শিমু হত্যার দায় স্বীকার করে স্বামী নোবেলের জবানবন্দি

চিত্রনায়িকা রাইমা ইসলাম শিমু (৩৫) হত্যা মামলায় স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে নিহতের স্বামী সাখাওয়াত আলী নোবেল ও তার বাল্যবন্ধু এস এম ফরহাদ।ঢাকার চিফ জুড়িসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গতকাল এ হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করে তারা স্বেচ্ছায় জবানবন্দী দেন। ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পরিদর্শক মেজবাহ উদ্দিন আজ শুক্রবার জবানবন্দী প্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।তিনি বলেন, রিমান্ড চলাকালীন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসামীদের বৃহস্পতিবার ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিজেএম) আদালতে হাজির করলে তারা স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তি দিতে সম্মত হন এবং জবানবন্দী রেকর্ড করার আবেদন করেন।
তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার চিফ জুড়িসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলামের আদালতে আসামি খন্দকার শাখাওয়াত আলীম নোবেলের এবং একই কোর্টের সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিশকাত শুকরানার আদালতে আসামি আব্দুল্লাহ ফরহাদের জবানবন্দি গ্রহণপূর্বক রেকর্ড করা হয়। এরপর আদালত আসামীদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।এরআগে, কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় দায়ের করা হত্যা মামলায় ওই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) চুন্নু মিয়া গত মঙ্গলবার মামলার এজাহারভুক্ত আসামী সাখাওয়াত আলী নোবেল ও তার বাল্যবন্ধু এস এম ফরহাদকে আদালতে হাজির করে সুষ্ঠু তদন্তের জন্য প্রত্যেককে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুনানি শেষে ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাবেয়া বেগম আসামীদের প্রত্যেকের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

উল্লেখ্য,নিহত চিত্রনায়িকা রাইমা ইসলাম শিমুর ভাই হারুনুর রশীদ বাদী হয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় নোবেল ও তার বাল্যবন্ধু ফরহাদের বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করেন। এ মামলায় অজ্ঞাতনামা আরো কয়েকজনকে আসামী করা হয়।জানা গেছে, পুলিশ গত সোমবার (১৭ জানুয়ারি-’২২) ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে অজ্ঞাত হিসেবে চিত্রনায়িকা রাইমা ইসলাম শিমুর (৩৫) লাশ বস্তাবন্দী অবস্থায় উদ্ধার করে । কেরানীগঞ্জের হযরতপুর ব্রিজের কাছে আলিয়াপুর এলাকায় রাস্তার পাশে বস্তাবন্দী মরদেহ পড়েছিল। পুলিশ প্রাথমিকভাবে তার পরিচয় জানাতে পারেনি। পরে, ওইদিন রাতে তার ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিয়ে নাম-পরিচয় শনাক্ত করে পুলিশ ব্যূরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।জানা গেছে, চিত্রনায়িকা শিমুর মরদেহ রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (মিটফোর্ড) মর্গে রাখা হয়। শিমুর স্বামী নোবেল ও তার বাল্যবন্ধু ফরহাদ সেখানে গেলে তাদের আটক করা হয়। র‌্যাবের একটি টহল দল তাদের আটক করে।

Advertisement