবার এবং লিবডমেডের নতুন নেতা হিসেবে দুই স্যারকেও এবার মূল্যায়ন করার সুযোগ পাবে তৃণমূলের ভোটাররা। নির্বাচনে হাটলিপুলের উপনির্বাচনে নতুন এমপি নির্বাচন করা হবে। এছাড়াও ইংল্যান্ডের ৩৫ জন এবং ওয়েলসের ৪ জন পুলিশ এবং ক্রাইম কমিশনার নির্বাচিত হবেন আগামী ৬মের নির্বাচনে।

Advertisement