ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: বিরোধী দলের নেতাদের দিকে ইঙ্গিত করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, অন্য দলের অনেকে বড় বড় কথা বলছেন, খোঁজ নেয়া হবে কার আঙুল ফুলে কলা গাছ হয়েছে।
সোমবার রাজধানীর রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
দুর্নীতি, মাদকবিরোধী চলমান শুদ্ধি অভিযানের প্রসঙ্গ টেনে ওবায়দুল কাদের বলেন, নিজের ঘর থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুদ্ধি অভিযানের সূচনা করেছেন। অন্যান্য দলেও অনেকে বড় বড় কথা বলছেন। খোঁজ নেয়া হচ্ছে, দুর্নীতি করে কাদের আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে।
প্রশাসনেও দুর্নীতিবাজদের সম্পর্কে খোঁজ নেয়া হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রশাসনে কারা দুর্নীতিবাজ, সে খোঁজও নেয়া হচ্ছে। সব সেক্টরে খারাপ লোকদের খুঁজে বের করা হবে।
সব সেক্টরে খারাপ লোকদের খুঁজে বের করা হবে।
মাদককে না বলার আহবান জানিয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পদক বলেন, দুর্নীতিকে না বলুন। সন্ত্রাসকে না বলুন। টেন্ডারবাজিকে না বলুন। চাঁদাবাজিকে না বলুন। ভূমি দখলকে না বলুন। অন্যের বাড়ি দখলকে না বলুন। পরিষ্কার ম্যাসেজ, প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার। এই ম্যাসেজ আমি সম্মেলনের মাধ্যমে কর্মীদের কাছে, নেতাদের কাছে দিয়ে গেলাম।
অপরাধীদের হুশিয়ার করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, চাঁদাবাজরা, মাদক ব্যবসায়ীরা সাবধান। লুটেরারা সাবধান, সন্ত্রাসীরা সাবধান। দুর্নীতিবাজরা সাবধান। এদের ঠাঁই নেই শেখ হাসিনার আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগে।
নেতাকর্মীদের ক্ষমতার দাপট না দেখানোর আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ক্ষমতা চিরদিন থাকে না। ক্ষমতা চিরস্থায়ী নয়। ক্ষমতার দাপট দেখাবেন না কেউ। বসন্তের কোকিলদের এনে দল ভারি করার চেষ্টা করবেন না। আমরা দুঃসময়ের কর্মী চাই, বসন্তের কোকিল চাই না।
সংগঠন থেকে দূষিত রক্ত বের করে দেয়া হবে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের দলে পরিমাণগত ব্যাপকতার কমতি নেই। সংখ্যার আমাদের কর্মীর অভাব নেই। সমর্থকের অভাব নেই। আমাদের পার্টিতে দূষিত রক্ত আমরা আর চাই না। এই দূষিত রক্ত বের করে দিতে হবে। বিশুদ্ধ রক্ত সঞ্চালন করতে হবে। অশুদ্ধকে শুদ্ধ করতে হবে। কে কত প্রভাবশালী তার চেয়েও বড় কথা হচ্ছে আমরা চাইবো ক্লিন ইমেজের কর্মীদের নেতা বানাতে। খারাপ লোক কোনো দরকার নেই। খারাপ লোকেরা দলের দুর্নাম ডেকে আনে। দুঃসময় এলে এই খারাপ লোকেদের হাজার পাওয়ারের বাতি জ্বালিয়েও খুঁজে পাওয়া যাবে না।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি দেবাশীস বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর, আওয়ামী লীগের উপ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক বাবু নির্মল রঞ্জন গুহ, সদস্য সচিব গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ আরিফুর রহমান টিটু।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি-সম্পাদকের নাম আগামী ১৬ নভেম্বর স্বেচ্ছাসেবক লীগের জাতীয় সম্মেলনে ঘোষণা করা হবে। এ পর্যন্ত সবাইকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানান তিনি।