মিনহাজ হোসেন ইতালি থেকে : ইতালিত বাংলাদেশ দূতাবাস যথাযোগ্য মর্যাদা ও ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ‘ঐতিহাসিক ৭ মার্চ’ উদযাপন করেছে।
১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের প্রদত্ত ঐতিহাসিক ভাষণ স্মরনে ডিজটাল প্ল্যাটফর্মে আয়োজিত দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানের মধ্যে ছিল আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, জাতির পিতা ও মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের স্মরনে এক মিনিট নিরবতা পালন, বাণী পাঠ, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন এবং দেশ ও বিদেশি আলোচকদের অংশগ্রহেণ আলোচনা সভা। সকালে জাতীয় সঙ্গীতের সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচী শুরু হয়। এরপর দূতাবাসের সভা কক্ষে দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়। এরপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণটি প্রদর্শন করা হয়।
ঐতিহাসিক এই দিনের উপর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।
ইতালি প্রবাসী বাংলাদেশি রাজৈনিতক, সামাজিক-সাংস্কৃতিক নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক ছাড়াও বিদেশী নাগিরকগনের অংশগ্রহনে এক প্রাণবন্ত আলোচনা সভায় ইতালির কাতানিয়া ও পালেরমা শহরে নিযুক্ত বাংলাদেশের অনারারি কনসাল জেনারেলরা ঐতিহাসিক এই দিনটি উপলক্ষে তাদের শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান কেরন।
এছাড়া রোমস্থ প্রখ্যাত লা সাপিয়েঞ্জা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মারা মাত্তা লিখিত বার্তার মাধ্যেম বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণকে বাঙ্গালী জাতির স্বাধীনতার দিক নির্দেশক হিসেবে উল্লেখ করেন। আলোচকগণ ৭ই মার্চের ভাষণকে বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি অনন্যসাধারণ ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করেন। প্রবাসীদের কল্যাণে দূতাবাস কর্তৃক গৃহীত সাম্প্রতিক কার্যক্রমের জন্যও বক্তারা দূতাবাসকে ধন্যবাদ জানান। আলোচনা সভায় ইতালি প্রবাসী ছাড়াও ইউরোপের অন্যান্য দেশে বসবাসকারী এবং বর্তমানে বাংলাদেশে অবস্থানকারী প্রবাসী বাংলাদেশিরা অংশগ্রহণ করেন।
উল্লেখঃ, কোভিড মহামারীর ভয়াবহতায় ইতালি সরকার কর্তৃক আরোপিত কঠোর স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে শুধুমাত্র দূতাবাসের সদস্যদের উপস্থিতিতে সীমিত পরিসরে দূতাবাস এবং অনলাইন প্লাটফর্মে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়।
