‘মা দিবসে’ মায়েদের জন্য সেরা উপহার

আপনি সেলাই জানেন? ছবি তুলতে, আঁকতে অথবা কেক তৈরি করতে পারেন? অবশ্য এ সব কিছু যে খুব ভালো জানতে হবে তা নয়! মায়েরা আসলে চান উপহারের মধ্যে সন্তানের হাতের স্পর্শ থাকুক, এই এতটুকুই।

হাতে লেখা চিঠি – একান্তই ব্যক্তিগত
হাতে লেখা চিঠির কথা আজকাল আর কেউ ভাবে না। আচ্ছা, মায়ের সাথে ছোটবেলার মধুর কোনো স্মৃতি কিংবা জীবনে এগিয়ে যেতে উৎসাহিত করেছে তাঁর এমন কোনো কথা অথবা আবেগজড়িত কোনো স্মৃতি কি আপনার মনে পড়ে? উত্তরটা যদি ইতিবাচক হয়, তাহলে একটু সময় নিয়ে যত্ন করে চিঠি লেখার একটি সুন্দর কাগজে মায়ের পছন্দের সোনালি-রূপালি বা অন্য কোনো কালি দিয়ে সে কথাগুলো লিখে ফেলুন। দেখবেন চিঠি পেয়ে মায়ের মন ভরে যাবে।

চিঠির ভাষা কেমন হবে?
আপনি আপনার মায়ের সাথে যেভাবে কথা বলেন, যে ভাষা ব্যবহার করেন, ঠিক সেভাবেই লিখবেন। চিঠিটি পড়ার সময় আপনার মায়ের যেন বারবার মনে হয়, তাঁর আদরের সন্তানই লিখেছে এই চিঠি। বিশেষ এই চিঠিতে কিছুটা আবেগ যেন অবশ্যই থাকে, যেন মনে হয় মায়ের গলা জড়িয়ে ধরে তাঁকে কথাগুলো বলছেন আপনি।

মায়ের সাথে কোনো ছবি
মায়ের সাথে তোলা অন্তরঙ্গ এমন কোনো ছবি – যা বারবারই মাকে দিতে চেয়েছেন, কিন্তু দেয়া আর হয়ে ওঠেনি….সে ছবিটি এবার একটি ফ্রেমে বাধিয়ে দিতে পারেন তাঁকে। তবে নিজে ছবি আঁকতে পারলে তো কথাই নেই!

‘ধন্যবাদ’
চিঠির খামর ওপর লিখবেন ‘ধন্যবাদ’। আর ভেতরে যে কথাগুলো অবশ্যই স্থান পাবে, সেগুলো হচ্ছে – যেভাবে তিনি সবসময় আপনার পাশে থেকে অসীম ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছেন কিংবা মন খারাপ হলে বুকে টেনে নিয়ে সান্ত্বনা দিয়েছেন – এ ধরনের দু-এক লাইন। তাছাড়া সন্তান. অর্থাৎ আপনার স্বপ্নপূরণ করতে গিয়ে অনেক সময় হয়ত তিনি নিজেকে বঞ্চিত করেছেন, সে কথা উল্লেখ করতেও ভুলবেন না কিন্তু!

বিকল্প উপহার
যদি সময় বা অন্য কিছু বাঁধ সাধে, তাহলে তো কিছু কেনা ছাড়া উপায় নেই। সেক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে যেসব জিনিস আপনার মা বেশি ব্যবহার করেন, সেরকম কিছু দেওয়ার কথা। সেটা হতে পারে স্কার্ফ, রুমাল, শাল বা এ রকম কিছু, যা কিনা সবসময় তিনি সাথে রাখতে পারেন। কারণ বেশিরভাগ মা-ই তাঁর সন্তানের দেওয়া উপহার বা সন্তনের সাফল্যের কথা অন্যদের জানিয়ে তৃপ্তি পান।

সন্তানের দেয়া ‘কিছুক্ষণ সময়’ যে মহা মূল্যবান
মা যদি দূরে থাকেন, তবে ‘মা দিবসে’ নিয়ে যেতে পারেন নিজের বাগানের ফুল কিংবা কিনতে পারেন ছোট্ট একটি ফুলের তোড়া। তবে সবচেয়ে বড় কথা, সেদিন মাকে কিছুটা সময় যেন দিতে পারেন। করতে পারেন ছোটবেলার গল্প। এতেই কিন্তু তিনি মহা খুসি হবেন। আসলে সন্তানের কাছ থেকে মায়ের চাওয়া এই টুকুই। দামি উপহার তাঁরা চান না। তাঁরা শুধু চান সন্তানের কাছাকাছি থাকতে, কিছুটা সান্নিধ্য পেতে। আজকের দিনে এই ‘সময়’ যে প্রায় ‘দূর্লভ’!

কৃতজ্ঞতা
সেই সমস্ত মা-বাবার উদ্বেগ কম হয়, হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কম থাকে, যাঁদের সন্তান নিয়মিত তাঁদের খোঁজ-খবর নেয় এবং মাঝে মধ্যে কৃতজ্ঞতা জানায়। এছাড়া এতে করে তাঁদের সুখ হরমোনের ভারসাম্যও স্বাভাবিক থাকে। যুক্তরাষ্ট্রের স্যান ডিয়েগো San Diego বিশ্ববিদ্যালয়ের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ পল মিল-এর করা এক সমীক্ষার ফলাফল থেকে এই তথ্যগুলোই বেরিয়ে এসেছে।

– ডিডাব্লিউ থেকে

Advertisement