মোহাম্মদ মাসুদুজ্জামান:শনি বার সন্ধ্যা ৬ ঘটিকার সময় যুক্তরাজ্য বি এন পির উদ্যোগে হোয়াইটচ্যাপেলস্থ যুক্তরাজ্য বি এন পির অফিসে ঢাকার নয়া পল্টনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বি এন পির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আপোষহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নি:শর্ত মুক্তির দাবিতে দলীয় নেতা কর্মীদের শান্তিপূর্ণ ভাবে কালো পতাকা প্রদর্শনের কর্মসূচি পালন কালে আন্দোলনরত বি এন পি সহ দলের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতা কর্মীদের উপর বর্তমান অবৈধ অগণতান্ত্রিক ফ্যাসিস্ট সরকারের লেলিয়ে দেওয়া পুলিশ বাহিনীর জঘন্য ,বর্বোরোচিত হামলা ও নির্যাতন এবং শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনরত দলীয় নেতাকর্মীদের গণ গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে এক তাৎক্ষণিক প্রেস ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়।
যুক্তরাজ্য বি এন পির সভাপতি জনাব আলহাজ্ব এম এ মালেকের সভাপতিত্বে ও যুক্তরাজ্য বি এন পির সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক জনাব কয়সর এম আহমেদের পরিচালনায় উক্ত প্রেস ব্রিফিংয়ে মাধ্যমে আওয়ামী স্বৈর শাসনের এই জুলুম নির্যাতনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক ভাবে যুক্তরাজ্য বি এন পির পক্ষ থেকে তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জ্ঞাপন করা হয়।
সভাপতি এম এ মালেক বলেন অবৈধ অগণতান্ত্রিক সরকার একটি সম্পূর্ণ শান্তিপুর্ন কালো পতাকা প্রদর্শন কর্সূচিতে বিনা উস্কানিতে পুলিশ দিয়ে অতর্কিত আক্রমণ ও গনগ্রেফতার শুরু করে। কতটুক ফ্যাসিস্ট হলে সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির উপর জল কামান দিয়ে নির্যাতন করতে পারে।গণতন্ত্র ও আওয়ামীলীগ এক সাথে চলতে পারেনা। সাজানো মামলায় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে সাজানো , বানোয়াট ও মিথ্যা মামলার মাধ্যমে কারারুদ্ধ করার প্রতিবাদে বি এন পির উদ্যোগে গত ২২ জানুয়ারী ঢাকার সরোয়ার্দী উদ্দানে একটি গণপ্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজনের চেষ্টা করা হলে অবৈধ ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার সেই সমাবেশটি করতে দেয়নাই এবং তারই প্রতিবাদে আজকে ঢাকায় কেন্দ্রীয় ভাবে সকাল এগারোটা থেকে বারোটা পর্যন্ত সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ ভাবে কালো পতাকা প্রদর্শন কর্মসূচি পালনের সিদ্দান্ত নেয় কেন্দ্রীয় বি এন পি। জলকামান , টিয়ার গ্যাস লাটিচার্জ ও পুলিশের সরাসরি দৈহিক নির্যাতনের কারণে বি এন পির অনেক কেন্দ্রীয় নেতাকর্মী সহ অনেক নারী পুরুষ নেতা কর্মী আহত ও গণ গ্রেফতারের শিকার হয়েছে।
সম্পূর্ণ বিনা উস্কানিতে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে অতর্কিত আক্রমণ করে আওয়ামীলিগ আবারো প্রমান করলো যে দেশ এখন হায়েনা শেখ হাসিনার একক স্বৈর শাসনে চলছে।
গণতন্ত্রের বদলে দেশ এখন আওয়ামী ফ্যাসিজমের করাল গ্রাসে নিমজ্জিত। সুশাসন এখন নির্বাসনে। সামান্যতম গণতান্ত্রিক অধিকার দিতেও সরকার চরম ভয় পায়।
চরম আস্থাহীনতার মধ্যে অবস্থিত এই অবৈধ সরকার সারাবাংলাদেশকে একটি কসাইখানায় পরিণত করে ফেলেছে। পুলিশ বাহিনীকে সরকারের আজ্ঞাবহ না হয়ে জনগণের সেবক হিসাবে ন্যায়ের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার জন্য উদ্দাত্ত আহবান জানিয়ে সভাপতি এম এ মালেক আরো বলেন আওয়ামী সরকারের উস্কানিতে বেশি ঘুষের লোভে আপনারা আপনাদের ঈমানী দায়িত্ব পালনে কোনও রকম পিচ পা হবেন না। নিরপেক্ষ ভাবে দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করুন জনগণ আপনাদের সাথে থাকবে আর ভবিষ্যতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল
ক্ষমতায় আসলে আপনাদের এই ঈমানী দায়িত্ব পালনের যথা যোগ্য পুরস্কার আপনার পাবেন আর যদি আপনারা আওয়ামী লীগের কর্মীদের ন্যায় আচরণ করেন তাহলে বি এন পি নয় বাংলার জনগণ কিন্তূ আপনাদের ছাড়বেনা। যুক্তরাজ্য বি এন পির র সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক কয়সর এম আহমেদ বাংলাদেশের এই জাতীয় ক্রান্তি কালে সকল জাতীয়তাবাদী শক্তির ইস্পাত কঠিন ঐক্যের এবং জনগণের সাথে গণ সংহতির আহবান জানান এবং আপোষহীন দেশ নেত্রী দেশমাতা বেগম খালেদা জিয়াকে জেল থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত না করা পর্যন্ত বি এন পির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক জনাব তারেক রহমানের নেতৃত্বে ও নির্দেশে যখন যে কর্মর্সূচি দেওয়া হবে সেই কর্মসূচিতে দেশে বিদেশে সকল নেতা কর্মীদের স্বতঃস্পুর্ত অংশগ্রহনের উদাত্ত আহবান জানান। তিনি আরো বলেন সমস্ত ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে দলের সংহতিকে বড়ো করে দেখে হারানো গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের নতুন সংগ্রামে আমাদেরকে ঝাঁপিয়ে পড়া ছাড়া আর কোনও বিকল্প নাই। নেতৃবৃন্দরা আরো বলেন দেশ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া কারা অন্তরীণ হওয়ার পর সকল কর্মসূচি ছিল অত্যন্ত শান্তিপুর্ন আর তার পরেও ফরিদপুর সহ আরো অনেক জায়গায় এই ফ্যাসিস্ট সরকার গুলি পর্যন্ত চালিয়েছে।আইনের শাসন ও গণতন্ত্রের জন্য শান্তিপূর্ণ লড়াই সংগ্রামের প্রতি আওয়ামী দুঃশাসকের আজ এই জিরো টলারেন্সের বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্য বি এন পি ও এর বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা এই প্রেসব্রিফিংয়ে মাধ্যমে গভীর অসন্তোষ , তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে দেশমাতা বেগম খালেদা জিয়া সহ বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামের জন্য গ্রেফতারকৃত এবং আজকের এই জুলুম নির্যাতনের ঘটনায় গ্রেফতারকৃত জাতীয়তা বাদী সকল রাজ বন্দিদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির জোর দাবি জানিয়েছেন। উক্ত প্রেস ব্রিফিঙে যুক্তরাজ্য বি এন পির অন্যান্য নেতৃবৃন্দের মাঝে আরো উপস্থিত ছিলেন সাবেক সিনিয়র সহ সভপতি আব্দুল হামিদ, চট্রগ্রাম দক্ষিনের সহ সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান ঈদ্রিস মিয়া, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক সহিদুল ইসলাম মামুন, ব্যারিষ্টার মওদুদ আহমদ খাঁন, লন্ডন মহানগর বিএনপির সভাপতি মো: তাজুল ইসলাম, সাধারন সম্পাদক আবেদ রাজা, যুক্তরাজ্য যুবদলের সভাপতি আব্দুর রহিম, সাধারন সম্পাদক আফজল হোসেন, যুক্তরাজ্য সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি নাছির আহমদ শাহিন, যুক্তরাজ্য বি এন পির ফেরদৌস আলম, মিছবাউজ্জামান সোহেল, নাসের শেখ,জাসাস সাবেক সাধারন সম্পাদক ইকবাল হোসেন, মহানগর বি এন পির আব্দুস সালাম আজাদ,আব্দুর রব, মো: ময়নুল ইসলাম,ফজলে রহমান পিনাক প্রমুখ ।