ইংল্যান্ডের নর্থাম্পটনে বাংলাদেশী কমিউনিটিতে করোনার হালচাল

এহসানুল ইসলাম চৌধুরী শামীম ।। বেড়েই চলছে করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। যেনো থামছেই না মৃত্যুর মিছিল। ইংল্যান্ডের অন্যান এলাকার মতো করোনার ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব নর্থাম্পটনে দিন দিন বেড়েই চলছে।এরই মধ্যে দুইজন বাংলাদেশী মহিলা মারা গেছেন করোনায়। তারা হলেন বাংলাদেশী কমিউনিটির পরিচিত মুখ রুনা খান (৪৪) ও আল জামাতুল মুসলিমিন অফ বাংলাদেশ মসজিদের সহ সম্পাদক হারুন আলীর মা হাজী রাবেয়া খাতুন (৭৭)। বাঙালী কমিউনিটিতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলছে। করোনাকে অবহেলা না করে সরকারী বিধি নিষেধ এবং সরকারী গাইড লাইন মেনে চলার জন্য সবার প্রতি আহবান জানিয়েছেন চিকিৎসক ও ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।
করোনা মুক্ত হয়েছেন নর্থহ্যাম্পটনশায়ার করবী কমিউনিটির চেয়ারম্যান ও সাবেক কাউন্সিলর ইউসুফ রাজা চৌধুরী সাদ। গত ৭ নভেম্বর অসুস্থ হয়ে পরেন ইউসুফ চৌধুরী। পরে ১৬ নভেম্বর নমুনা পরীক্ষা করা হলে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়। ২৩ দিন পরে সোমবার (৩০ নভেম্বর) সুস্থ হন ইউসুফ রাজা চৌধুরী সাদ। তিনি বলেন, করোনা খুব ভয়ানক অসুখ। তাই কোনোভাবেই করোনা ভাইরাসকে অবহেলা করবেন না। অবহেলা করলেই বিপদে পড়বেন।সবাই সাবধানে চলবেন এবং সামাজিক দুরত্ব  বজায় রেখে চলবেন।
নর্থাম্পটন জেনারেল হাসপাতালের ডাক্তার মোহাম্মদ সাবির হোসাইন বলেন, ঘর থেকে বের হলেই মাস্ক পরবেন, সামাজিক দুরত্ব  বজায় রাখবেন, নিয়মিত হাত ধুবেন এবং সরকারের গাইড লাইন মেনে চলবেন।
নর্থাম্পটন বাংলা স্কুলের শিক্ষক এম এ নুর রউফ বলেন, বাংলাদেশী কমিউনিটির মানুষ মনে হয় ঠিক মতো সরকারের আইন মেনে চলছেন না। তাই বেশী আক্রান্ত হচ্ছেন।
নর্থাম্পটন আল জামাতুল মুসলিমিন অফ বাংলাদেশ জামে মসজিদের সহ সস্পাদক হারুন আলী বলেন,
আমি বেশ কয়েক দিন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত  হয়ে নর্থাম্পটন জেনারেল হসপিটালে ছিলাম। আল্লাহর রহমতে আমি এখন ভালো হয়ে ঘরে ফিরেছি। তবে আমার মা করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩ নভেম্বর । তাই সকলে সাবধানে চলাচল করবেন। সরকারের নিয়ম মেনে চলবেন।সকলেই ভাল থাখুন।
নিয়মিত হাত ধুবেন, মাস্ক ব্যবহার করবেন, সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখবেন। সরকারের গাইড লাইন মেনে চলবেন।এর ফলে কিছুটা হলেও করোনা থেকে মুক্ত পাবেন।
Advertisement