রাষ্ট্রপতি হিসেবে ঈদের শেষ‌ জামাতে আবদুল হামিদ

২১তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শেষ ঈদের নামাজ আদায় করলেন মো. আবদুল হামিদ। শনিবার সকালে জাতীয় ইদগাহ মাঠে পৌঁছালে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদকে স্বাগত জানান ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। এ দিন সকাল ৮ টা ৫৫ মিনিটে মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয় ঈদের প্রধান জামাত। মোনাজাতে গুনাহ থেকে মুক্তি এবং দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি রুহুল আমিন।নামাজ শেষে মুসল্লিরা পরস্পরের সঙ্গে কোলাকুলি ও ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।জানা যায়, নামাজ শেষে বঙ্গভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। আর এই শুভেচ্ছা বিনিময় হবে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি হিসেবে তার শেষ‌ ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়। সেখানে উপস্থিত থাকবেন সিনিয়র রাজনীতিবিদ, বিচারক, কবি, সাহিত্যিক, লেখক, সাংবাদিক, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী এবং বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাসহ সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ।

রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন জানিয়েছিলেন, ‘রাষ্ট্রপতি সকাল সাড়ে ৮টায় রাজধানীর হাইকোর্টের সামনে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করবেন। পরে তিনি সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত বঙ্গভবনে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। এরপর একটি সংক্ষিপ্ত ভাষণও দিবেন তিনি।এদিকে করোনা মহামারির কারণে ২০২০ ও ২১ সালে জাতীয় ঈদগাহে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়নি। কিছু বিধিনিষেধ মেনে ২০২২ সালে ঈদুল ফিতরের নামাজ জাতীয় ইদগাহ মাঠে অনুষ্ঠিত হলেও এতে অংশ নেননি রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। সেবার বঙ্গভবনে ঈদের জামাত আদায় করেন তিনি। নামাজের পর ক্রেডেনশিয়াল হলে ঈদ শুভেচ্ছাও বিনিময় করেন রাষ্ট্রপতি। সেবছর ঈদুল আজহার নামাজও বঙ্গভবনে আদায় করেন রাষ্ট্রপতি।টানা দুই মেয়াদে ১০ বছর রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন শেষে আগামী ২৪ এপ্রিল বিদায় নেবেন বর্ষীয়ান এ রাজনীতিবিদ। বঙ্গভবনের একাধিক সূত্রে জানা যায়, সবচেয়ে বেশি মেয়াদে বঙ্গভবনের বাসিন্দা ছিলেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। তিনিই বাংলাদেশের একমাত্র রাষ্ট্রপতি, যিনি দুই মেয়াদ (১০ বছর) রাষ্ট্রপ্রধান ছিলেন।

Advertisement