যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলায় আইএস পরিকল্পনাকারী নিহত

মার্কিন সেনাবাহিনী বলছে, তারা পূর্ব আফগানিস্তানে ড্রোন হামলা চালিয়ে ইসলামিক স্টেট জিহাদী গোষ্ঠীর একটি শাখার একজন পরিকল্পনাকারীকে হত্যা করতে সক্ষম হয়েছে এবং এটি তারা বিশ্বাস করে। নানগাহার প্রদেশে অবস্থানরত আইএস-কে গ্রুপের একজন পরিকল্পনাকারীকে লক্ষ্য করে ছিল এই অভিযানটি। বৃহস্পতিবারের বিস্ফোরণের পর আফগানিস্তানে এটিই প্রথম মার্কিন ড্রোন হামলার খবর।প্রাথমিক তথ্যে যুক্তরাষ্ট্র জানাচ্ছে, নানগাহারে যে ব্যক্তিকে লক্ষ্য করে ড্রোন হামলাটি চালানো হয়েছে, তার মৃত্যু হয়েছে। এ হামলায় কোন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়নি।সেন্ট্রাল কমান্ডের ক্যাপ্টেন বিল আরবান বলেন, ‘আফগানিস্তানের নানগারহার প্রদেশে মনুষ্যবিহীন আকাশ হামলা চালানো হয়েছে। প্রাথমিক ধারণা করা হচ্ছে আমরা লক্ষ্যবস্তুকে হত্যা করতে পেরেছি। এছাড়া আমরা জানা মতে বেসামরিক কেউ হতাহতের হননি।’আইএস-কে বলছে, তারা কাবুল বিমানবন্দরে বৃহস্পতিবার আত্মঘাতী হামলা চালায় যেখানে ১৭০ জন মানুষ নিহত হয়। এদের মধ্যে ১৩ জন আমেরিকান সৈনিকও ছিল।

তথ্য মতে, দেশ ছাড়ার চেষ্টা করা বেশ কয়েকজন আফগান ওই হামলায় নিহত হন। নিহতদের মধ্যে মার্কিন সেনা কর্মকর্তারা সেইসঙ্গে দুই ব্রিটিশ নাগরিক এবং একজন ব্রিটিশ নাগরিকের শিশুও ছিলেন।ঘটনার পর প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শুক্রবার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, এই হামলার পেছনে যারা রয়েছে তাদের খুঁজে বের করা হবে।প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, ‘আমরা ক্ষমা করব না। আমরা ভুলবো না। আমরা তোমাদের খুঁজে বের করবো এবং এজন্য তোমাদের চরম মূল্য দিতে হবে।’

প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানে উদ্ধার তৎপরতা সমাপ্তির যে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে তা শেষ হচ্ছে আগামী মঙ্গলবার। এরই মধ্যে গত দু সপ্তাহে সেখান থেকে ১০ হাজারের বেশি মানুষ উদ্ধার করা হয়েছে বলে ধারণা রয়েছে। এই মধ্যে বৃহস্পতিবার বিমানবন্দরে হামলা চালায় আইএস-কে।আইএস-কে বা খোরাসান প্রদেশের ইসলামিক স্টেট মূলত ইসলামিক স্টেট গ্রুপের একটি শাখা। এটি আফগানিস্তানের সব জিহাদি জঙ্গি গোষ্ঠীর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ এবং সহিংস।উল্লেখ্য, তালেবান এ মাসের গোড়ার দিকে আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেবার পর থেকে কাবুল বিমানবন্দর দিয়ে গণ-উদ্ধার তৎপরতা চলছে। এখনও প্রায় ৫০০০ মার্কিন সেনা কাবুল বিমানবন্দরে অবস্থান করছে, যেসব আফগান নাগরিক তাদের দেশ ছেড়ে যেতে মরিয়া তাদের চলে যাওয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করছেন তারা।সূত্র : বিবিসি বাংলা

Advertisement