মেলায় কবিতার বই বেশি, পাঠক কম

মেলায় প্রতিদিনই আসছে নতুন বই। সেই সঙ্গে বাড়ছে পাঠকের ভিড়। তারা মেলায় ঘুরে ঘুরে দেখছেন বই। পাঠকের চাহিদা মেটাতে প্রকাশনীগুলো বিভিন্ন ধরনের বই মেলায় আনছে। এর মধ্যে রয়েছে- গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, কবিতা, ছড়া, শিশুতোষ, রচনাবলি, মুক্তিযুদ্ধ, নাটক, বিজ্ঞান, ভ্রমণ, ইতিহাস, ধর্মীয়সহ নানা বই। গত ছয় দিনে বাংলা একাডেমির হিসাবে মেলায় এসেছে প্রায় ৬৬২টি বই। সেখানে দেখা যায় কবিতার বইয়ের সংখ্যা দেড়শ’র অধিক। অন্য বই যেখানে ১০০ পার হতে পারেনি। আগামী প্রকাশনীর প্রকাশক ওসমান গনি জানান, ব্যক্তি উদ্যোকে অনেকে কবিতার বই আনেন। আবার অনেক সময় টাকা দিয়ে প্রকাশনী থেকে ছাপিয়ে নেন। কবিতার বই করা খুব সহজ বলে অনেক প্রকাশক এ ধরনের বই করতে উৎসাহী হন। শুধু এবারই নয়, প্রতি বছরই দেখা যায়, অন্য বইয়ের চেয়ে কবিতার বইয়ের সংখ্যা অনেক বেশি। এটা আমাদের জন্য অবশ্যই খারাপ একটি দিক। মানহীন বইয়ের মধ্যে বেশিরভাগই থাকে কবিতার বই। তাই প্রকাশকসহ সবাইকে কবিতার বইয়ের ব্যাপারে একটু কঠোর অবস্থানে যেতে হবে। অন্যদিকে বেশি সংখ্যক কবিতার বই থাকায়, ভালো লেখক উঠে আসতে পারছেন না। মেলায় আসা একজন পাঠক শারমিনা হক বলেন, আমার কবিতার বই অনেক ভালো লাগে। সবসময় চাই ভালো বই কিনতে, নতুন কবিদের বই কিনতে। কিন্তু সেটা হয়ে ওঠে না। মেলায় এসে নাম দেখে বই হাতে নিই। কিন্তু বেশিরভাগ সময় হতাশ হতে হয়। ভালো লেখকের বই খুঁজতে আমাদের রীতিমতো হয়রানি হতে হয়। মেলায় আসা কবিতার বইগুলোর মধ্যে চোখে পড়ে পরজিতা প্রকাশনীর ইকবাল হাসানের ‘ভালো আছি’, নন্দিতা প্রকাশের জাহাঙ্গীর হাফিজের ‘বুকের ভিতর লেলিহান’, এবিএম সোহেল রশিদের ‘আগুন পথে একাকী হাঁটি’, আনোয়ার মজিদের ‘জলে ধুয়ে যায় জলে’, মুক্তচিন্তা প্রকাশনী থেকে এসেছে মোহাম্মদ আলী খানের ‘একুশে বর্ণমালা’, তিউড়ি প্রকাশনা থেকে শাশ্বত হাসানের ‘কবিতা সমগ্র-২’, মূর্ধন্য থেকে মোজাফফর হোসেন ভূঁইয়ার ‘উদয়’। মেলা ঘুরে দেখা যায় বড় প্রকাশনীতে গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, ছড়া, শিশুতোষ বা রচনাবলি বেশি। অন্যদিকে ছোট প্রকাশনাগুলো প্রাধান্য পেয়েছে কবিতার বই।

Advertisement