৭ই মার্চ ফাউন্ডেশনর শ্রদ্ধা নিবেদন – মহান নেতা ইয়াসিন আরাফাতের সমাধিতে !

শরীফ আহমেদ:লন্ডন ডিত্তিক ৭ই মার্চ  ফাউন্ডেশনর চেয়ারম্যান নূরুদ্দিন আহমেদ নেতৃত্বে  ফাউন্ডেশনর এক প্রতিনিধিদল  সম্প্রতি ফিলিস্তিনর রাজধানী রামাল্লাহ ভ্রমণ কালে ফিলিস্তিনর মহান নেতা ইয়াসিন আরাফাতের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

ভ্রমণ কালে চেয়ারম্যানের সফর সঙ্গী ছিলেন ফাউন্ডেশনর সচিব আনসার আহমেদ উল্লাহ, ব্যাবস্থাপনা সচিব জামাল আহমেদ খান এবং গবেষণা সচিব শরীফ আহমেদ।

ভ্রমণ কালে  ফাউন্ডেশনর সদস্যরা সমস্ত কম্পাউন্ড ঘুরে দেখেন যাকে বলা হয় ‘মুকাতা’ বা আরাফাত কম্পাউন্ড। এই আরাফাত কম্পউন্ডেই  মহান নেতা  ইয়াসিন আরাফাতের শায়িত আছেন।

ইয়াসিন আরাফাত  ৭৫ বছর বয়সে ২০০৪ সালের নভেম্বর মাসে প্যারিসে মারা যাবার পর উনাকে এই কম্পউন্ডে শায়িত করা হয়, যা একসময়ে উনার হেডকোয়ার্টার হিসাবে ব্যবহার হতো ।

ইয়াসিন আরাফাত সবসময় চেয়েছিলেন  তার কবর যেন জেরুজালেম হয় কিন্তু উনার শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী তার কবর জেরুজালেমে না হয়ে তা হয়েছে রামাল্লায়, কারণ ইস্রায়ে(লর সরকার তাতে বাধা দিয়েছিলো।

তাই বাধ্য হয়েই ফিলিস্তিনের সরকার উনাকে সাময়িক কবর হিসাবে তার কর্মস্থল বেছে নেন,  এই ভাবে যে  কোনো একসময় জেরুজালেম হয়তো  ফিলিস্তিনর দখলে আসবে।

আর সেই ইচ্ছাটাই তার সমাধিতে  স্তম্ভে সুস্পষ্ট অক্ষরে লেখা আছে,” শেষ বিশ্রামস্থল হবে জেরুজালেম, যখন জেরুজালেম ফিলিস্তিনর অংশ হবে”। ফিলিস্তিনের মানুষেরা শ্রদ্ধাকরে ইয়াসিন আরাফাতকে ‘আবু আমার’ বলে ডাকে। আবু আমারের কবরটা কিছুটা ভাসমান  নকশায় করা হয়েছে এবং কম্পউন্ডের টাওয়ার থাকে লেজারের আলো জেরুজালেম দিকে দেয়া হয়েছে – যা ইয়াসিন আরাফাতের শেষ ইচ্ছার সাক্ষ বহন করে. আবু আমার কম্পউন্ডে উনার সমাধি স্থল ছাড়াও একটি মিউজিয়াম একং একটি সুন্দন মসজিদ আছে।

আবু আমার তার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত প্রতিটা মুহূর্ত ফিলিস্তীন মানুষ এর স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করে গেছেন, যা সুস্পর্ট ভাবে তার মিউজিয়ামে ফুটে উঠেছে ।

মিউজিয়ামের  প্রধান হলে তার সানগ্লাস, যা তিনি পড়েছিলেন ১৯৭৪ সালের    জাতীয়সংঘের অধিবেশনে, নোভেল পীচ প্রাইস, যা তিনি পেযেছিলেন তার মধ্যেপ্রাচ্যের শান্তি মধ্যস্ততার স্বীকৃতি স্বরূপ ।

তাছাড়া উনার বেডরুমে একটি সিঙ্গেল বেড, একটি ছোট আলমিরা,উনার ব্যাবহারিক হেডস্কার্ফ এবং একটি ছোট টেলিভিশন রক্ষিত আছে ।

বাংলাদেশ স্বাধীনতার  প্রথম দিন থেকে আজ পর্যন্ত দখলদার ইসরাইলই রাষ্ট্রকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি দেয়নি, বাংলাদেশ,যা বাংলাদেশের সাথে ফিলিস্তিন রাষ্টের ভালোবাসারই বহিঃপ্রকাশ ।

বঙ্গবন্ধু ২৬ই মার্চ ১৯৭৫ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তার শেষ ভাষণেও সুস্পষ্ট ভাবে বলেছিলেন ,বাংলাদেশের জনগণ এবং সরকার সবসময় আরব ফিলিস্তিন ভাইদের মুক্তির জন্য সগ্রাম করে যাবে ,আর যখনি তাদের উপর অত্যাচার চালানো হবে তখনি আমরা তাদের পাশে থাকবো” ।

ফিলিস্তিন ভ্রমণ কালে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা অন্যান্য স্থানও ঘুরে দেখেন ।

যার মধ্যে ছিল আল আকসা মসজিদ, রক অফ ডোম, ইব্রাহিম খলিল মসজিদ , নবী মুসা মসজিদ, ওমর মসজিদ ইত্যাদি ।

শেষ করার আগে একটি কথা না বললেই নয়, ফিলিস্তিন  রাষ্টের বর্তমান অবস্থা, তাদের দুঃখ দুর্দশা এবং তাদের ভবিষৎ উপলব্ধি করতে হলে ফিলিস্তিন ভ্রমণের কোনো বিকল্প নেই।

ফিলিস্তিন ভ্রমণের মাধ্যমের আমরা শুধু তাদের জীবন যাত্রার মানই জানতে পারবোনা ,পাশাপাশি তাদের প্রতি আমাদের নির্স্বাথ সমর্থন এবং তাদের অর্থনীতিতে আমরা অবদান রাখতে পারবো ।

Advertisement