ইনার নর্থ লন্ডন করোনিয়াল ডিস্ট্রিকের সিনিয়র করোনার ম্যারী হ্যাসেলের বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন টাওয়ার হ্যামলেটসের নির্বাহী মেয়র জন বিগস

ব্রিট বাংলা ডেস্কঃ  করোনারের বক্তব্য অবিবেচনাপ্রসূত, অসংবেদনশীল
এবং বৈষম্যমূলক – মেয়র জন বিগস

ইনার নর্থ লন্ডন করোনিয়াল ডিস্ট্রিকের সিনিয়র করোনার ম্যারী হ্যাসেলের বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন টাওয়ার হ্যামলেটসের নির্বাহী মেয়র জন বিগস।
পাশাপাশি মেয়র তার বক্তব্যকে অবিবেচনাপ্রসূত, অসংবেদনশীল এবং বৈষম্যমূলক হিসাবেও আখ্যায়িত করেছেন।
মেয়র করোনার সার্ভিসে কমিউনিটির আস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য অভিলম্বে তার কাছ থেকে দ্রুত এ্যাকশন কামনা করেছেন।
করোনার ম্যারী হ্যাসেল “করোনার রিপোর্ট প্রধানের ক্ষেত্রে ধর্মীয় এবং সামাজিক মূল্যবোধকে প্রাধান্য দেয়া হবে না” – এই ঘোষনা দেয়ায় মেয়র এই প্রতিক্রিয়া জানান।
ম্যারী হ্যাসেলকে লেখা এক চিঠিতে মেয়র তার বক্তব্য একেবারেই অগ্রহনযোগ্য হিসাবে উল্লেখ করে বাসিন্দাদের প্রতিনিধি হিসাবে এর পরিষ্কার ব্যাখ্যাও চেয়েছেন।
এছাড়া এক বিশেষ বিবৃতিতে এই চিঠির কথা জানিয়ে মেয়র বলেন, তার এ বক্তব্য এই এলাকার মাল্টিকালচার ধারনার বিপরীত এবং মিনিস্ট্রি অব জাস্টিসের গাইডলাইনের সাথে সাংঘর্ষিক।

মেয়র বলেন, করোনার সার্ভিসের প্রতি বাসিন্দাদের আত্মবিশ্বাস থাকাটা খুবই জরুরী। আত্মীয় স্বজনের দাফন কর্ম খুবই স্ট্রেসফুল একটি বিষয় এবং এই সময়ে বাসিন্দাদের চাহিদা মোতাবেক সার্ভিস প্রধান করা উচিত।
বিবৃতিতে মেয়র আরো বলেন, করোনার সার্ভিস দ্রুততার সাথে সম্পন্ন করার জন্য টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলসহ মোট ৪টি বারা (টাওয়ার হ্যামলেটস, ইজলিংটন, কেমডেন এবং হ্যাকনী) যৌথভাবে ফান্ড দিতে রাজী হওয়ার পরও করোনার ম্যারী হ্যাসেলের বক্তব্য বিস্ময়কর।
উল্লেখ্য যে, মিনিস্ট্রি অব জাস্টিসের গাইডলাইনে মৃতদেহ দাফনে ধর্মীয় এবং সামাজিক মূল্যবোধকে প্রাধান্য দেয়ার জন্য পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে। মুসলমান এবং ইহুদী ধর্মের অনুসারী কেউ মারা গেলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির দ্রুত দাফনের ধর্মীয় বিধান থাকায় ২০১৫ সালে এক জুডিশিয়াল রিভিউর পর মিনিস্ট্রি অব জাস্টিস এই গাইড লাইন প্রদান করে।
এর আগে লন্ডন মেয়র সাদিক খান এবং দ্যা বোর্ড অব ডেপুটিস অব ব্রিটিশ জুইশ করোনার ম্যারী হ্যাসেলকে তার বক্তব্যের কারনে তার পদ বিবেচনার জন্য আহ্বান জানিয়েছিলেন। এছাড়া জুডিশিয়াল কনডাক্ট ইনভেশটিগেশন অফিসার এব্যাপারে আনুষ্টানিক অভিযোগ পেয়েছেন এবং তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

ফুটবল ল্যাডস এলায়েন্সকে টাওয়ার হ্যামলেটসে
নিষিদ্ধের দাবী জানালেন মেয়র জন বিগস

বর্ণবাদী গ্রুপ ফুটবল ল্যাডস এলায়েন্সকে (এফএলএ) টাওয়ার হ্যামলেটসে নিষিদ্ধের দাবী জানিয়েছেন টাওয়ার হ্যামলেটসের নির্বাহী মেয়র জন বিগস।

হোম সেক্রেটারীর কাছে লেখা এক চিঠিতে মেয়র জন বিগস এই দাবী জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য যে, এফএলএ একটি বর্ণবাদী গ্রুপ এবং ইংলিশ ডিফেন্স লীগের সাথে তাদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।
গত বছরের ১৭ অক্টোবর এই গ্রুপের আনুমানিক ৫০ জন মাইল এন্ড থেকে মার্চ করে ইস্ট লন্ডন মসজিদের সামনে গিয়ে আতংক ছড়ানোর চেষ্টা করে।

এছাড়া মেয়র ওয়েস্টহাম ইউনাইটেড ফুটবল ক্লাব কর্তৃপক্ষের কাছে লেখা এক চিঠিতে খেলার সময় স্টেডিয়ামে এই বর্ণবাদী গ্রুপটির ব্যানার বা ফেস্টুন নিষিদ্ধেরও দাবী জানান।

মেয়র বলেন, বৈচিত্র্যের জন্য টাওয়ার হ্যামলেটস গর্ববোধ করে এবং বর্ণবাদ ও উগ্রপন্থার বিরুদ্ধে লড়ায়ে এর ঐতিহ্য আছে। ফুটবল ল্যাডস এলায়েন্সের তৎপরতার বিষয়ে বাসিন্দাদের উদ্বেগের যথেষ্ট কারন রয়েছে। হোম সেক্রেটারীর উচিত তৎপরতা বন্ধে জরুরী পদক্ষেপ নেয়া।

কাউন্সিলার আসমা বেগম তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, টাওয়ার হ্যামলেটসে ঘৃণার কোন স্থান নেই এবং ফুটবল ল্যাডস এলায়েন্সের মতো বর্ণবাদী গ্রুপগুলো কমিউনিটির নিরাপত্তার জন্য সর্বদাই ঝুঁকিপূর্ন। তাই হোম সেক্রেটারীর উচিত দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া।

টাওয়ার হ্যামলেটস স্ট্যান্ড আপ টু রেসিজম এর কনভেনর শিলা ম্যাকগ্রেগর বলেন, বণঁবাদ এবং ফেসিবাদের বিরুদ্ধে এই ঐতিহ্য রক্ষায় আমরা টাওয়ার হ্যামলেটসে একটি পিটিশন দাখিল করতে যাচ্ছি ।

Advertisement