সেমিফাইনালে ব্রাজিল

শক্তিমত্তায় চিলি থেকে অনেক এগিয়ে ব্রাজিল। মুখোমুখি লড়াইয়ে এ পর্যন্ত ৭২ বার দেখা হয়েছে ব্রাজিল-চিলির। যেখানে ৫১ ম্যাচে জয় পেয়েছে ব্রাজিল আর চিলির জয় সেখানে মাত্র ৮টি। ১৩টি ম্যাচ অমীমাংসিত।আর কোপা আমেরিকার পরিসংখ্যানে ২১ বারের লড়াইয়ে ব্রাজিল জিতেছে ১৬ ম্যাচ। চিলি জিতেছে মাত্র ৩টিতে। ড্র হয়েছে বাকি দুটি।এর পরও এবারের কোপায় চিলিকে হারাতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। রিও দে জেনেইরোর নিল্তন সান্তোস স্টেডিয়ামে কোয়ার্টার-ফাইনালে ১-০ গোলে জিতেছে ব্রাজিল। বিরতির সময় বদলি নামা লুকাস পাকুয়েতা করেছেন ম্যাচের একমাত্র গোলটি।চিলির বিপক্ষে আগের ম্যাচ থেকে আট পরিবর্তন এনে দল নামান ব্রাজিল কোচ তিতে। পূর্ণশক্তি নিয়েই নামেন।ইকুয়েডরের বিপক্ষে বিশ্রামে থাকার নেইমার-কাসেমিরোরা ফেরেন। চোট কাটিয়ে তাদের সঙ্গী হন আলেক্সিস সানচেস।আর এই দলই কিনা চিলিকে হারাতে ঘাম ঝরিয়েছে।

ম্যাচের শুরুতেই ব্রাাজিলের গোলপোস্ট বরাবর শট নিতে শুরু করেন চিলির ফরোয়ার্ডরা। দশম মিনিটে দূরপাল্লার শটে গোলের চেষ্টা করেন ভেগাস। ব্রাজিল গোলরক্ষক এদেরসনের কারণে আর তা লক্ষ্যভেদ হয়নি।১৫ মিনিটে চিলি গোলরক্ষক ক্লাওদিও ব্রাভোর পরীক্ষা নেন রিশার্লিসন। স্বাগতিক ফরোয়ার্ডের শট অনায়াসে ঠেকান ব্রাভো।২২তম মিনিটে নেইমারের চমৎকার ক্রসে রবের্তো ফিরমিনো ঠিকমতো পা ছোঁয়ালেই গোল হয়ে যেত। কিন্তু তা ঠিকভাবে পারেননি লিভারপুলের ফরোয়ার্ড। দূরের পোস্টে নেওয়া শট বাইরে দিয়ে চলে যায়।২৭তম মিনিটে কাউন্টার এটাকে ব্রাজিল শিবিরে ভয় জাগিয়ে দেন এদুয়ার্দো ভারগাস। ডানদিক থেকে এই ফরোয়ার্ডের শট ঝাঁপিয়ে ব্যর্থ করে দেন ম্যানচেস্টার সিটি গোলরক্ষক।সে যাত্রায় ব্রাজিলকে সুরক্ষিত রাখেন এদেরসন । ৩৭তম মিনিটে গাব্রিয়েল জেসুসের বাড়ানো বলে নেইমারের ফ্লিক ফ্রান্সিসকো সিয়েরালতার পায়ে লেগে ব্যর্থ হয়।প্রথমার্ধের বিরতির কিছু আগে জেসুসের শট কর্নারের বিনিময়ে বাঁচান ব্রাভো।এভাবেই গোলশূন্যভাবে শেষ হয় প্রথমার্ধ।

Advertisement