লন্ডনে সাঈদাসি ব্রান্ডের ফ্যাশন শো রোববার

ব্রিটবাংলা রিপোর্ট : লন্ডনে বাঙালী কমিউনিটির পরিচিত মূখ, টেলিভিশন এবং রেডিও প্রেজেন্টার সাঈদা চৌধুরী এবার নতুন রূপে আত্মপ্রকাশ করছেন। সর্বদা ফ্যাশন সচেতন সাঈদা এবার ইউকের ফ্যাশন জগতে নিজস্ব ব্রান্ড নিয়ে আসছেন। ব্রান্ডের নাম ‘সাঈদাসি’। ইউকের প্রায় ২৬ বিলিয়ন পাউন্ডের ফ্যাশন ইন্ডাষ্ট্রিতে এবার ‘সাঈদাসি’ নামে নতুন ব্রান্ডের সংযোজন হবে। বাংলাদেশের মুসলিন, জামদানি, সিল্ক, হাফ সিল্ক, খাদি, শিফন, জর্জেট, সুতি, বেনারসি, কাতান এবং ভেলভেট ইত্যাদি কাপড়ের উপর নিজস্ব ডিজাইন বসিয়ে নতুন রূপ দিয়ে তা ইউকের ফ্যাশন বাজারে নিয়ে আসছেন তিনি।

আগামী রোববার ইস্ট লন্ডনের রয়েল রিজেন্সিতে হচ্ছে সাঈদাসি ব্রান্ডের প্রথম ফ্যাশন শো। দুপুর ২টা থেকে শুরু হবে ফ্যাশন শো। চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত। এতে সাঈদাসি ফ্যাশন ডিসপ্লে, ক্যাটওয়াক, লাইভ এন্টারটেইনমেন্টসহ বিভিন্ন স্টল থাকবে।

সোমবার ইস্ট লন্ডনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। সাঈদা চৌধুরীর স্বামী, শিক্ষক সিরাজুল বাসিত চৌধুরীর পরিচালনায় সংবাদ সম্মেলনে সাঈদা চৌধুরী জানান, সাঈদা ব্রান্ডের জন্যে বাংলাদেশে বিশাল একটি টিম কাজ করছে। মেয়েদের শাড়ি, থ্রিপিস, হিজাবসহ যে কোনো কাপড় এবং পুরুষদের টাই, পাঞ্জাবিসহ সব কাপড় ডিজাইন করেন তিনি।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, তাঁর মা ছিলেন সুঁই-সুতায় দক্ষ। মায়ের সেলাই কাজ দেখে এবং মায়ের হাতের তৈরী কাপড় পরে তিনি বড় হয়েছেন। লেখাপড়াও করেছেন গার্মেন্টসের উপর। নিজেও কমিউনিটির মহিলাদের সেলািই প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। এবার পুরোদমে নেমেছেন ফ্যাশন ডিজাইনে। তার করা ডিজাইন বাস্তবে রূপ দেওয়া হচ্ছে বাংলাদেশে।  সেলাইয়ে দক্ষ একদল মহিলা নিয়ে নিজেই তৈরী করেছেন একটি টিম। সাঈদা চৌধুরী এবং সিরাজুল হাসিত চৌধুরীর এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক-জননী।

https://www.syedac.com

এই ওয়েব সাইটে গিয়ে সাঈদাসি ব্রান্ডের ব্যাপারে বিস্তারিত জানা যাবে।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন বিবিসিসিআইয়ের সাবেক চেয়ারম্যান শাহগীব বখত ফারুক, লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের প্রেসিডেন্ট সৈয়দ নাহাশ পাশা, বৃটিশ বাংলাদেশ ফ্যাশন কাউন্সিলের চেয়ার ফকরুল হক, সাঈদা চৌধুরীর বড় বোন সাঈদা রোজি বেগম এমবিই, গ্রাফিক ডিজাইনার, ছোট ভাই সাঈদ দোহা নুহ, মেয়ে ইফফাত সিরাজ চৌধুরী এবং লিড ম্যাকআপ আরস্টিট শাহিনুর রুবি। ইউনিভার্সিটি পড়ুয়া ইফফাত সাঈদাসি প্রজেক্টের এডমিনিস্ট্রেটর হিসেবে কাজ করছেন।

তিনি সাঈদাসি ব্রান্ডের একটি ডিজাইনের শাড়ি পরে মডেলিংও করেছেন। একমাত্র ছেলে রাফসান সিরাজ চৌধুরী কাজের ফাঁকে মাকে সমর্থন করে যাচ্ছেন। তিনি সাঈদাসি প্রজেক্টের কো-অর্ডিনেটর হিসেবে কাজ করছেন।

অতিথিরা ফ্যাশন ডিজাইনার সাঈদা চৌধুরীর সাফল্য কামনা করে বলেন, ইউকের ফ্যাশন ইন্ডাষ্ট্রির টার্নওভার বছরে প্রায় ২৬ বিলিয়ন পাউন্ড। বিশাল এই ইন্ডাষ্ট্রিতে বাঙালীদের পদচারণা নেই বললেই চলে। সাঈদা চৌধুরীর পথ ধরে ইউকের ফ্যাশন জগতে বৃটিশ বাঙালীদের উপস্থিতি দিন দিন বাড়বে বলে আশা করেন সবাই।

Advertisement