সামাজিক দূরত্ব উপেক্ষা করে উপদেষ্টাকে জড়িয়ে ধরে চুমু খাওয়ার ছবি প্রকাশ : ম্যাট হেনককের পদত্যাগ দাবী লেবার পার্টির

দৈনিক সানে শুক্রবার প্রকাশিত হয় এই ছবি।

করোনা মহামারীতে ব্রিটিশ জনগনকে বারবার লকডাউন আইন মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে এবার নিজেই লকডাউন আইন লঙ্ঘন করেছেন বলে স্বীকার করলেন এবং এ জন্যে ক্ষমা চাইলেন হেলথ সেক্রেটারী মেট হেনকক। শুক্রবার দৈনিক সানে একটি ছবি প্রকাশ করে বলা হয়েছে, উপদেষ্টা জিনা কুলেডাঞ্জালোর সঙ্গে হেলথ সেক্রেটারীর এই ছবিটি গত মে মাসে হোয়াইটহলের অফিস থেকে তোলা হয়। তারা দুজনেই বিবাহিত। সংবাদ মাধ্যমে ছবি প্রকাশের পর এক বিবৃতিতে হেলথ সেক্রেটারী বলেছেন, এর মাধ্যমে তিনি সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার গাইড লাইন লঙ্ঘন করেছেন। হতাশ করেছেন জনগনকে। এ জন্যে তিনি আন্তরিকভাবে দু:খিত। তিনি মহামারী থেকে দেশকে উদ্ধারের কাজে আরো বেশি মনোযোগি হবেন এবং তিনি কৃতজ্ঞ থাকবেন যদি সবাই পারিবারিক ও ব্যক্তিগত বিষয়টিতে গোপনীয়তা রক্ষা করেন।

স্বামীর সঙ্গে মিসেস কুলেডেন্জালো। দৈনিক সানে প্রকাশিত ছবি।

স্ত্রীর সঙ্গে হেলথ সেক্রেটারী মেট হেনকক। দৈনিক সানে প্রকাশিত ছবি। 

৪২ বছর বয়সী হেনকক এবং ৪৩ বছর বয়সী কুলেডাঞ্জালোর মধ্যে ঘনিষ্ট বন্ধুত্ব বিশ্ববিদাল্যায় থেকেই। তবে করোনা মহামারী শুরু হওয়ার পর তারা আরো কাছাকাছি আসেন। গত বছর রেডিও ফোরের সঙ্গে এক স্বাক্ষাতকারে হেলথ সেক্রেটারীর সঙ্গে প্রথম স্বাক্ষাতের বিষয়ে কথা বলেন কুলেডাঞ্জালো। গত সেপ্টেম্বরে তাকে হেলথ ডিপার্টমেন্টের নন এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টর হিসেবে নিয়োগ দেন হেলথ সেক্রেটারী। বেতন বছরে ১৫ হাজার পাউন্ড। পুরো বছরে ১৫ থেকে ২০ দিনের কাজ। নির্ধারিত নীতি মেনেই এই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ডাউনিং স্ট্রীট। তাতে সরকারী আচরণবিধি লঙ্ঘিত হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখার আহ্বান জানিয়েছে লেবার পার্টি। যদিও বরখাস্ত বা পদত্যাগ নয় এখনো পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীসহ কেবিনেট সদস্যদের সমর্থনই পেয়ে যাচ্ছেন হেলথ সেক্রেটারী মেট হেনকক।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সাবেক প্রধান উপদেষ্টা ডমিনিক কামিংস লকডাউন আইন লঙ্ঘন করে গাড়ি চালিয়ে লন্ডন থেকে ১শ মাইল দূরে গিয়েছিলেন। তখনও তাকে সমর্থন দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তবে সরকারের সিনিয়র সাইন্টিফিক এডভাইজার প্রফেস নেইল ফারগুসন লকডাউন আইন লঙ্ঘন করে প্রেমিকার সঙ্গে স্বাক্ষাত করার পর পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিলেন।  সেই সময় তাকে পদত্যাগ করার জন্যে হেলথ সেক্রেটারীর মেট হেনকক নিজে চাপ দিয়েছিলেন। তবে নিজে লকডাউন আইন লঙ্ঘন করে পদে থাকার আশা করছেন হেলথ সেক্রেটারী মেট হেনকক। তাকে বরখাস্তের কোনো লক্ষণও দেখাচ্ছেন না প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।

Advertisement