শ্রমজীবীদের অধিকার আদায়ে ব্রিটেনে নতুন সংগঠন ‘ব্রিটেন হেজ ক্লাস’ 

ব্রিট বাংলা ডেস্কঃব্রিটিশ সোসাইটির বিভিন্ন সেক্টরে সংখ্যালঘু সম্প্রাদায় গুলোর প্রতিনিধিত্ব থাকলেও

শ্রমজীবী মানুষের প্রতিনিধিত্ব নেইএমন অভিযোগ তুলে শ্রেণী বিভক্ত আধুনিক ব্রিটেন ফোকাসে তরুণ একটি গ্রুপের উদ্যোগে ব্রিটিশ মূলধারায় গঠন করা হয়েছে নতুন সংগঠন ‘ব্রিটেন হেজক্লাস’।

বুধবার সন্ধ্যায় সংগঠনটির উদ্বোধন উপলক্ষে হাউস অফ কমন্সের কমিটি রুমে ‘ব্রিটেন হেজক্লাস (বিএইচসি) লাইভ’

শীর্ষক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জড়ো হয়েছিলেনএমপিওস্বনাম

খ্যাত বিভিন্নপ্রতিষ্ঠান সহ সমাজের বিভিন্ন সেক্টরের প্রতিনিধিরা।

সংগঠনটিরঅন্যতমপ্রতিষ্ঠাতা  ক্রীস ফেয়ারলী’রসঞ্চালনায়অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, ব্রিটিশ লেবারদলীয় এমপি ওয়েজ ষ্ট্রিটিংওফিয়োনাওনাসানইয়া, ডকুমেন্টারী ‘ডিজপজেশনস’রডাইরেক্টরপলএসএনজি, লেখকওশ্রমজীবী বিষয়কএকাডেমিকড. লিসা

ম্যাকেঞ্জী, ‘দ্যাএক্টিংক্লাস’র দুই ডাইরেক্টর ডেডরীও নেইল

ও মাইকওয়েন,শ্রমজীবী অভিনেতা টমস্টক, অক্সফোর্ড ব্রুকসের সিনিয়রলেকচারারড. আলেক্সজান্দ্রাট্রট,জাষ্ট ফেয়ার’রপলিসি ডাইরেক্টর কল্ডোকাসলাএবং রিক্লেইম’রহেডঅবপ্রোগ্রামরেচেল গিবনস।

সরকারেরগুরুত্বপূর্ণ সেক্টরগুলোতো শ্রমজীবীও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর প্রতিনিধিত্ব নাই বলেই ব্রিটেনে শ্রেণী বিভক্তির ফারাক দিনদিন বাড়ছে বলেএকমত পোষনকরেন বক্তারা।সংগঠনপ্রতিষ্ঠারপরিকল্পনা সম্পর্কে জানাতে গিয়ে ব্রিটেন হেজক্লাস’রপ্রতিষ্ঠাতা ক্রীস ফেয়ারলী, মাহাথিরপাশা, রনডাডানিয়েলসওজেসএলম্সবলেন,গতবছর

এলএসই স্টুডেন্ট ইউনিয়নের নতুনপদ ‘সোস্যালম বিলিটিএন্ডক্লাস অফিসার’ পদ সৃষ্টির ক্যাম্পেইনের সময় মর্ডান ব্রিটেনের শ্রেণী বিভক্তি নিয় এই ক্যাম্পেইনের চিন্তা আমাদের মাথায় আসে।ঐ ক্যাম্পেইনের সফলতার পর ব্রিটেনের বিভিন্ন ইউনিভার্সিটির স্টুডেন্ট ইউনিয়ন আমাদের সাথে যোগাযোগ করে তারা কিভাবেএইপোষ্টতৈরীর করতে পারে তাঁর পরামর্শ চায়’।

দেশেরপ্রতিটি সংগঠনেএইপদযাতে সৃষ্টিহয়, তারজন্য  চাপসৃষ্টির লক্ষ্যে প্রেসারগ্রুপ হিসেবেবিএইচ সি প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেন তারা, এমনটিই জানান নতুনএইসংগঠনটিরপ্রতিষ্ঠাতারা।

তারাজানান, গবেষণা, সুপারিশ, আলোচনা, সেমিনার, সিম্পোজিয়ামে’রমাধ্যমেএবিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করবে তাদেরএইসংগঠন, শ্রমজীবী শ্রেণী তাদের সমস্যা- সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলবেএইপ্লাটফর্মে।

তারাজানান,নবগঠিতবিএইচসি ইতোমধ্যে আধুনিক ব্রিটেনের শ্রেণী বিভক্তি বিষয়ে বেশ কিছু কর্মসুচী আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।এর অংশ হিসেবেআগামী২৪মার্চ লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকসে (এলএসই) অনুষ্ঠিতহবে ‘দ্যাগ্রেটব্রিটিশ ক্লাস কনফারেন্স’।

শ্রেণী বিভক্ত ব্রিটেনে শ্রমজীবী ওমধ্যবিত্ত সম্প্রাদায়েরঅধিকার নিয়ে কোন ফোরামেই আলোচনা হয়না, এই সম্প্রাদায় নিয়ে কথা বলার ওকোন সংগঠন নেই-এমন মন্তব্য করে বিএইচসি’রপক্ষ থেকে বলা হয়, ‘শ্রেণী বিভক্তি র ফারাক ক্রমশ বাড়তে থাকায় শ্রমজীবী ওনিম্নমধ্য বিত্ত সমাজের জীবন মানে পড়েছে নেতি বাচকপ্রভাব।বিষয়টির প্রতি ব্রিটিশ সোসাইটির দৃষ্টি আকর্ষনএখনসময়ের দাবী।  ‘ব্রিটেন হেজক্লাস’রউদ্যোক্তারা বলেন, শ্রেণী সাম্য প্রতিষ্ঠায় ব্রিটিশ পার্লামেন্টেরএমপি, রাজনীতিক, শিক্ষাবিদ, স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানওসুশিল সমাজ সহ সবাই যাতে সচেতন হন সেই ক্যাম্পেইন ই চালাবে ‘ব্রিটেনহেজক্লাস’।

অনুষ্ঠানের অন্যতম বক্তা,লেবার দলীয়এমপি ওয়েজষ্ট্রিটিং  বলেন, ‘এমনএকটিগুরুত্বপূর্ণ ইস্যু আলোচনায় আনায় ‘ব্রিটেনহেজক্লাস’র উদ্যাক্তাদের আমি কৃতজ্ঞতা জানাই।সমাজে শ্রেণী বিভক্তি হয়তো থাকবে, কিন্তু এর ফারাক যখন বেশি বেড়ে যায়

বেড়ে যায় তখন ভঙ্গুর হয়ে উঠে পুরো সমাজ। পার্লামেন্টসহ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে বিষয়টি এখনই আলোচনায় আনা উচিত। সংগঠনটির প্রতি আমার সমর্থন থাকবে’।

’ব্রিটেন হেজ ক্লাস’র অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা মাহাথির পাশা সংবাদ মাধ্যম কে বলেন, ’শ্রেণী

সাম্যহীন সমাজ কখনোই পরিপূর্ণ সমাজ হতে পারেনা। বিভিন্ন সম্প্রাদায়ের পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করে এমন সংগঠনগুলোর উচ্চকন্ঠ নিয়মিত আমরা শুনলেও ব্রিটেনের শ্রমজীবী ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর অধিকার নিয়ে কোন আলোচনা আমরা খুব একটা শুনিনা। সমস্যা-সম্ভাবনা নিয়ে এই শ্রেণীর উচ্চকন্ঠও আমরা সবখানে ছড়িয়ে দিতে চাই’।

উল্লেখ্য, সদ্য বিশ্ববিদ্যালয় ফেরত তরুণ প্রজন্মের মাল্টিকালচারেল একটি গ্রুপের উদ্যোগে গঠিত হয়েছে ‘ব্রিটেন হেজ ক্লাস’। সংগঠনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা মাহাথির পাশা এই গ্রুপে একমাত্র বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত তরুণ।শ্রমজীবী সমাজকে নিয়ে এই গ্রুপটি সোস্যাল মিডিয়ায় আলোচনা শুরু করলে এমন ইস্যু নিয়ে আগ্রহী ব্রিটেনের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর মধ্যে ব্যাপক সাড়া পড়ে। তারা যোগাযোগ করেন উদ্যাক্তাদের সাথে, জানান এই পথচলায় পাশে থাকতে চান তারাও। বুধবার ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ‘ব্রিটেন হেজ ক্লাস’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে খ্যাতিমান সংগঠনগুলোর প্রতিনিধিদের উপস্থিতি নতুন সংগঠনের প্রতি তাদের সমর্থনেরই বহিঃপ্রকাশ বলে ধারণা করছেন উদ্যাক্তারা।

Advertisement