শামীমার ব্রিটেন ফেরা : শুক্রবার চূড়ান্ত রায় দেবে সুপ্রিম কোর্ট

ব্রিটবাংলা ডেস্ক : সিরিয়ার রিফিউজি ক্যাম্পে অবস্থানরত ব্রিটিশ আইএস বধু শামীমার বেগম ব্রিটেনে ফিরে তার নাগরিকত্ব বাতিলের আপিলের শোনানিতে অংশ নিতে পারবে কি না, সে বিষয়ে আগামীকাল শুক্রবার, ২৬ শে ফেব্রুয়ারী রায় দেবে ব্রিটিশ সুপ্রিম কোর্ট।

২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারী সাবেক হোম সেক্রেটারী সাজিদ জাভিদ শামীমার ব্রিটিশ নাগরিকত্ব বাতিল করেন। সাবেক হোম সেক্রেটারীর সিদ্ধান্তকে চ্যালেন্জ করে নাগরিকত্ব ফিরে পাবার দাবীতে আপিল করেছে শামীমার পারিবার। গত বছর জুলাই মাসে কোর্ট অব আপিলের এক রায়ে বলা হয়েছিল, ন্যায্য এবং কার্যকর আপিলের একমাত্র পথ হবে যদি শামীমাকে ব্রিটেনে ফিরিয়ে এনে শোনানিতে অংশ গ্রহণের সুযোগ দেওয়া হয়।

এরপর গত নভেম্বরে কোর্ট অব আপিলের রায়কে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেন্জ করে হোম অফিস। হোম অফিসের যুক্তি হল, শামীমা ব্রিটেনে ফিরলে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা আরো ঝুকির মুখে পড়বে। আগামীকাল হোম অফিসের চ্যালেন্জের ব্যাপারে চুড়ান্ত রায় দেবে সুপ্রিম কোর্ট।

টাওয়ার হ্যামলেটসের বেথনালগ্রীন একাডেমির ছাত্রী শামীমা বেগম, খাদিজা সুলতানা এবং আমিরা আবাসি ২০১৪ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারী গেটউইক এয়ারপোর্ট থেকে তুরস্কের ইস্তান্বুল হয়ে সিরিয়ার রাক্কায় পৌঁছান। তখন যাদের বয়স ছিল যথাক্রমে ১৬, ১৬ এবং ১৫। শামীমার বাকী দুই বান্ধবী  নিহত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারীতে রিফিউজি ক্যাম্প আল জোর থেকে টাইমসকে দেওয়া এক স্বাক্ষাতকারে ব্রিটেনে ফেরার আকুতি জানিয়েছিলেন শামীমা বেগম। তখন তিনি ৯ মাসের সন্তান সম্ভাবা ছিলেন। তবে মার্চেই তার নবজাতকের মৃত্যু হয়। এর আগে তার আরো দুটি সন্তানের মৃত্যু হয়েছে। আইএস যোদ্ধা ড্যাচ স্বামীর সঙ্গে ২০১৭ সালে রাক্কা থেকে এই ক্যাম্পে আশ্রয় নেন তিনি। শামীমার বয়স বর্তমানে ২১ বছর।

টাইমসের সঙ্গে স্বাক্ষাতকারে ব্রিটেনে ফেরার কথা প্রকাশের সাথে সাথেই সাবেক হোম সেক্রেটারী সাজিদ জাভিদ শামীমা বেগমের ব্রিটিশ নাগরিকত্ব বাতিল করেছিলেন।

Advertisement