এমডি রিয়াজ হোসেন, ইতালী : গত রোববার নিখোজের পর লাশ মিলল ইতালীর রোম প্রবাসী মিলন ছৈয়ালের। ঘটনার বিবরনে জানা যায়, কাজের উদ্দেশ্যে রবিবার বাসা থেকে বের হয়ে আর ঘরে ফেরেনি মিলন। বহু খোঁজাখুজির পর গত সোমবার মিলন নিখোঁজ দাবী করে পুলিশকে অবহিত করলে পুলিশ একটি লাশ খুঁজে পেয়ে তার ভাইকে সনাক্ত করতে থানায় ডাকে। ধারনা করা হয়, রোমের পাতাল রেল পন্তেমালমলো এলাকার পর থেকে মিলন সৈয়ালকে আর পাওয়া যায়নি। তার ভাই পুলিশকে জানানোর পরের দিন পুলিশ ভাইকে কল করে এবং মিলন সৈয়ালের লাশ সনাক্ত করা হয় । রাজধানীর রোমের অদূরে সমুদ্র এলাকা লিদু-দি-অষ্টিয়াতে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় মিলনকে। গায়ে ক্ষত-বিক্ষত চিহ্ন ছিল বলে জানা যায়। অনেকের ধারণা ছিনতাইকারীরা মেরে ফেলতে পারে তাকে।
মনের তুলিতে জীবনকে সাজাতে দেশ থেকে প্রবাসে পাড়ি জমানো শরিয়তপুর ইতালী প্রবাসী মিলন সৈয়াল এখন একটি লাশ। মাত্র ৩৫ বয়সের এই ছেলেটির ছিল অনেক স্বপ্ন, সদ্য বিয়ে করে রেখে স্ত্রী‘কে সেই স্বপ্নের দেশ ইতালীতে রাণী করে ঘুরানো হয়নি তার।
ইতালীয়ান প্রশাসনের কাছে তার দুই সহোদর ভাই সহ কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে দেখার আহবান জানান। তবে কে বা কারা হত্যা করেছে তাৎক্ষণিক ভাবে কিছুই জানা যায়নি । এদিক মিলনের গ্রামের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। উল্লেখ্য এমনই একটি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল গত বছরের শেষের দিকে।
ইতালীতে শরিয়াতপুর তথা ইতালী প্রবাসীদের বাংলাদেশীদের মধ্যে মিলনের অপমৃত্যুর খবরটি শোকাচ্ছন্ন এনে দেয়। মিলন সৈয়ালের আত্মার মাগফেরাত কামনার পাশাপাশি দেশের আত্মীয়দের প্রতি সহমর্মিতা জানান শরিয়তপুর জেলা সমিতির সভাপতি আব্দুর রব ফকির এবং রোম প্রবাসী শরিয়তপুরের এনায়েত করিম। তারা বলেন, “ঘটনাটি খুবই দুঃখ জনক। আমরা সার্বক্ষনিক যোগাযোগ রাখছি । মিলন চলে গেছে তাকে পাব না তবে প্রশাসনের কাছে আমরা জোর দাবী জানাব হত্যাকারীকে খুজে বের করে কঠিন শাস্তি দেওয়া হোক।তার পরিবারকে শান্তনা দেওয়ার ভাষা নেই।”
