রোহিঙ্গাদের শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসনে তুরস্কের সহযোগিতা কামনা স্পিকারের

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের নাগরিক রোহিঙ্গাদের শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসনে তুরস্কের অব্যাহত সহযোগিতা কামনা করেছেন।স্পিকারের সাথে আজ তাঁর সংসদ ভবনস্থ কার্যালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মুস্তাফা ওসমান তুরান বিদায়ী সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এই সহযোগিতা কামনা করেন।সাক্ষাৎকালে তাঁরা বাংলাদেশের অভূতপূর্ব অগ্রগতি, সংসদীয় সম্পর্কের উন্নয়ন, রোহিঙ্গাদের শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসন, ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার, বিনিয়োগ প্রভৃতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।স্পিকার বলেন, তুরস্কের সাথে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক অত্যন্ত সুদৃঢ়। দুইদেশের মধ্যে সংসদীয় সম্পর্কের অধিকতর উন্নয়নের মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি জরুরি। ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় তুরস্কের স্টল অত্যন্ত আকর্ষণীয় বলে তিনি উল্লেখ করেন।স্পিকার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরলস প্রচেষ্টায় করোনা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে অনেক দেশের অর্থনীতি হিমশিম খেলেও বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা সচল রয়েছে। এদেশের মানুষের জীবনমানের সুরক্ষা নিশ্চিত করেছে বর্তমান সরকার। রোহিঙ্গাদের নিজস্ব জন্মভূমিতে ফিরে যাওয়ার অধিকার রক্ষার্থে ও বাংলাদেশের পরিবেশগত দিক বিবেচনায় তাদের মিয়ানমারে শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসন জরুরি।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নের প্রশংসা করে রাষ্ট্রদূত মুস্তাফা ওসমান তুরান বলেন, বাংলাদেশের সাথে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারে তুরস্কের সরকার বরাবরই আগ্রহী। তুরস্ক সরকার মেধাবৃত্তির পরিমাণ বৃদ্ধিসহ আরো কিছু যুগোপযোগী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসনে তুরস্ক সরকার আন্তর্জাতিক ফোরামে সোচ্চার। এ বিষয়ে প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। দুইদেশের সংসদীয় সম্পর্কের উন্নয়নে তুরস্কের সংসদীয় প্রতিনিধিদল ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশ সফর করবে বলে স্পিকারকে অবহিত করেন রাষ্ট্রদূত।স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বিদায়ী রাষ্ট্রদূতের ভবিষ্যৎ অধিকতর সফলতা কামনা করেন। এসময় সংসদ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

Advertisement