উগ্রবাদ ও জঙ্গিবাদ জিরো টলারেন্সে আনতে দারিদ্র্য দূর করতে হবে: স্পিকার

ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: ‘উগ্রবাদ ও জঙ্গিবাদ জিরো টলারেন্সে আনতে হলে প্রথমেই দারিদ্র্য দূর করতে হবে। তারপর তরুণদের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে, যাতে কেউ হতাশায় না ভোগে। সন্ত্রাসবাদ ও উগ্রবাদ একটি বৈশ্বিক সমস্যা। কোনো দেশ একক ভাবে এ সমস্যা মোকাবিলা করতে পারবে না। আরও কঠিন রূঢ় বাস্তবতা হলো- বিশ্বের সব দেশ সন্ত্রাসবাদ ও উগ্রবাদের ভয়ংকর হুমকির সম্মুখীন। এ থেকে নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে হলে আমাদের আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিকভাবে কাজ করতে হবে।’- জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এসব কথা বলেছেন।

স্পিকার বলেন, কীভাবে একজন সাধারণ মানুষ এ উগ্রবাদ বা জঙ্গিবাদে ঝুঁকে পড়ে এর সঠিক কারণগুলো খুঁজে বের করতে হবে। উগ্রবাদীর কোনো জাতি বা দেশে নেই। এদের কোনো ধর্ম নেই। এদের চিন্তা একটাই, সেটি হলো কীভাবে দেশের ক্ষতি করা যায়।

আজ সোমবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) আয়োজিত দুই দিনব্যাপী উগ্রবাদ বিরোধী জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।

শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, উগ্রবাদ বা জঙ্গিবাদ বিশ্বের কোথাও গ্রহণযোগ্য নয়। এগুলো সভ্যতার শক্র, মানুষের শত্রু। এ সমস্যাগুলো ব্যক্তিগত ও সমষ্টিগতভাবে মোকাবিলা করতে হবে। বর্তমান সময়ে এটি বিশ্বকে এক বিশাল ঝুঁকিতে ফেলেছে।

শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, আমাদের এই ভূখণ্ড কোনো উগ্রবাদ বা জঙ্গিবাদের প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না। কোনোভাবেই যেন সেটি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। পাশাপাশি অর্থের উৎস কোথা থেকে আসে সেদিকেও খেয়াল রাখা জরুরি।

উগ্রবাদ বিরোধী জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য দেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. মনিরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউএনআরসিও রেসিডেন্সিয়াল কো-অর্ডিনেটর মিয়া সেপু, বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলার ও প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী।

Advertisement