হোয়াইটচ্যাপলে নির্মানাধীন নতুন টাউন হলের ঐতিহাসিক ভবনে স্থাপন করা হলো টাইম ক্যাপসুল

 আগামী প্রজন্মের জন্য ইতিহাসের উপদান একটি ক্যাপসুলে পুরে তা ভবনের ফাউন্ডেশন বা ভিতের মধ্যে রাখার মাধ্যমে লন্ডনের ঐতিহাসিক বিল্ডিংগুলোর একটিকে নতুন টাউন হলে রূপান্তরের পথে আরেক ধাপ এগিয়ে গেলো টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল।
২০ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার হোয়াইটচ্যাপলে অবস্থিত সাবেক রয়াল লন্ডন হসপিটাল ভবনের ফাউন্ডেশনে আগামী প্রজন্মের জন্য একটি বার্তা টাইম ক্যাপসুলে পুরে সংরক্ষণ করার মাধ্যমে কাউন্সিলের এই উচ্চাভিলাষী প্রকল্পের তাৎপর্য তুলে ধরা হয়।
এই টাইম ক্যাপসুলের মধ্যে রয়েছে, টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল, আর্কিটেক্ট অলফোর্ড হল মনাগন মরিস এবং কন্সট্রাকশন কোম্পানী বোয়েগস ইউকে এর প্রতিনিধিবৃন্দের স্বাক্ষরিত একটি চিঠি, বার্টস হেলথ এনএইচএস ট্রাস্টের আর্কাইভের অনুমতি সাপেক্ষে পুনরায় মুদ্রিত হসপিটাল প্রতিষ্ঠা থেকে পরবর্তী বছরগুলোর নানা পর্যায়ের ঐতিহাসিক আলোকচিত্রসমূহ এবং পার্শ্ববর্তী কবি নজরুল প্রাইমারী স্কুল ও সেন্ট এ্যানস ক্যাথলিক প্রাইমারী স্কুলের শিশুদের লেখা চিঠিসমূহ।
টাইম ক্যাপসুল স্থাপন শেষে টাওয়ার হ্যামলেটসের মেয়র জন বিগস বলেন, এইভাবে সময়কে বন্দি করে রাখাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ঐতিহাসিক এই ভবনটি যাতে ভবিষ্যত প্রজন্ম উপভোগ করতে পারে, সেজন্য আমরা আমাদের করনীয় করে যাচ্ছি। লন্ডনের অতিতের অখন্ড অংশ হচ্ছে এটি এবং এটি এখন ভবিষ্যতেরও গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠবে।
তিনি বলেন, এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য হচ্ছে, নতুন টাউন হল হবে গোটা কমিউনিটির জন্য। কাউন্সিল, হাউজিং ও হেলথ সার্ভিস সবকিছু এক ছাদের নিচ থেকে প্রদান করা হবে। এখানে থাকবে ক্যাফে, লাইব্রেরী, ফ্রি ওয়াই-ফাই, মিটিং রুম, জনসাধারণের সভার জন্য উপযুক্ত স্থান।
উল্লেখ্য, পূর্ব লন্ডনের জনসাধারণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে গ্রেড টু লিস্টেড বিল্ডিংটি নির্মান করা হয়েছিলো ১৭৫২ সালে। ‘এলিফেন্ট ম্যান’ হিসেবে ইতিহাসের পাতায় স্মরণীয় হয়ে থাকা ব্যক্তি ১৮৯০ সালে মৃত্যু বরণের আগ পর্যন্ত এখানেই ছিলেন। আধুনিক হার্ট সার্জারির জন্মস্থান হচ্ছে এই হসপিটাল। প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে আহতদের চিকিৎসা সেবাও দেয়া হয়েছে এখানে।
২০১২ সালে নতুন রয়াল লন্ডন হসপিটাল চালু হওয়ার পর থেকে আসল ভবনটি পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে কাউন্সিল এটাকে নতুন জীবন দেয়ার উদ্যোগ নেয় এবং এখানে নতুন টাউন হল গড়ে তোলার লক্ষ্যে গ্রহন করে উচ্চাভিলাষী প্রকল্প।
Advertisement