সুদানে কৃষি ও মৎস্য খাতে বিনিয়োগ করতে চায় বাংলাদেশ

ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: সুদানের অনাবাদী উর্বর জমিতে তুলা চাষের আগ্রহ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ। এ ছাড়া সুদানের স্বাদু পানিতে মৎস্য চাষ ও সাগর থেকে মৎস্য আহরণের লক্ষে বাংলাদেশের বিনিয়োগের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

এ বিষয়ে আলোচনার লক্ষ্যে সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও সুদানের অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ সুদানের প্রানিসম্পদ মন্ত্রী বুশারা গুমা আরর, সুদানের চেম্বার অব কমার্স এর মহাপরিচালক আব্দুল আজিজ আবু তালেব ও ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে গত ৮ ও ৯ জুলাই কয়েকটি বৈঠকে মিলিত হন।

এ সময় সৌদি আরবে বসবাসরত বাংলাদেশের কয়েকজন ব্যবসায়ী ও সৌদি আরবের বাংলাদেশ দূতাবাসের ইকোনমিক মিনিস্টার ড. আবুল হাসান ও দ্বিতীয় সচিব মো. বশির উপস্থিত ছিলেন। প্রায় ১৯ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের সুদানের লোকসংখ্যা মাত্র ৩ কোটি ৭০ লক্ষ। সুদানে প্রবাহমান সাদা ও নীল নদের কারণে এখানের ভুমি খুবই উর্বর, যা চাষাবাদ ও পশু পালনের জন্য অত্যন্ত উপযোগী।

এছাড়া স্বাদু পানিতে মৎস্য চাষ ও সামুদ্রিক মৎস্য আহরণে ও রয়েছে ব্যপক সম্ভাবনা। এখানে চীন আবাদী জমি দীর্ঘ মেয়াদে লিজ নেয়ার মাধ্যমে তুলা চাষ করে থাকে।

সুদানের অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ গত ৯ জুলাই সুদানের প্রানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বুশারা গুমা আরর এর সাথে এ বিষয়ে বৈঠকে মিলিত হন। এছাড়া তিনি একই মন্ত্রণালয়ের আন্ডার সেক্রেটারি ড. কামাল এর সঙ্গে এ বিষয়ে বৈঠক করেন। বৈঠককালে রাষ্ট্রদূত সুদানে নীল নদের পাশে দীর্ঘ মেয়াদে জমি লিজ নিয়ে তুলা ও পশুসম্পদ পালনের জন্য বাংলাদেশের বিনিয়োগের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন।

কৃষি খাতে বিনিয়োগের পাশাপাশি সুদানের স্বাদু পানিতে মৎস্য চাষ, সামুদ্রিক মৎস্য আহরণ, মৎস্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বিপননের বিষয়ে বাংলাদেশের বিনিয়োগ সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন। রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের এ সকল খাতে অভিজ্ঞতা রয়েছে এবং বাংলাদেশের বিনিয়োগের ফলে সুদানের এ সকল খাতে সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে, যাতে দুদেশই লাভবান হবে।

এ ছাড়া মৎস্য খাতে সুদানের আভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে ও রপ্তানি করা সম্ভব হবে। বর্তমানে সুদান থেকে বাংলাদেশ তুলা আমদানি করে থাকে ও সুদান বাংলাদেশ থেকে পাট আমদানি করে।

এর আগে গত ৮ জুলাই রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ সুদানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইব্রাহিম মাহমুদ হামিদ ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আবদুল্লাহ ইদ্রিস এর সঙ্গে বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে বৈঠক করেন।

এ সময় সুদানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, সুদানের কারাগারে কোন বাংলাদেশী শ্রমিক বন্দী নেই। বৈঠককালে রাষ্ট্রদূত আশা প্রকাশ করেন আগামী দিনে দু’দেশের সম্পর্ক আরও বৃদ্ধি পাবে।

Advertisement