১৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট, মূল পরিকল্পনাকারী প্রদীপ

ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় চার্জশিট দাখিল করেছে র‍্যাব। চার্জশিটে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে টেকনাফ থানার বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে চিহ্নিত করা হয়েছে। কক্সবাজারের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আজ রোববার সকালে এ চার্জশিট  দাখিল করা হয়। র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ জানান, আজ এ মামলার চার্জশিট  আদালতে দাখিল করা হয়েছে। এতে মোট ১৫ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একজন পলাতক রয়েছেন। কারাগারে থাকা অভিযুক্ত ১৪ জন হলেন, বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির তৎকালীন পরিদর্শক লিয়াকত আলী, ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, দেহরক্ষী রুবেল শর্মা, টেকনাফ থানার এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, এএসআই লিটন মিয়া, এপিবিএনের এসআই মো. শাহজাহান, কনস্টেবল মো. রাজীব ও মো. আবদুল্লাহ, পুলিশের মামলার সাক্ষী টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের মারিশবুনিয়া গ্রামের নুরুল আমিন, মো. নিজামুদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন।
গত ৩১ জুলাই রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশ কর্মকর্তা লিয়াকত আলীর গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান।

এ ঘটনায় চার মাসের বেশি সময় ধরে চলা তদন্ত শেষে আলোচিত মামলাটির অভিযোগপত্র আজ দাখিল করেছে র‍্যাব। এদিকে আজ রোববার অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলা বাতিল চেয়ে প্রধান আসামি বরখাস্ত পুলিশ কর্মকর্তা লিয়াকত আলীর পক্ষে করা রিভিশন আবেদনের ওপর শুনানির দিন রয়েছে। গত ৪ অক্টোবর এই রিভিশন আবেদনটি করা হয়। এরপর ২০ অক্টোবর সেটির ওপর শুনানির দিন ছিল। কিন্তু সেদিন মেজর সিনহার বোনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল ১০ নভেম্বর দিন ধার্য করেন। ১০ নভেম্বর আসামিপক্ষের আইনজীবী সময় প্রার্থনা করলে বিচারক ১৩ ডিসেম্বর (রোববার) দিন ধার্য করেন। সেই হিসেবে আজ এই রিভিশন আবেদনের শুনানি রয়েছে।

অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা হত্যার পর ৫ই আগস্ট তার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে টেকনাফ থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশসহ নয়জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে তদন্তে নেমে র‍্যাব হত্যার ঘটনায় স্থানীয় তিনজন, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) তিন সদস্য এবং প্রদীপের দেহরক্ষীসহ মোট ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করে।
Advertisement