সিলেটে রেস্টুরেন্টের ধর্মঘট প্রত্যাহার

প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতাদের আশ্বাসে সিলেটে ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নিয়েছেন রেস্টুরেন্ট মালিক শ্রমিকরা।মঙ্গলবার রাতে তারা ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেওয়ার ঘোষণা দেন।এরআগে সিলেটের তিনটি রেস্টুরেন্টে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানের প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকেলে সিলেট জেলার সব রেস্টুরেন্টে ধর্মঘটের ঘোষণা দেওয়া হয়। ধর্মঘটের কারণে বুধবার সকাল থেকে জেলার সকল রেস্টুরেন্ট অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে বলেও জানিয়েছিলেন রেস্টুরেন্ট মালিকরা।ধর্মঘট আহ্বানের পর রাতে সিলেটের প্রশাসনের কর্মকতারা কথা বলেন রেস্টুরেন্ট মালিকদের সাথে। আওয়ামী লীগ নেতারাদের পক্ষ থেকেও তাদের সাথে যোগাযোগ করা হয়। এসময় প্রশাসনের পক্ষ থেকে দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলে ধর্মঘট থেকে সরে আসেন রেস্টুরেন্ট মালিকরা।
এ ব্যপারে রেস্টুরেন্ট মালিকদের সংগঠন সিলেট ক্যাটারার্স ওনার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি শান্ত দেব বলেন, প্রশাসন ও আওয়ামী লীগ নেতারা আশ্বস্থ করেছেন রেস্টুরেন্ট মালিকদের কোনভাবেই আর হয়রানি করা হবে না। যেসব দাবিতে ধর্মঘটের ডাক দেয়া হয়েছিল, সেগুলো মেনে নেয়ারও আশ্বাস দিয়েছেন তারা। তাই কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয়েছে। বুধবার সকাল থেকে পূর্বের ন্যায় সকল রেস্টুরেন্ট খুলবে।তবে বিকেলে ধর্মঘটন আহ্বানের পর মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর থেকেই বন্ধ ছিলো সিলেটের বেশিরভাগ রেস্টুরেন্ট। এতে দুর্ভোগে পড়েন নগরবাসী।মঙ্গলবার দুপুরে নগরের জিন্দাবাজার এলাকার ভোজনবাড়ি রেস্টুরেন্টে অভিযান চালায় র‌্যাবের ভ্রাম্যমান আদালত। অভিযানকালে পচাবাসি খাবার পরিবেশন, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ এবং ব্যবসা পরিচালনার লাইসেন্স না থাকার দায়ে রেস্টুরেন্টটি সিলগালা করা হয়। এসময় রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার ও সুপারভাইজারকে আটক করে নিয়ে যায় র‌্যাব।এরপর অভিযান চালানো হয় একই পানসী ও পাঁচভাই রেস্টুরেন্টে। পচাবাসি খাবার পরিবেশন ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের দায়ে রেস্টুরেন্ট দুটিকে ৮০ হাজার টাকা করে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমান আদালত।এর প্রতিবাদে বিকেল ৫টায় নগরীর জিন্দাবাজার পয়েন্টে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন রেস্টুরেন্ট মালিক ও কর্মচারীরা। এসময় অভিযান বন্ধ, সিলগালাকৃত রেস্টুরেন্ট খুলে দেয়া ও আটক কর্মচারীদের মুক্তির দাবিতে বুধবার থেকে ধর্মঘটের ডাক দেন রেস্টুরেন্ট মালিক ও শ্রমিকরা। এছাড়া বুধবার দুপুর ১২টায় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি ও প্রতিবাদ সমাবেশেরও ডাক দেয়া হয়।তবে প্রশাসনের আশ্বাসে ধর্মঘটের পাশাপাশি প্রতিবাদ সমাবেশও প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।

Advertisement