ব্রেক্সিট ইস্যুতে ক্রমশ প্রকাশ হচ্ছে কেবিনেটের মতবিরোধী : চাপ বাড়ছে প্রধানমন্ত্রীর উপর

ব্রিটবাংলা ডেস্ক : ব্রেক্সিট ইস্যুতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরিসা মে’র কেবিনেটের অভ্যন্তরণী দ্বন্ধ ক্রমশ প্রকাশ্য রূপ নিচ্ছে। আগামী ২৯শে মার্চ ব্রেক্সিট হবে। কিন্তু এর মধ্যে পার্লামেন্টে কোনো ডিলের অনুমোদন নিতে পারছেন না প্রধানমন্ত্রী থেরিসা মে। ১২ মার্চ থেকে ১৪ মার্চ, পরপর তিন দিন পার্লামেন্টে ভোটাভুটি হবে প্রধানমন্ত্রীর, সংশোধিত ব্রেক্সিট পরিকল্পনা, ডিল ও নো ডিলে ব্রেক্সিট এবং ব্রেক্সিটের তারিখ পেছানো সংক্রান্ত তিনটি ইস্যুতে।
এদিকে নো ডিলে ব্রেক্সিটের বিরোধীতা করে প্রয়োজনে ব্রেক্সিটের তারিখ পেছানোর দাবীতে মঙ্গলবার নতুন করে দু’জন মিনিষ্টার প্রকাশ্যে পদত্যাগের হুমকি দিয়েছেন। নো ডিলে ব্রেক্সিট হলে পরিণতি কি হবে, তা খুলে বলার জন্যে প্রধানমন্ত্রীকে তাগিদ দিয়েছেন ডিজিটাল মিনিষ্টার মারগট জেইমস এবং বিজনেস এন্ড এনার্জি মিনিষ্টার রিচার্ড হ্যারিংটন এবং ক্লেয়ার পেরি। মঙ্গলবার সকালে বিবিসি রেডিও ফোরের প্রোগ্রামে তারা প্রধানমন্ত্রীর প্রতি এই সতর্কতা জারি কোনো ডিল ছাড়া ২৯শে মার্চ ব্রেক্সিটের চাইতে আর্টিক্যাল ফিফটির সময় সীমা বৃদ্ধির জন্যে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী যদি তাদের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেন তাহলে তারা কেবিনেট থেকে পদত্যাগ করার জন্যে প্রস্তুত রয়েছেন বলেও জানিয়েছেন এই তিন মিনিষ্টার।
আগামী ১২ই মার্চ প্রধানমন্ত্রীর সংশোধিত ব্রেক্সিট পরিকল্পনার উপর ভোটাভুটি হবে পার্লামেন্টে। তাতে প্রধানমন্ত্রীর পরিকল্পনা পাশ না হলে ১৩ মার্চ ভোটাভুটি হবে ডিল না হলে নো ডিলে ব্রেক্সিট হবে কি না, তার উপর। তাতে যদি নো ডিলে ব্রেক্সিটের বিপক্ষে এমপিরা মতামত দেন তাহলে ১৪ মার্চ ভোটাভুটি হবে আর্টিক্যাল ফিফটির সময় সীমা বাড়ানো হবে কি না, তার উপর।
এদিকে কোনো ধরনের ডিল ছাড়া ব্রেক্সিটের চাইতে প্রয়োজনে ২৯ মার্চের বদলে ব্রেক্সিট পেছানোর দাবীতে এর আগে গত শুক্রবার ডেইলি মেইলে প্রকাশিত এক যৌথ কলামে প্রথম প্রকাশ্যে মত প্রকাশ করেন ওয়ার্ক এন্ড পেনসন সেক্রেটারী এম্বার রাড, বিসনেস সেক্রেটারী গ্রেগ ক্লার্ক এবং জাস্টিস সেক্রেটারী ডেভিড গাউক। তারো আগে এই ব্রেক্সিট ইস্যুকে কেন্দ্র করে প্রধানমন্ত্রীর উপর ক্ষোভ প্রকাশ করে কনজারভেটিভের তিন এমপি টোরি ত্যাগ করে ইন্ডিপেনডেন্ট গ্রুপে যোগ দিয়েছেন।

Advertisement