ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: অযোধ্যায় রামমন্দিরের জায়গার পরিবর্তে দেওয়া জমিতে নতুন মসজিদ ও সংলগ্ন হাসপাতালের নকশা প্রকাশ করেছে ইন্দো-ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশন (আইআইসিএফ)। গতকাল শনিবার নকশাটি প্রকাশ করা হয়। পাশ্চাত্য স্থাপত্যের আদলে ডিজাইন করা মসজিদটির নকশা যেন এক ঝলকেই সবার নজর কেড়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী বছরের ২৬ জানুয়ারি প্রস্তাবিত মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হবে। হাসপাতালের কাজ শুরু হবে দ্বিতীয় পর্যায়ে। মসজিদটিতে দুই হাজার মুসল্লি একত্রে নামাজ আদায় করতে পারবেন। প্রস্তাবিত মসজিদটি বাবরি মসজিদের চেয়ে চারগুণ বড় ও অত্যাধুনিক হবে।
বিশালাকার গম্বুজ আর মসজিদ চত্বরে কার পার্কিংয়েরও ব্যবস্থা থাকছে। কট্টর হিন্দুত্ববাদীদের ভেঙে ফেলা বাবরি মসজিদের জায়গায় রামমন্দির নির্মাণে গত বছর ভারতের সুপ্রিম কোর্ট সায় দিয়েছিল। মসজিদের জন্য অন্যত্র পাঁচ একর জমি দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
সে অনুযায়ী সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে লখনৌ-গোরক্ষপুর মহাসড়কের কাছে ধানিপুরে জমি দেওয়া হয়। ওয়াকফ বোর্ড পরে ওই জমিতে মসজিদসহ অন্যান্য স্থাপনা নির্মাণে আইআইসিএফ গঠন করে।
চলতি বছর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অযোধ্যায় বাবরি মসজিদের জায়গায় মহাসমারোহে নতুন রামমন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেও মসজিদ নির্মাণে কী হল, সে সম্বন্ধে কোনো সাড়াশব্দ শোনা যাচ্ছিল না। গতকাল আইআইসিএফের দেওয়া নকশা সে নীরবতা ভাঙল। মসজিদের পাশাপাশি যে হাসপাতালটির নকশা প্রকাশ হয়েছে, তার কাছে শহরের চোখ জুড়ানো ভবনগুলোও হার মানতে বাধ্য।
হাসপাতাল আর মসজিদের পাশাপাশি পাঁচ একর জমির মধ্যেই একটি কমিউনিটি কিচেন ও গ্রন্থাগার থাকবে বলে জানিয়েছেন প্রকল্পের প্রধান স্থপতি এসএম আখতার। কমিউনিটি কিচেনে দুঃস্থদের দুই বেলা খাওয়ানো হবে।
স্থপতি এসএম আখতার বলেন, ‘হাসপাতাল ৩০০ শয্যার হবে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের আনা হবে। মসজিদটি সৌরশক্তিচালিত হবে। মসজিদের ভেতরের তাপমাত্রা বাড়ানো-কমানোর ব্যবস্থা থাকবে।’