রাশিয়ার ইউক্রেনে হামলায় বাড়ি ঘর ধ্বংসসহ বহু সাধারণ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। সন্ধান পাওয়া গেছে গণকবরের। এসব বিষয়কে বিবেচনায় রেখে ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ সংগ্রহ এবং এর বিচারে সাহায্য করতে বিশেষজ্ঞ পাঠানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্য।মে মাসের শুরুতেই একটি বিশেষজ্ঞদল পোল্যান্ডে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।ইউক্রেন বলেছে, ২৪ ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর পর থেকে তারা ৭ হাজার ৬০০ টি সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধের ঘটনা এবং অন্তত ৫শ সন্দেহভাজনের ওপর তদন্ত চালাচ্ছে।শুক্রবার ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস বলেছেন, রাশিয়া ইউক্রেনে বর্বরতা এবং ভয়ানক নৃশংসতা চালিয়েছে। এ থেকে বাদ যায়নি নারীরাও। ব্রিটিশ বিশেষজ্ঞরা এই সত্য উদঘাটন করবে এবং পুতিন প্রশাসনকে তাদের কর্মকাণ্ডের জন্য জবাবদিহি করবে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) প্রেসিডেন্ট এবং ডাচ উপপ্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করতে লিজ ট্রাস হেগ সফরকালে ইউক্রেনে বিশেষজ্ঞ পাঠানোর এই ঘোষণা দেন।ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘এই বিশেষজ্ঞ দল ইউক্রেন সরকারকে যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ সংগ্রহ এবং বিচারে সহায়তা করবে। এই টিমে যুদ্ধকালীন যৌন সহিংসতা বিষয়ক বিশেষজ্ঞও থাকবে।এদিকে ন্যাটোর ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল মিরচা জুয়ানা সতর্ক করে বলেছেন, ইউক্রেনের যুদ্ধ এমনকি বছরের পর বছর চলতে পারে এবং তার জন্য পশ্চিমা প্রতিরক্ষা জোটকে প্রস্তুত হতে হবে।ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার ৬৪তম দিনে জুয়ানা বিবিসিকে বলেন, এটা এখন পরিষ্কার যে এই যুদ্ধের জন্য আগামি কয়েকটা দিন এবং কয়েকটি সপ্তাহ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এই যুদ্ধ দীর্ঘদিন চলতে পারে…মাসের পর মাস, এমনকি বছরের পর বছর – কয়েকটি বিষয়ের ওপর তা নির্ভর করবে।ন্যাটো জোটের দ্বিতীয় শীর্ষ এই কর্মকর্তা বলেন, ‘‘যতদিনই এই যুদ্ধ চলুক না কেন, শেষ পর্যন্ত ইউক্রেনই এই যুদ্ধে জয়ী হবে। “সম্ভবত রণাঙ্গনেই এই যুদ্ধের জয়-পরাজয় নির্ধারিত হবে এবং আশা করা করা যায় ইউক্রেনই ঐ যুদ্ধে জিতবে,’’ বলেন তিনি।