শোন বলছি তোমায়!

কই চলেছ? ত্রান কুড়োতে? বাড়ির লোকের পেট পুরোতে?
খাওয়ার মানুষ ক’জন ঘরে? থাকো তো ঐ দুবলা চরে?
জুটলো খাবার সবার তরে? জ্বললো আগুন রান্নাঘরে?
বলছো কিহে! হাতের কাছে, খাবার মজুদ অনেক আছে?
তেল-ডাল-চাল, পেঁয়াজ? রসো! যেও না ভাই, একটু বসো।
বলো তো ভাই, বিষয়টা কি? বুঝার চেষ্টা একটু দেখি।
ঘরে যখন আছেই খাবার? দরকার কি বাইরে যাবার?
ওহ! তাহলে, কালেকশনে, বের হয়েছ কয়েক জনে?
বাড়তিগুলো কালেক্ট করে, বেঁচতে হবে সস্তা দরে?
ভবিষ্যতের ভাবনাতে তাই, এইগুলো সব নগদ কামাই?
এই তাহলে আসল খবর? মাথার ভিতর বুদ্ধি জবর!
পরের খেয়ে পরের ফুড়াও? আগার খেয়ে তলের কুড়াও?
ঝোপটা বুঝে কোপটা মারো, তোমরা সেটা ভালই পারো!
তোমরাই তো কোরবানীতে, অলি-গলি-মহল্লাতে,
মাংস কালেক্ট হইলে পরে, তাও বেঁচে দাও সস্তা দরে।
নগদ কামাই খুবই রাজি, সবখানেতেই ধান্দাবাজি?
বলছি এবার মন দিয়ে শোন্! ভুক্তভোগি সংখ্যাতে গোন্।
কদর অনেক করছি তোরে, তোদের মত পাষন্ডরে!
নিজের কথা ভাবতে গিয়ে, খেললি কত ভাগ্য নিয়ে ।
তোদের জন্য কত্ত লোকে, ত্রান কি সেটা দেখলো চোখে?
কিছুই তারা পায় না ভাগে, সবতো তোরা ছিনলি আগে।
থামা তোদের মামদোবাজি, হতচ্ছাড়া, দুষ্টু! পাজি!
কান দিয়ে শোন্ বলছি তোরে, পুরান শ্লোগান নতুন করে,
কেউ পাবে আর কেউ পাবে না, তা হবে না, তা হবে না।

Advertisement