যুক্তরাষ্ট্রে চার বাংলাদেশিকে ভিন্ন রকম সাজা দিলেন বিচারক

ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: যুক্তরাষ্ট্রের ডেট্রয়েটে জালিয়াতির দায়ে চার বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিককে অদ্ভূত এক সাজা দিলেন দেশটির বিচারক। জেল-জরিমানার পাশাপাশি স্থানীয় পত্রিকায় বাংলা ও ইংরেজিতে বিজ্ঞাপন দিয়ে তাদেরকে বলতে হবে–‘আমরা যেভাবে চুরি করেছি এমন চুরি যেন আর কেউ না করে।’ খবর ডেট্রয়েট ফ্রি প্রেসের।
দণ্ডপ্রাপ্ত চারজন সম্পর্কে পরস্পরের ভাই। তারা ডেট্রয়টের হ্যামট্রাকে ‘দেশি বাজার’ নামে একটি দোকান চালান। তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগে বলা হয়, এ চার ব্যক্তি স্বল্প আয়ের মানুষদের জন্য দেয়া খাদ্য সহায়তার স্ট্যাম্প কিনে নিতেন। বিনিময়ে তারা নগদ টাকা, মোবাইল ফোন কার্ড ইত্যাদি দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের আইনে যা অবৈধ।
মামলার পাবলিক প্রসিকিউটর বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে এসে এখানকার ট্যাক্সপেয়ারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা দেখানোর বদলে তারা জালিয়াতির মাধ্যমে রাষ্ট্রের ৫ লাখ টাকা চুরি করেছে।’
অভিযুক্ত চার ব্যক্তি স্বল্প আয়ের মানুষদের জন্য দেয়া খাদ্য সহায়তার স্ট্যাম্প কিনে নিতেন। যা যুক্তরাষ্ট্রের আইনে অবৈধ।
এখন শাস্তি হিসেবে তাদেরকে স্থানীয় ভাষায় দেয়া বিজ্ঞাপনে লিখতে হবে, ‘প্রিয় পাঠক, ফুড স্ট্যাম্প জালিয়াতি একটি ফেডারেল অপরাধ। এটি করলে আপনাকে শাস্তি পেতে হবে। আমরা ফুড স্ট্যাম্প জালিয়াতি করার অপরাধে শাস্তি পেয়েছি।’
বিজ্ঞাপনটি স্থানীয় পত্রিকায় ৩৬ বর্গইঞ্চি জুড়ে ছাপাতে হবে। যা পত্রিকায় রাখতে হবে ৩ সপ্তাহ পর্যন্ত। এ বিজ্ঞাপনের সম্পূর্ণ খরচ বহন করতে হবে চার ভাই আলি, নজর, মুস্তাক ও মোহাম্মদ আহমেদকে।
আদালত বলেন, ‘বাংলাদেশি বংশোদ্ভূতরা ভাল নাগরিক। তবে ফুড স্ট্যাম্প জালিয়াতি সম্পর্কে তাদের জানা উচিত।’
দোকানের মূল মালিক মোহাম্মদ আহমেদকে ৯ মাসের কারাদণ্ড ও ৭ লাখ ২৪ হাজার ডলার ফেডারেল সরকারের ফান্ডে জমা দিতে হবে। অভিযুক্ত বাংলাদেশি বংশোদ্ভূতরা ডিবি লটারি  পেয়ে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রে আসেন।
Advertisement