অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ মায়ের পর ছেলের মৃত্যু

ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: নারায়ণগঞ্জ সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড সাহেব পাড়া এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মায়ের পরে ছেলের মৃত্যু হয়েছে। নিহতের নাম কিরণ মিয়া (৪৫)। তার শরীরের ৭০ শতাংশ পোড়া ছিল। তিনি ঢাকায় শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি ছিলেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার সকালে তার মৃত্যু হয়।

ইনস্টিটিউটের চিকিৎসক পার্থ শংকর পাল বলেন, কিরণের শরীরের ৭০ শতাংশ আগুনে দগ্ধ হয়েছিল। কিরণের মা নূরজাহান বেগম ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার দুপুরে মারা যান। একদিন আগের ওই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এ নিয়ে দুইজনের মৃত্যু হল।

পার্থ শংকর পাল জানান, কিরণের ছেলে আবুল হোসেন ইমনকে (২২) বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তার শরীরের ৪৫ শতাংশ পুড়ে গেছে।

এছাড়া কিরণের ছোট ভাই হীরণ মিয়া (২৮), কিরণের আরেক ছেলে আপন মিয়া (১০), হীরণের স্ত্রী মুক্তা (২১), তাদের মেয়ে ইলমা (৩) ও কিরণের ভাগ্নে কাউছার (১৬) ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে ভর্তি রয়েছেন।

উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সাহেবপাড়া এলাকায় একটি তিন তলা বাড়ির নিচতলায় পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকতেন গার্মেন্ট এক্সেসরিজের ব্যবসায়ী কিরণ। সোমবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে রান্নাঘরে গ্যাসের চুলা জ্বালাতে গেলে পুরো বাসায় আগুন ধরে যায়। তাতে বাসায় থাকা আটজন দগ্ধ হন। আশপাশের লোকজন ছুটে এসে প্রথমে ছয়জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আরও দুজনকে বের করে আনেন। তাদের সবাইকে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। আগুনে ওই বাসার প্রায় সব আসবাবপত্র পুড়ে যায়। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে কেবল কিরণের স্ত্রী লিপি অক্ষত রয়েছেন।

ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেন বলেন, সম্ভবত ওই ফ্ল্যাটের চুলার চাবি রাত থেকেই খোলা ছিল। তাতেই সারারাতে পুরো ঘরে গ্যাস ছড়িয়ে পড়ে। সকালে রান্না করার জন্য চুলা জ্বালতে গেলে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে।

Advertisement