আখেরি মোনাজাতে শেষ হলো ৫৬তম বিশ্ব ইজতেমা

গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগতীরে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে লাখো মানুষের অংশগ্রহণে আখেরি মোনাজাত শেষ হয়েছে। মোনাজাত পরিচালনা করেন ইজতেমায় তাবলিগের শীর্ষ মুরব্বি দিল্লির মাওলানা সাদ কান্ধলভীর বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ কান্ধলভী। এর আগে তিনি হেদায়েতি বয়ান করেন। হেদায়েতি বয়ান বাংলায় তরজমা করেন মাওলানা আব্দুল্লাহ মনসুর।আখেরি মোনাজাতে দেশ, জাতি ও মানবতার জন্য দোয়া করা হয়। বিশ্ব শান্তি ও কল্যাণ চেয়ে মহান আল্লাহর দরবারে আকুতি জানান, পাপ থেকে মুক্তির মিনতি জানান। এ সময় লাখো মুসল্লির কণ্ঠে আমিন আমিন ধ্বনিতে প্রকম্পিত হয়ে উঠে ইজতেমা ময়দান। আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে বাড়তি নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে।রোববার (২২ জানুয়ারি) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে আখেরি মোনাজাত শুরু হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন তাবলিগ জামাতের দিল্লি মারকাজের শীর্ষ মুরব্বি মাওলানা সা’দ আহমদ কান্ধলভীর বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ বিন সা’দ কান্ধলভী। প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে চলা এই মোনাজাতে মুসলিম উম্মাহর সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধি ও ঐক্য কামনা করা হয়।মোনাজাতের আগে হেদায়েতি বয়ান করেন মাওলানা ইউসুফ। বয়ান বাংলায় তরজমা করেন মাওলানা আব্দুল্লাহ মনসুর।দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমায় অংশ নিতে গতরাত থেকেই তুরাগ তীরে আসেন বহু মানুষ। প্রথম পর্বের মতো না হলেও রোববার ভোর থেকে মানুষের স্রোত আরও বাড়তে থাকে ইজতেমা ময়দানের দিকে। সকাল ১০টার আগেই কানায় কানায় পূর্ণ হয় ইজতেমা ময়দান।ময়দানে যারা জায়গা পাননি তারা আশপাশের সড়কগুলোতে পাটি, বিছানা ও পেপার বিছিয়ে বসে পড়েন।দুপুর সোয়া ১২টার দিকে মাওলানা ইউসুফ মোনাজাত শুরু করলে মুহূর্তের মধ্যেই সমগ্র ইজতেমা ময়দান ও আশপাশের এলাকায় পিনপতন নীরবতা নেমে আসে।‘আমিন আলাহুমা আমিন, ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে টঙ্গীর তুরাগ তীর। ধনী-গরিব, নেতা-কর্মী নির্বিশেষে সব শ্রেণি-পেশা-গোষ্ঠীর মানুষ আল্লাহর দরবারে দুই হাত তুলে নিজ নিজ কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন।লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসলমান সবাই মহান আল্লাহর দরবারে নিজেকে সমর্পণ করে নিজ নিজ গুণাহ মাফের জন্য আখেরি মোনাজাতে শরিক হন।আধা ঘণ্টার মোনাজাত শুরু হয় ‘রাব্বানা যলামনা আনফুসানা’ দিয়ে। মোনাজাতে দেশি-বিদেশি কয়েক লাখ ধর্মপ্রাণ মানুষ অংশ নেন। মোনাজাতের সময় লাখো মুসল্লি দুই হাত তুলে আমিন আমিন করে মহান আল্লাহর কাছে মাগফিরাত কামনা করেন।আবেগঘন আখেরি মোনাজাতে পরিচালনা করতে গিয়ে মাওলানা ইউসুফ বিন সা’দ কান্ধলভী কান্নায় ভেঙে পড়েন। তখন উপস্থিত মুসল্লিরাও নিজেদের সামলে রাখতে পারেননি। তারাও কান্না করতে থাকেন। মুসল্লিদের কান্নার শব্দে পুরো ইজতেমা এলাকাসহ আশপাশের বাতাস ভারি হয়ে ওঠে।

Advertisement