মেয়র জন বিগস এসিড চার্টারকে সমর্থনের জন্য বারার সকল এসিড বিক্রেতার কাছে বিশেষ আবেদন

ব্রিটবাংলা ডেস্ক:টাওয়ার হ্যামলেটসের মেয়র জন বিগস এসিড চার্টারকে সমর্থনের জন্য বারার সকল এসিড বিক্রেতার কাছে বিশেষ আবেদন জানিয়েছেন।

এসিড বিক্রয়কালে কী ধরনের সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে তা এই চার্টারে উল্লেখ রয়েছে।

টাওয়ার হ্যামলেটসের বেশক টি এসিড বিক্রেতা প্রতিষ্টান ইতিমধ্যে মেয়রের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে এতে স্বাক্ষর করেছেন।
চার্টারে এসিড বিক্রেতাদের উদ্দেশ্যে যে সব নির্দেশনা রয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য দিকগুলো হলো – অপ্রাপ্ত বয়স্ক এবং সন্দেহভাজনদের কাছে এসিড বিক্রি না করা – কাউন্সিলের উদ্যোগে এসিড বিক্রেতাদের জন্য বিশেষ ট্রেনিংয়ে অংশগ্রহন চার্টারে স্বাক্ষর করে মেয়র বলেন, এসিড আক্রমন বন্ধে কঠোর আইন দরকার।আর এজন্য ৫টি প্রস্তাব রেখে হোম সেক্রেটারী বরাবরে বিশেষ পিটিশন দাখিল করেছি।

কিন্তু আইনে এখনো কোন পরিবর্তন না আসায় এব্যাপারে গনসচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছি।

আমরা সবাইকে সাথে নিয়ে একে একটি সামাজিক আন্দোলন হিসাবে গড়ে তুলতে চাই।আজকের চার্টার এই উদ্যোগেরই অংশ।

মেয়র বলেন, সমাজের অংশ হিসাবে এধরনের ভয়ংকর অপরাধ দমনে আমাদের সবারই দায়িত্ব রয়েছে।

বিশেষ করে এসিড বিক্রেতারা যদি এব্যাপারে বিশেষ সতর্ক হন তাহলে এক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে।আর এজন্য আমরা তাদের সাথে পার্টনারশীপ গড়ে তুলতে চাচ্ছি।

যারা এতে স্বাক্ষর করবেন তাদের জন্য আমরা বিশেষ ট্রেনিংয়েরও ব্যবস্থা করেছি।আশা করছি সমাজের স্বার্থে তারা এগিয়ে আসবেন এবং কাউন্সিলকে এব্যাপারে সহযোগিতা করবেন।
মেয়র বলেন, আমরা ঘটনা ঘটার জন্য অপেক্ষা করতে পারিনা।

আগে ভাগেই আমাদেরকে ব্যবস্থা নিতে হবে।মেয়রের চার্টারে সমর্থনকারী এসিড আক্রান্ত জাবেদ হোসাইন তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, এব্যাপারে আমার অভিজ্ঞতা ভয়ংকর।আমার মতো আর কারো যাতে এধরনের অভিজ্ঞতা না হয় এজন্য এখনই ব্যবস্থা নিতে হবে।

আমি মনে করি এসিড বিক্রেতাদের কিছুটা হলেও দায়িত্ব রয়েছে।চার্টারের মাধ্যমে তাদের সাথে যৌথভাবে কাজ করার জন্য মেয়র জন বিগসের উদ্যোগকে আমি সমর্থন জানা।

আমি মনে করি এটি একটি ভালো উদ্যোগ।এদিকে টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল ইতিমধ্যে বারার বিভিন্ন শপ তথা এসিড বিক্রেতাদের কাছে লিখিত ভাবে ষ্ক্রওয়ান শট ড্রেইন ক্লিনারম্ব বিক্রির ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বনের আহবান জানিয়েছে।

বিশেষ করে যাদের বয়স ২১ বছরের নীচে তাদের কাছে এটি বিক্রি না করার জন্য অনুরুধের পাশাপাশি সন্দেভাজনদের পরিচয় জানতে অনুরুধ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য যে মেয়র গত সেপ্টেম্বর হোম সেক্রেটারীর কাছে লিখিত পিটিশনের মাধ্যমে ৫ দফা দাবী তুলে ধরেন।পিটিশনে মেয়র প্রস্তাবিত ৫ দফা দাবী-

১.যথাযথ কারন ছাড়া এসিড বহনকে ছুরি বহনের মতোই অপরাধ হিসাবে গণ্য করতে হবে

 ২.এসিড ক্রয়ে বয়সসীমা নির্ধারন করতে হবে

৩.ক্যাশ দিয়ে এসিড বিক্রি নিষিদ্ধ করতে হবে

ক্রেডিট এবং ডেবিট কার্ড দিয়ে এসিড বিক্রি করা হলে অপরাধীকে চিহ্নিত করা সহজ হবে

৪.এসিডকে কম করোসিভ সম্পন্ন এবং ঘন করতে নির্মাতাদের চাপ দিতে হবে যাতে করে সহজে স্প্রে করা না যায় 

৫.এসিড বিক্রেতাদের স্থানীয় কাউন্সিলে রেজিস্টার করতে হবে (২০১৫ সালে কনজারভেটিভ সরকার কতৃক বাতিলকৃত) এবং স্পট চেকের জন্য কাউন্সিলকে ফান্ড দিতে হবে।

Advertisement