সদস্যদের মুখোমুখি হলেন কনজারভেটিভ পার্টির নেতা প্রার্থী বরিস জনসন ও জেরিম হ্যান্ট

ব্রিটবাংলা ডেস্ক : গত কয়েকদিন টোরি এমপিদের পাঁচ দফা ভোটাভুটির পর টিকে যাওয়া প্রধানন্ত্রী পদপ্রার্থী দুই প্রতিদ্বন্দ্বী শনিবার বার্মিহ্যামে প্রথমবারের মতো কনজারভেটিভ সদস্যদের মুখোমুখি হন। এলবিসি রেডিওর সাংবাদিক ইয়ান ডেইলের সঞ্চালনায় কয়েক হাজার সদস্যের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানে বরিস জনসন এবং জেরেমি হ্যান্ট দুজনেই প্রধানমন্ত্রী হলে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ব্যবসা-এসব বিষয়ে তাদের পরিকল্পনার কথা বললেও দুজনের বক্তব্য ছিল মূলত ব্রেক্সিটকে কেন্দ্র কোরে। জনমতে এগিয়ে থাকা বরিস জনসন বলেছেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী হলে যেভাবেই হোক ৩১শে অক্টোবরের মধ্যে ইইউ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে এবং এ লক্ষ্যে তিনি ক্ষমতায় আসার সঙ্গে সঙ্গে বৃটেনকে নো ডিল ব্রেক্সিটের জন্যে তৈরী করবেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ব্রিটেনকে অবশ্যই ডাব্লিউ-টি-ও অর্থাৎ ওয়ার্ল্ড ট্রেইড অর্গানাইজেশনের শর্তে ইইউ থেকে বেরিয়ে আসতে পারতে হবে। অন্যদিকে জেরেমি হ্যান্ট বলেছেন, তিনি আইরিশ ব্যাক্সটপের পরিবর্তন দেখতে চান। আর সেকারণেই প্রধানমন্ত্রী হলে তিনি নতুন মধ্যস্থতাকারী দল গঠন কোরে ব্রাসেলসে পাঠাতে চান। তবে নো-ডিল ব্রেক্সিটে তার আপত্তি নেই। জেরেমি হ্যান্ট আরো বলেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী হলে টিউশন ফি’র সুদের হার কমিয়ে আনবেন। অন্যদিকে বরিস জনসন চাইছেন শহর এবং গ্রামাঞ্চলের স্কুলগুলোর মধ্যে আর্থিক বৈষম্য কমিয়ে আনতে।


তবে অনুষ্ঠানে রাজনীতির চাইতে ব্যক্তিগত প্রশ্নবানেই বেশি বিদ্ধ হন বরিস জনসন। বরিস জনসন এবং তার বান্ধবী কেরি সাইমনের দক্ষিণ লন্ডনের বাসায় শুক্রবার রাত প্রায় সাড়ে ১২টার দিকে পুলিশ এসেছিল। বরিসের এক প্রতিবেশী রাতে এক মহিলার চিৎকার শুনে পুলিশে রিপোর্ট করেছিলেন। বরিসের বাসার ওই চিৎকারের অডিও রেকর্ড দ্যা গার্ডিয়ানকেও দিয়েছেন ওই প্রতিবেশী। মেট পুলিশ জানিয়েছে, প্রতিবেশী মহিলার চিৎকার শুনার পর দক্ষিণ লন্ডনের এক মহিলা পুলিশকে তা অবহিত করেন। এরপর পুলিশ ওই বাসার সবার সঙ্গে কথা বলেছে এবং বাসার সবাই নিরাপদ এবং ভালো আছেন। বার্মিংহ্যামে বারবার এই প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে বরিস জনসনকে।
আগামী ২২শে জুলাই নতুন টোরি লিডার এবং বৃটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করা হবে। এর আগে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী বরিস জনসন ও জেরেমি হ্যান্টকে আরো পনেরটি হাস্টিংয়ে দলের সাধারণ সদস্যদের মুখোমুখি হতে হবে। টোরির প্রায় ১শ ষাট হাজারের বেশি সদস্য পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে দলের নেতা নির্বাচনের তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।

Advertisement