সংক্রমণ ৫ শতাংশে নামলে খুলে দেয়া হবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান: শিক্ষামন্ত্রী

দীপু মনি বলেন, আমরা অনলাইন শিক্ষাব্যবস্থা চালু রেখেছি। যদিও তার সীমাবদ্ধতা আছে। প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। এখন আমরা একটা যুদ্ধের মধ্যে আছি।তিনি বলেন, আমাদেরকে শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং অভিভাবকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি অবশ্যই গুরুত্ব দিতে হবে। গুরুত্ব দিয়েই প্রায় একবছর দুই মাসের বেশি সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছি। কিন্তু জাতীয় শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ নেই। প্রতিদিনের অনলাইন পড়াশোনার মান এবং পরিসর বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে সারা পৃথিবী অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার চেষ্টা করেছি, কিছুটা খুলেছি আবার বাধ্য হয়ে বন্ধও করে দিয়েছি। যেখানে ষোলআনা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা সম্ভব, সেখানে কিন্তু সেটি খুলে রাখেনি কেউ। আমরা বিস্তার পরিকল্পনা করেছি, কীভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা যায়।শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিশেষজ্ঞরা বলেছেন-সংক্রমণের হার ৫ শতাংশের নিচে না নামলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে খুলে দেওয়া উচিত হবে না। ঈদযাত্রার কারণে সংক্রমণের হার আবারও কিছুটা ঊর্ধ্বগামী। আমরা বলেছি ১৩ জুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দিতে চাই। অনেক জায়গা থেকে চাপ আছে, অনেক আন্দোলন ডাকা আছে। তবে সেটি বৃহত্তর ছাত্র সমাজ বা অভিভাবক যারা আছেন, তাদের মতামত প্রতিফলিত করে না।শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘নাগরিক সমাজ ও জনতার প্রত্যাশা’ আয়োজিত এ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন খসরুর স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন।এতে আরও উপস্থিত ছিলেন-আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী, সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন প্রমুখ।

Advertisement