মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট এবং স্মার্ট কার্ড : বিপাকে প্রবাসীরা (ভিডিওসহ)

ব্রিটবাংলা ডেস্ক : মাত্র পাঁচ বছর মেয়াদী বাংলাদেশী মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট নিয়ে বিপাকে পড়েছেন প্রবাসে বাংলাদেশী পাসপোর্ট ব্যবহারকারীরা। পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নতুন কোরে নানা জঠিলতায় পড়তে হচ্ছে তাদের। অন্যদিকে বাংলাদেশের স্মার্টকার্ড নিয়েও নতুন আতঙ্কের তৈরী হয়েছে প্রবাসীদের মাঝে। স্মার্ট কার্ড না থাকায় অনেক কিছু থেকেই বঞ্চিত হচ্ছেন প্রবাসীরা। পাসপোর্টের মেয়াদ দশ বছর করার পাশাপাশি বিদেশে বাংলাদেশী মিশন থেকেই প্রবাসীদের স্মার্ট কার্ড প্রদানের ব্যবস্থা করার জন্যে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সংশ্লিস্টরা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লন্ডন সফরে এলে দলীয় নেতাকর্মীরা দেখা স্বাক্ষাতের সুযোগ পান। তখন যে যার সমস্যার কথা দলীয় নেত্রীর সামনে তুলে ধরেন। তবে এর ব্যতিক্রম ঘটিয়েছেন ইউকে আওয়ামী আইনজীবি পরিষদের নেতা ব্যারিষ্টার আবুল কালাম চৌধুরী। প্রধানমন্ত্রীর সর্বশেষ ইউকে সফরের সময় হোটেলে স্বাক্ষাতের সময় তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মার্ট কার্ডের ইস্যুটি তুলে ধরার চেষ্টা করেন। প্রধানমন্ত্রীও ব্যারিষ্টার কালামের বক্তব্যটি মনোযোগ দিয়েন শুনেন।
ন্যাশনাল আইডি কার্ডের ডিজিটাল রূপ হল স্মার্ট কার্ড। ২০১৬ সালের অক্টোবর থেকে স্মার্ট কার্ডের প্রজেক্ট শুরু করে বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন। এর আগে ছিল ন্যাশনাল আইডি কার্ড। ল্যামেনেটিং করা একটি কার্ডে বাবা, মার নাম, ঠিকানা এবং ছবিসহ আইডি নাম্বার থাকত। কিন্তু স্মার্ট কার্ডে ক্রেডিট কার্ডের মতো ডিভাইস সংযোজন করা হয়েছে।
বাংলাদেশে ব্যাংক একাউন্ট খোলা, জায়গা জমি ক্রয়-বিক্রয়সহ প্রায় ২২টি কাজে এই স্মার্ট কার্ড লাগবে। সংশ্লিষ্ট আইনজীবিরা জানিয়েছেন, স্মার্ট কার্ড ছাড়া জায়গা সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয় এবং বাংলাদেশের ব্যাংকে জমানো টাকা লেন দেনে প্রবাসীরা ইতোমধ্যে সমস্যার মুখোমুখি হতে শুরু করেছেন। প্রবাসীরা দেশে গিয়ে ব্যাংক একাউন্ট খুলতে পারছেন না। পুরনো একাউন্টও পরিচালনা করতে পারছেন না। জায়গা-জমি কেনা-বেচায়ও তাদের কাছে সংশ্লিষ্ট অফিস আদালতে স্মার্ট দেখতে চাচ্ছেন। স্মার্ট কার্ড দেখাতে না পারলে কিছুই করা যাচ্ছে না।


শুধু স্মার্ট কার্ড নয়, মেশিন রিডেব্যাল পাসপোর্ট নিয়েও বিপাকে আছেন প্রবাসী বাংলাদেশী পাসপোর্টধারীরা। পূর্বে বাংলাদেশের হাতে লিখা পাসাপোর্ট পাঁচ বছর পর নবায়ন করা যেতো এবং দশ বছর পর বানাতে হতো নতুন পাসপোর্ট। কিন্তু পাঁচ বছর মেয়াদী এমআরপি নবায়নের সুযোগ নেই। নতুন করে বানাতে হয়। আর এখানেই ঘটে বিপত্তি। সংশ্লিস্ট আইনজীবিরা জানালেন, এতে প্রবাসে যারা বাংলাদেশী পাসপোর্ট বহন করছেন তাদেরকে বাড়তি ঝামেলায় পড়তে হচ্ছে।
সরকারের সদিচ্ছা হলে, বিদেশে বাংলাদেশী মিশনের মাধ্যমেই স্মাটকার্ড বরাদ্দের পাশাপাশি এমআরপির মেয়াদ দশ বছরে বাড়ানোর উপর সম্ভব বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। তবে স্মার্ট কার্ড পেতে হলে অবশ্যই ভোটার লিস্টে নাম থাকতে হবে।

Advertisement