মরহুম শাহাব উদ্দিন আহমদ বেলালের নামে টাওয়ার হ্যামলেটসে সড়ক বা স্থাপনার নামকরনের প্রস্তাব

নিজস্ব প্রতিবেদক : চ্যানেল এস এর চেয়ারম্যান, বিশিষ্ট কমিউনিটি ব্যাক্তিত্ব আহমেদ উস সামাদ চৌধুরী জেপি’র আবেদনে বিশিষ্ট সাংবাদিক, সাবেক কাউন্সিলার মরহুম শাহাব উদ্দিন আহমদ বেলালের নামে টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের কোন একটি সড়ক বা স্থাপনা নামকরনে উদ্যোগ নেয়ার ব্যাপারে সাড়া দিয়েছেন টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের মেয়র জন বিগস।
২৯ মে ২০১৯ তারিখে আহমেদ উস সামাদ চৌধুরী জেপি কমিউনিটির পক্ষ থেকে জন বিগস বরাবর এক চিঠিতে উল্লেখ করেন, ব্রিটেনে বাংলাদেশী কমিউনিটি বিশেষ কওে টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলে মরহুম শাহাবউদ্দিন বেলালের অবদান অনুকরনীয়।
তিনি একজন সমাজ সংস্কারক, সংগঠক, রাজনীতিবিদ এবং সাংবাদিক। প্রতিটি ক্ষেত্রেই তিনি সফল ও যুগান্তকারী ভূমিকা রেখেছেন। তার এই অবদান পরবর্তী প্রজন্মের জন্য অনুকরনীয়। এটিকে স্বীকৃতি দিতে কমিউনিটির কোন একটি সড়ক বা স্থাপনার নাম তার নামে করার জন্য প্রস্তাব রইলো।


আহমেদ উস সামাদ চৌধুরী জেপি’র এই চিঠির উত্তরে ৯ জুলাই ২০১৯ তারিখে মেয়র জন বিগস বলেন, মরহুম শাহাবউদ্দিন বেলাল রাজনীতিবিদ এবং সমাজ সংস্কারক হিসাবে যে অবদান রেখেছেন তা অনস্বীকার্য। এমনকি মেয়র উল্লেখ করেন, তিনি যখন প্রথম কাউন্সিলার হয়ে টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলে প্রতিনিধিত্ব করতে যান তখন তিনি দেখেছেন শাহাবউদ্দিন বেলাল কিভাবে এই কমিউনিটির জন্য কাজ করেছেন। তিনি সব সময় ন্যায়ের পক্ষে কমিউনিটির উন্নয়নে কাজ করে গেছেন।
মেয়র বিগস আরও বলেন, কাউন্সিলের সংস্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাদের কাছে তিনিও অনুরোধ কবেন যেনো শাহাবউদ্দিন বেলাল যে ওয়ার্ডের কাউন্সিলার ছিলেন সেই সেন্ট ডানষ্টান্ট ওয়ার্ডের আশে পাশের কোন সড়ক বা স্থাপনার নাম যেনো শাহাবউদ্দিন বেলালের নামে নামকরন করা হয়।
এই চিঠির উত্তর পাওয়ার পর আহমেদ উস সামাদ চৌধুরী জেপি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, এটি কমিউনিটির দাবি। মেয়র যেভাবে আশ্বাস দিয়েছেন মরহুম শাহাবউদ্দিন বেলালের নাম চিরস্মরনীয় করে রাখার জন্য উদ্যোগ নিবেন আশা করছি সেটা অচিরেই বাস্তবায়ন হবে।

উল্লেখ্য  ৭০,৮০ ও ৯০ দশকে ব্রিটিশ রাজনীতিতে বাঙালীদের অধিকার প্রতিষ্টার আন্দোলনসহ রাজনৈতিক, সামাজিক ও বর্নবাদ বিরুধী আন্দোলনে শাহাব উদ্দিন আহমদ বেলাল লেখনি ও আন্দোলনের মাধ্যমে কমিউনিটিকে এগিয়ে নিয়ে যান। তিনি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। তার দেহে বাইপাস অপারেশনসহ ছয়টি রিং বসানো হয়েছিল। ছয় মাস পূর্বে তার দেহে একটি পেইস মেকার ও লাগানো হয়। ২০১৮ সালের ২৬ জানুয়ারী রয়েল লন্ডন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন।

Advertisement