ইকরা ইন্টারন্যাশনাল এর উদ্যোগে  ‘ইন সার্চ ফর ট্রাংকুইলিটি ‘ ইউকে ট্যুর সম্পন্ন

ইকরা ইন্টারন্যাশনাল এর উদ্যোগে ‘ইন সার্চ ফর ট্রাংকুইলিটি  ‘ বা ‘প্রশান্তির খোঁজে’ শীর্ষক সম্মেলন সম্পন্ন হলো লন্ডন এবং গ্লাসগো শহরে। গত শনিবার ২০ শে অক্টোবর লন্ডনের এট্রিয়াম ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হয় প্রথম সম্মেলন। কানাডা থেকে আগত  বিখ্যাত স্কলার ড: শাবির আলী মূল আলোচকের বক্তব্যে তুলে ধরেন ইসলাম ধর্ম কিভাবে জীবনকে প্রশান্তির  আলোয় সমৃদ্ধ করে। তিনি বলেন ‘ আজকের তরুণ সমাজ প্রশান্তি খোঁজে  আসক্ত হচ্ছে মরণ নেশায়, এতে শুধু যুবসমাজ নয় ধংস হচ্ছে পুরো পৃথিবীর সম্ভাবনা। অথচ কত সহজে আমরা ইসলামকে চর্চা করার মাধ্যমে প্রশান্তি অর্জন করতে পারি”।

তিনি আরো বলেন ‘ মুসলিম চ্যারিটি সংগঠনগুলি অনেকেই খুবই প্রশংসনীয় কাজ করছে, আর ইকরা ইন্টারন্যাশনাল প্রতিবন্ধী শিশুদের সমাজের মূল স্রোতে প্রতিষ্ঠিত করে  সর্বোত্তম মানবিক সেবার উদাহরণ সৃষ্টি করেছে।”

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মিডিয়া পার্টনার  চ্যানেল এসের চেয়ারম্যান এবং ইকরা ইন্টারন্যাশনাল এর সম্মানিত প্যাট্রন জনাব আহমেদুস সামাদ চৌধুরী জেপি।  সম্মেলনে তরুণ প্রজন্মের ব্যাপক উপস্থিতিতে সন্তোষ প্রকাশ করে ইকরা ইন্টারন্যাশনাল এর সাথে নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্মরণ করে তিনি বলেন ‘ আজকের কিশোর তরুণরাই আমাদের নেতৃত্ব দিবে। সুতরাং মানবিক কাজেও তরুণদের সম্পৃক্ততা দেখে আমরা আশান্বিত হই। ‘

তরুণদের মানবিক কাজে সম্পৃক্ততা বৃদ্ধিতে ইকরার ভূমিকাকে সাধুবাদ জানিয়ে তিনি বলেন ”সিলেট সহ বাংলাদেশের সবচেয়ে উপেক্ষিত জনগোষ্ঠী হচ্ছে  প্রতিবন্ধীরা। সিলেটে ইকরা ডিসেবল হাসপাতাল স্থাপনের মাধ্যমে ইকরা এক বিশাল জনগোষ্ঠির পাশে দাঁড়িয়েছে |’’

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করে ইকরা ইন্টারন্যাশনাল এর চেয়ারম্যান জনাব আব্দুল  হক  হাবিব গত ২২ বছর যারা ইকরা ইন্টারন্যাশনাল প্রতিটি কার্যক্রমে সাহায্য এবং সহযোগিতা প্রদান করেছেন তাদের সবার প্রতি কর্তৃজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন ‘সিলেটের ইকরা প্রতিবন্ধী হাসপাতাল শুধু একটি হাসপাতাল নয় ব্রিটিশ বাঙ্গালদেশিদের বাংলাদেশের প্রতি দায়বদ্ধতা এবং ভালোবাসার এক চলমান উদাহরণ।”

মানবিক কাজে ইকরা ইন্টারন্যাশনাল এর বিভিন্ন দিক তুলে ধরে তিনি বলেন ” সাম্প্রতিক রোহিঙ্গ্যা সমস্যা, বাংলাদেশের বন্যা এবং যে কোনো জরুরি দুর্যোগ মোকাবেলায় ইকরার কার্যক্রমে কমিউনিটির অংশগ্রহণ আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করে”।

অনুষ্ঠানে ইকরার বিভিন্ন কার্যক্রমে স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে অবদানের জন্য পুরুস্কৃত করা হয় সীমা বক্ত, জাহেদ চৌধুরী, এবং শানুর মিয়া |

পুরস্কার প্রদান কালে সিইও জিয়াউর রহমান সাম্প্রতিক সময়ে তার বাংলাদেশে ইকরা প্রতিবন্ধী হাসপাতাল এবং ইকরা রোহিঙ্গ্যা ক্যাম্প পরিদর্ধনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন ”ইকরার প্রতিটি কার্যক্রমে আমাদের ভলান্টিয়ারদের অবদান অপরিসীম। শুধু ইউকে তে নয় তারা আমাদের সাথে বিভিন্ন দেশে স্বেচ্ছায়  সফর করে আমাদের কার্যক্রমকে বেগবান করেছেন। ”

ট্রাংকুইলিটি ট্যুরের শেষ সম্মেলন অনুষ্টিত হয় রবিবার ২২সে অক্টোবর স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে।  ২ দিন ব্যাপী সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন প্রায় পাঁচশত অতিথি এবং ইকরা প্রতিবন্ধী হাসপাতাল এর সেবার পরিধি বৃদ্ধির জন্য প্রায় ৪৫ হাজার পাউন্ডের প্রতিশ্রুতি পাওয়া যায়।

Advertisement