রাত পোহালেই নারায়ণগঞ্জ সিটিতে ভোটের লড়াই

নারায়ণগঞ্জ সিটিতে টানা ১৮ দিনের জমজমাট প্রচার শেষে এখন ভোটের অপেক্ষা। আজ শনিবারের রাত পোহালেই আগামীকাল রোববার (১৬ জানুয়ারি) সকালে শুরু হচ্ছে ভোট গ্রহণ। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতি ছাড়াই ১৯২টি কেন্দ্রে ভোট নেওয়া হবে। শুক্রবার আনুষ্ঠানিক প্রচার শেষ হয়েছে।নির্বাচন উপলক্ষে সমগ্র সিটি করপোরেশন এলাকায় তিন স্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও সড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের কাছে জবাবদিহি করতে হচ্ছে।ভোটকেন্দ্রগুলোতে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবির প্রায় ৫ হাজার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। গোয়েন্দা নজরদারিও চলছে।নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সাতজন। ২৭ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ১৪৮ জন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৩৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

মেয়র পদপ্রার্থীদের মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার সবচেয়ে বেশি আলোচনায় আছেন।নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, এবার নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে মোট ভোটার ৫ লাখ ১৭ হাজার ৩৬১ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৫৯ হাজার ৮৪৬ জন ও নারী ২ লাখ ৫৭ হাজার ৫১১ জন। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার আছেন ৪ জন। ভোটকেন্দ্র ১৯২টি। ভোটকক্ষ ১ হাজার ৩৩৩টি। অস্থায়ী ভোটকক্ষ ৯৫টি।নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ বলেছেন, ‘নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। গত ১৫ দিনে প্রচার- প্রচারণায় কোনো সহিংসতা হয়নি। ভোটের দিনে সহিংসতার আশঙ্কা নেই। কেউ বিশৃঙ্খলা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহাফুজা আক্তার বলেছেন, ‘অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে সব রকম প্রস্তুতি আছে। নির্বাচন কমিশন, জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সব ধরনের প্রস্ততি নিয়েছে। আশা করি, সুষ্ঠু নির্বাচন হবে।‘

Advertisement