আদালতের দ্বারস্থ শাহরুখ, সালমান ও আমির

ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: বলিউডকে বদনাম করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এই অভিযোগে এবার আদালতের দ্বারস্থ হল বি টাউনের ৩৮টি প্রযোজনা সংস্থা। শাহরুখ খান, সালমান খান, আমির খান, অজয় দেবগান, ধর্মা প্রোডাকশন, কবীর খান ফিল্মস-সহ বিভিন্ন প্রযোজনা সংস্থা একজোট হয়ে দ্বারস্থ হল আদালতের। গত কয়েক মাস ধরে বলিউড-সহ গোটা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির বিরুদ্ধে যেভাবে প্রচার চালানো হচ্ছে, তাতে ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। তার বিরুদ্ধেই এবার দিল্লি হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের করা হল বলিউডের ৩৮টি প্রযোজনা সংস্থা এবং ফিল্ম বডির তরফে। বলিউডের বিভিন্ন প্রযোজনা সংস্থার পাশাপাশি দ্য ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন প্রোডিউসার্স গিল্ড অফ ইন্ডিয়া এবং সিনে অ্যান্ড টিভি আর্টিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের তরফে ওই মামলায় নিজেদের নাম নথিভুক্ত করা হয়েছে। বলিউডের যে প্রযোজনা সংস্থাগুলি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছে দ্য ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন প্রোডিউসার্স গিল্ড অফ ইন্ডিয়া,সিনে অ্যান্ড টিভি আর্টিস্ট অ্যাসোসিয়েশন, ইন্ডিয়ান ফিল্ম অ্যান্ড টিভি প্রোডিউসার্স কাউন্সিল, স্ক্রিনরাইটার্স অ্যাসোসিয়েশন, আমির খান প্রোডাকশনস, অ্যাড-ল্যাবস ফিল্মস, অজয় দেবগন ফিল্মস, আন্দোলন ফিল্মস, অনিল কাপুর ফিল্মস অ্যান্ড কমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক, আরবাজ খান প্রোডাকশনস, আশুতোষ গোয়ারিকর প্রোডাকশনস, বিএসকে নেটওয়ার্ক অ্যান্ড এন্টারটেনমন্ট, কেপ অফ গুড ফিল্মস, ক্লিন স্টেট ফিল্মস, ধর্মা প্রোডাকশনস, এমি এন্টারটেনমেন্ট অ্যান্ড মোশন পিকচার্স, এক্সেল এন্টারটেনমেন্ট,ফিল্মকার্ট প্রোডাকশনস, হোপ প্রোডাকশন, কবীর খান ফ্লিমস, লভ ফিল্মস, ম্যাগফিন পিকচার্স, নাদিয়াদওয়ালা গ্র্যান্ডসন এন্টারটেনমেন্ট, ওয়ান ইন্ডিয়া স্টোরিস, রমেশ সিপ্পি এন্টারটেনমেন্ট, রাকেশ ওমপ্রকশ মেহরা পিকচার্স, রেড চিলিস এন্টারটেনমেন্ট, রিল লাইফ প্রোডাকশনস, রিলায়েন্স বিগ এন্টারটেনমেন্ট, রোহিত শেট্টি পিকচার্স, রয় কাপুর ফিল্মস, সলমন খান ফিল্মস, সোহেল খান ফিল্মস, শিক্ষা এন্টারটেনমেন্ট, টাইগার বেবি ডিজিটাল, বিনোদ চোপড়া ফিল্মস, বিশাল ভরদ্বাজ পিকচার্স, যশরাজ ফিল্মস। দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে বেশ কয়েকটি সংবাদ সংস্থার তরফে বলিউডের বিরুদ্ধে নোংরা এবং অপশব্দ শব্দ ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ।

বি টাউনের বিরুদ্ধে অপশব্দ ব্যবহারের পাশাপাশি বারবার এই ইন্ডাস্ট্রির মানুষদেরকে মাদকের নেশায় আসক্ত বলে আক্রমণ করা হচ্ছে। তাতে ইন্ডাস্ট্রির ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়।

Advertisement