‘আসাম সরকার সিলেটের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নের চেষ্টা করছে’

সিলেট অফিস :: আসামের গোহাটিতে অনুষ্ঠিত দুই দিনব্যাপী ‘ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ স্টেকহোর্ল্ডাস মিট’ শীর্ষক সম্মেলনে যোগদান শেষে সোমবার বিকেলে চেম্বার কনফারেন্স হলে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি। এসময় স্বাগত বক্তব্যে সিলেট চেম্বারের সভাপতি আবু তাহের মোঃ শোয়েব বলেছেন, ভারতের সাথে বাংলাদেশের চমৎকার বাণিজ্য সম্পর্ক রয়েছে। এ সম্পর্ক বৃদ্ধিতে সিলেট চেম্বার কাজ করে যাচ্ছে। বিশেষ করে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যসমূহ বাংলাদেশী পণ্যের এক বিশাল বাজার। বাণিজ্য বৃদ্ধির এ অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে সিলেট চেম্বারের পক্ষ থেকে প্রতিনিধিদল ‘ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ স্টেকহোর্ল্ডাস মিট’ এ যোগদান করে। এই সম্মেলনে গৃহীত প্রস্তাবনাগুলো দুইদেশের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধিতে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

সংবাদ সম্মেলনে প্রতিনিধিদলের দলনেতা ও সিলেট চেম্বারের সিনিয়র সহ সভাপতি চন্দন সাহা বলেন, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণ, আমদানী-রপ্তানী ও যোগাযোগ বৃদ্ধি এবং দুই দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে আসামের গোহাটিতে গত ২২-২৩ অক্টোবর ২০১৯ইং তারিখে সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সম্মেলনে দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র পক্ষ থেকে ১৯ সদস্য বিশিষ্ট এক প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করে।

সিলেট চেম্বারের প্রতিনিধিদলের সদস্যগণ হলেন সহ সভাপতি তাহমিন আহমদ, পরিচালক মোঃ মামুন কিবরিয়া সুমন, মোঃ এমদাদ হোসেন, এহতেশামুল হক চৌধুরী, আব্দুর রহমান, মোঃ আব্দুর রহমান (জামিল), হুমায়ুন আহমদ, মোঃ আতিক হোসেন, সদস্য লিয়াকত আলী, মোঃ জালাল উদ্দিন, সরোয়ার হোসেন সেদু, মোহাম্মদ আইয়ুব আলী, মোঃ মনিরুজ্জামান মিন্টু, ফখরুল ইসলাম, ফয়েজুর রহমান, সাংবাদিক শাহ্ দিদার আলম নবেল, মাহবুবুর রহমান রিপন ও নিরানন্দ পাল।

তিনি আরো বলেন, আসাম সরকার ও ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্সের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত উক্ত সম্মেলনে দুই দেশের আমদানী-রপ্তানীতে বিরাজমান বাঁধাসমূহ দূরীকরণ, সীমান্ত বাণিজ্য বৃদ্ধি, সড়ক ও নৌ পরিবহন, চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহারসহ দ্বি-পাক্ষিক বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

লিখিত বক্তব্যে সিলেট চেম্বারের সিনিয়র সহ সভাপতি আরো জানান, আসামের মূখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সানোয়াল বলেছেন, বাংলাদেশকে বাদ দিয়ে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর উন্নয়ন সম্ভব নয়। দুই দেশের স্বার্থকে অটুট রেখে ব্যবসা-বাণিজ্যকে এগিয়ে নিতে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। আসাম সরকার বাংলাদেশের সাথে বিশেষ করে সিলেটের সাথে রেল ও সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে শিল্প ও পর্যটন খাতের বিকাশ ঘটানোর চেষ্টা করছে। ত্রিপুরার মূখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব বলেন, সম্প্রতি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর দিল্লি সফরের সময় যেসব চুক্তি হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম চট্টগ্রাম বন্দরের ব্যবহার। এই বন্দর ব্যবহারের ফলে ভারতীয় হলদিয়া বন্দরের প্রায় ৮০ শতাংশ রাজস্ব চলে যাবে বাংলাদেশে। এতে ভারতেরও অনেক লাভ হবে। তিনি হলদিয়া বন্দর থেকে পণ্য আনতে আসামের প্রায় ১২০০ কি.মি. পথ পাড়ি দিতে হয়। চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করলে তা ৬০০ কি.মি. এ নেমে আসবে। যা উভয় দেশের জন্যই লাভজনক হবে।

সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন সিলেট চেম্বার নেতৃবৃন্দ। এসময় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন সহ সভাপতি তাহমিন আহমদ, পরিচালক মো. মামুন কিবরিয়া সুমন, মোঃ এমদাদ হোসেন, পিন্টু চক্রবর্তী, আব্দুর রহমান, মোঃ আব্দুর রহমান জামিল, হুমায়ুন আহমদ, মোঃ নজরুল ইসলাম, ওয়াহিদুজ্জামান চৌধুরী রাজিব,আমিনুজ্জামান জোয়াহির, খন্দকার ইসরার আহমদ রকী, ফখর উস সালেহীন নাহিয়ান।

Advertisement